পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্বোধন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান—“তুমি আপনি জাগও মোরে ” অfজ এথানকার কৰ্ম্মসংসারে আমাদের নববর্মের প্রথম দিন । প্রেতি বর্যে আজকের দিনে আমাদের অস্তরের এই পার্থনা | সব সময়ে সে প্রার্থনা সফল না হ’তে পারে, বারেবারেই তা আমরা বিস্তুত হই, জাগ্ৰত চিত্ত নিয়ে কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারি নে, চিত্তকে সরিয়ে দিয়ে অভ্যস্ত নৈপুণ্য সঙ্গের মতো কাজ করি হৃদয় তাতে দেগি দেয় না । কৰ্ম্মই সেখানে শেষফল সেপানে এতে কোনো ক্ষতি হয় না, নৈপুণ্যের ধোগে সেগান সিদ্ধি লাভ ঘটতে পারে, কাজ হয় নিখুত, বরাবরকার অভ্যাস বশত সহজেই কাজের চাকা চলে। কিন্তু এই অংশমের কাজে বাইরের সম্পূর্ণতাটাকেই তো আমরা মুগা বলে স্বীকার করি নি, সতোর সাধনকেই উদ্ধে তুলে রাখতে চেয়েছি । এখানে আমরা মিলিত । তার লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি পরম সত্তকে উপলব্ধি করা }ত এই মিলনের পথে জীবন সর্থক হয় । তার তো আর কোনো উপায় নেই। এক্লা বসে পূজা ধান, একলার মধ্যে অধ্যfস্থরস সম্ভেগ—তার কোনো মূল্য নেই, ‘মন কথা বলছি নে । কিন্তু সত্যকে পাবার প্রথম সোপান, ত্যাগের দ্বারা সকলের মধ্যে আত্মাক উপলব্ধি করা। তারই উপলক্ষ্য আমরা এখানে রচনা করেছি ; এই জন্তত গামরা একে বিদ্যালয় বলি মে, বলি আশ্রম, কেন-ন এর মধ্যে আশ্রয়ের ভাব আছে । এথানে মিলনের স্পচনা হয়েছে—সেই মিলন যাতে পরম মিলনের বাৰ্ত্তা আনে : তারই জন্ত আমাদের সাধন । অফিসে অনেক স্থানেই তো সমরা অনেক মানুষ জড়ো হই, কিন্তু সেখানে আমরা একত্ৰ হই, মিলিত হই নে। সকলের শক্তিকে কম্মের রঞ্জতে মিলিয়ে কৰ্ম্মকর্তা আত্মাকে উপলব্ধি করতে পারে না । fপু সেখানে পরস্পর মিলনে বাধা দেয়, ঈর্ষা বিদ্বেষ নিরস্ত ং না। সেই জন্তই আজ আমাদের এই প্রার্থনা—“তুমি ·ჯჯ--× ჯ কন্মের :েগে কিন্তু আপনি জাগাও মোরে"-সমস্ত জড়তা হতে তুমি আমাদের জাগাঁও, কৰ্ম্মের মধ্যে পরম মিলনে ভূমি আমাদের চিত্তকে জাগাও, একান্ত অব্যবহিত নে উপলব্ধি, সত্যের আলোকে সেই সহজ উপলব্ধি আমাদের মনে উদ্ব দ্ধ করে । এই অশ্রমের চারিদিকে বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে সে-সাধনীর অনুকূল্য আছে—আজকের প্রভাতর সেই লিঙ্ক সৌন্দৰ্য্য সেই বৰ্ত্তাহ বহন করে আনছে। সকল সাধনার উপরে সত্যের সাধনা, অন্ত:করণকে জাগিয়ে তুলে সেই কথাটিই বলতে হবেসকল্প যেন বার্থ না হয়, সমস্ত চৈতন্য মেন আজকের প্রভাতের এই আলোকে উদ্বোধিত হয়। সমস্ত পৃথিবী আজ বাধায় সংশয়ে অবিল : উপব থেকে আলোক নামুক আমাদের অস্তরে । রীত্রির অন্ধকারকে ভয় করি নে, সে তো আনে বিশ্রাম : কুহেলিককে, বুদ্ধির আপনার শক্তি বায় করে ফেলে । পৃথিবীর ঘরে ঘরে আজ এই সংশয় ; এমন মানঘ ক’জন অ'ছে সে লিস্কৃতি পেয়েছে এই বিশ্বব্যাপী কুহেলিকা থেকে, লে-কুহেলিকা প্রভাতের নিৰ্ম্মলতাকে অস্বীকার করে, দে-তর্কজাল আপল আকাশকে অস্বচ্ছ করে পৃথিবীতে সৰ্ব্বত্রই এই সংশয় আজ অল্প-বিস্তর প্রবেশ করেছে —ধীদের সঙ্গে, {{দের জন্ত কাজ করি সর্বত্রই এই বিদ্রুপের হাসি I সহজ উপলব্ধি নিয়ে বিশ্বাস করি, একথা বলতে বৃদ্ধি অভিমানী সাহস করে না। এই চারিদিকের ভীরুতাই সাধনায় আমাদের বাধা । সেই বাধকে অতিক্রম করে আমরা দেন সূতাকে অস্তরে প্রবেশ করতে দিই, মে আলোক আপনি নেমে আসছে তাকে স্বীকার করি । চারিদিকের কোলাহল দ্বন্দুবিদ্বেষ যেন আমীদের কৰ্ম্মকে লিপ্তভ না করে । কৰ্ম্মলোভী না হয়ে তার চেয়েও বড়ো ফল যেন আমরা আকাঙ্ক্ষণ করতে পারি। নকর্মের সৰ্ব্বপ্রথম দিনে এই তামাদের প্রার্থনা । বাইরে যিনি বিশ্বকে জাগান আলোকে, আমাদের চিত্তকও তিনি কী fরত ভয় করি সংশয়ের অহমিকাকে, বাইরেক্ট .ে