পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औक्नॉञ्चन &6% মনের চঞ্চলত বিষ্ণতা তাহার নিজের কাছে অদ্ভুত লাগে। কোন দিন সে নিবিষ্ট মনে সমস্ত সকাল পড়ে, কোন সকাল পড়ায় মন বসে না, বাগানে অকারণে ঘুরিয়া বেড়াইতে, পুকুরের ধারে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতে বা প্রতিমার সহিত খুনচুটি করিতে বড় ভাল লাগে । কলিকাতায় কোন বাড়িতে এত বড় বাগান ও পুকুর নাই বলিলেই হয়। ও বাগানের প্রতি বৃক্ষ রোপণের ইতিহাস অরুণ তাঁহার ঠাকুমার নিকট শুনিয়াছে । তাহার প্রপিতামহী যে পুষ্করিণী প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, এখন তাহার অৰ্দ্ধেক বুজান হইয়া গিয়াছে। তাহার কোন পূৰ্ব্বপুরুষ মালদহ হইতে কোন আমগাছের কলম আনিয়া পুতিয়াছিলেন, হটহাউস তৈরি করিয়া নানা জাতীয় ফার্ণ, ইংরেজী ফুলের গাছ করিয়াছিলেন, সে-সব গল্প তাহার জানা । এখন সে-ইটহাউস ভাঙিয়া গিয়াছে, পরীওয়ালা ফোয়ারগুলির জলধারা নিঃশেষিত, ইতালীয় মাৰ্ব্বেলের অৰ্দ্ধভগ্ন নগ্ন নারীমুভিগুলি জঙ্গলে লজ্জায় লুকাইয়। ফাঙ্কনের প্রভাত স্নিগ্ধ মুনার ; তালপুকুরের স্থির জলে নবীন রৌদ্রলোক কচি শিশুর হাসির মত ; নারিকেল গাছগুলির শ্যামমন্থণ পাতা ঝিকমিক করিতেছে ; এক মৰ্ম্মরের পরী-শিশুর ভগ্ন হস্তে মাকড়সার জাল বোন, তাহার উপর শিশিরবিন্দু মুক্তার মত ; নব বসন্তের তৃণ— পুপ-শোভিত পৃথিবীর অপূৰ্ব্ব গন্ধোচ্ছ্বাস বর্ণোৎসব অরুণকে যেন অভিভূত করিল। তাহার অন্তর কি অজানা বিষাদে এ-প্রভাতে আরও উদাস হইয়া গেল । অরুণ যখন তেতলায় পড়িবার ঘরে আসিল, প্রভাত আতপ্ত হুইয়া উঠিয়াছে, চারি দিকে প্রখর স্বৰ্য্যালোক । টেবিলের উপর চাকর ষড়ু গরম দুধের বাটি, রুটি ও মোহনভোগ রাখিয়া গিয়াছে । কুধ ও একখানি বাসি ক্লাট খাইয়। অরুণ আওরঙ্গজেবের পর দিল্লীর পাতশাহগণের নাম মুখস্থ করিতে বসিল । স্কুলের বই-খাতা লইয়া প্রতিম। তাহার ঘরে আসিল । —দাদা, অ-জাদ, আমার অঙ্কগুলো কষে দাও, তা না হ’লে সুধাদি জামায় আঙ্গ খেয়ে ফেলবেন । رنلا- سده ۹ —মুধাদির তুই প্রিয়া ছাত্রী, সুধাদি তোমার খেয়ে । ফেলছেন । —সত্যি । - - —ধ্যারে টুলি আজ তোর গলা শুনলুম না ? —ব, গলা কি রকম ধরেছে দেখছ না ! —সর্দি করেছ ত, রাতে কেশেছিলে—শোনু, আমার ঘরে পাথরের টেবিলে সেই পুরনো ফ্রেঞ্চ ঘড়িটার পাশে এক লাল রঙের শিশি আছে, চলু, আমিই ঘাই । —বাবা, তোমার ডাক্তারি আর করতে হবে না, আমি ওষুধ খাচ্ছি । অরুণ স্নেহসিক্ত নয়নে প্রতিমার মুখের দিকে চাহিল। কেন তাহাকে সে এত ভালবাসে, তাছার জন্ত মনে বড় ভয় হয়, বড় রোগ সে । —আচ্ছা, দাদা, বল ত, থার্ড ক্লাসে কখনও এত শক্ত অঙ্ক দেয়, সুধাদি কেবল হেড-মিষ্ট্রেসের কাছে সাম কিনতে 5ॉन ! —বেশী জ্যাঠামি করিস না, অঙ্ক পার না, সুধাদির দোষ, ওষুধ থেয়েছিল আজ সকালে ? —থেয়েছি গো, অঙ্কগুলো কষে দাও । অঙ্ক কষিতে কষিতে অরুণ বলিতে লাগিল—টুলি, অজয়ের বোনের তোর স্কুলে পড়ে ? —ই্যা, পড়েই ত ! উচ্চ স্বরে প্রতিমা হাসিয়া উঠিল । হাসিলে তাহার গালে সুন্দর টোল পড়ে । —উম কি তোর সঙ্গে পড়ে ? —বা ! উমাদি আমার সঙ্গে পড়ে । উমাদি ত সেকেণ্ড ক্লাসে পড়ে, আমার সঙ্গে খুব ভাব, জান-মুম্বর গান গায় । — তোর চেয়ে ভাল ? —অত জানি না বাপু । —আর শীলা ? —শীল, বোধ হয় ফিৎর্থ ক্লাস । —হু, দেখ দেখি, রেজাল্ট মিলল কিনা ৷ —মিলেছে । আর এইটা । জান দাদা, একটা ভাল গান শিখেছি, তোমার রবিবাবুর নতুন টাটকা গান,