পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

← ☾Ꭽ ఎ98S সুরটা কিন্তু আমার তেমন ভাল লাগল না, তবে কথা স্কুলের গেটে পৌছিতেই জয়ন্ত ছাপাইতে ছাপাইতে চমৎকার, তোমার খুব ভাল লাগবে। —রোস, অঙ্কটা শেষ করি । —আজ আমি গাইতে পারব না কিন্তু, ধা গলাব্যথা । —ব্যথা ! তা ত বলিস নি এতক্ষণ, আজ আর স্কুলে যায় না, আমি ঠাকুমাকে বলে দিচ্ছি। —ম, না, আজ স্কুলে যেতে হবে, আজ বড় মজা আছে, শোন, দাদা, আস্তে গাই | প্রতিমা ধীরে গাহিতে লাগিল— প্রাণ ভরিয়ে, তুষ হরিয়ে মোরে জমায়ও আরও জীও প্রাণ জর্দ্ধেক গাহিয়া সে থামিয়া গেল । আর তাহার কথা মনে পড়িতেছে না । —অভূত তোমার স্মরণশক্তি ! --মাচ্ছা দাদা আজ উমাদির কাছ থেকে লিখে নিয়ে আসব। থাক, ওই দুটো অঙ্কতেই হবে । মেনি থ্যাঙ্কস, তোমার পড়ার অনেক ক্ষতি হ’ল । প্রতিমা চলিয়া গেল। অরুণের আর পড়া বিশেষ কিছু হইল না । গানের মুর তাহাকে উন্মনা করিয়া দিল । উমা নিশ্চয় এ গান খুব চমৎকার গায় । २ অরুণ যখন স্কুলের গলির মোড়ে, স্কুলের ঘণ্টা বাঞ্জিতেছে। ছুটিয়া সে স্কুলের দিকে চলিল । প্রথম ঘণ্টা, ইংরেজী, নাকুর ক্লাস। নাকু একটু দেরি করিয়াই আসেন, আর দেরি হইলেও অক্ষণকে তিনি কিছুই বলিবেন না । বস্তুতঃ, এই নম্র স্বল্পভাষী সুদর্শন ছাত্রটিকে সকল মাষ্টারই ভালবাসেন ; বোধ হয় তাহার বংশের আভিজাতিক গৌরবের জন্ত একটু সন্মানও করেন। সহপাঠীদিগের মধ্যেও অরুণ প্রিয়। বন্ধু তাহার খুব বেশী নাই, সে বড় লাজুক ; কিন্তু যে-কয়জন বন্ধু আছে তাহারা তাকে সত্যি ভলিবাসে, আপন মুখ-দুঃখের কথা বলে। কাহারও जॉरछ सशक्ल मांब्रांभांब्रि कब्रिाउ ठांशंद्र ८कमन जजक रुङ्ग, অন্ত ছাত্ররাও তাঁহার সহিত অভদ্রাচরণ করিতে সঙ্কোচ বোধ করে । তাহার সঙ্গ লইল । অরুণ বলিল—ঘণ্টা বেজে গেছে ! জয়ন্ত গানের সুরে বলিয়া উঠিল—আমার ভাগ্যে ত বকুনি আছে। তার পর অরুণের হাত ধরিয়া বলিল—চল অরু, শেষ বেঞ্চিতে আমার পাশে বসবে, তোমার সঙ্গে ভয়ঙ্কর দরকার । —কি নতুন কবিতা লেখা হ’ল ? --না, কবিতা নয়, সে ভীষণ ব্যাপার। জয়ন্ত চৌধুরীকে ক্লাসে সবাই ‘কবি’ বলিয়া ডাকে । সে লম্বা চুল রাখিয়া কেঁকড়ায়, চিলে পাঞ্জাবী পরিয়া গায়ের চাদর লুটাইয়া চলে, পায়ে জরির নাগরা । লম্বা, হ্যামবর্ণ, চোখে উদাস স্বল্পভরা দৃষ্টি রচনা করিবার প্রয়াস, মন বড় কোমল, বেদনাপ্রবণ । অরুণ ক্লাসে ঢুকিয়া দেখিল, মাষ্টার মহাশয় আসেন নাই। ভূদো বৃন্দাবনকে লইয়া খুব হৈ রৈ চলিতেছে। বৃন্দাবন গুপ্ত ছেলেটি যেমন মোটা তেমনই কালো, লম্বা হইলেও বেঁটে দেখায়, পায়ে কালো বুট, খাকি হাফপ্যান্ট ও সবুজ রঙের বুক-কাটা কোট পরিয়া সে স্কুলে আসে, ‘বাস্কেট বল’ খেলার বলের মত দেখায়, ছোটবেলা হইতে কলিকাতায় থাকিলেও রাগাইর দিলে তাহার পৈতৃক গ্রামের ভাষা মুখ দিয়া বাহির হইয়া পড়ে। স্কুলের ছেলেদের মধ্যে হাফপ্যান্ট পরার রেওয়াজ তখনও হয় নাই। নাম, চেহারা, বেশ ও ভাষা, ব্যঙ্গ করিবার এতগুলি বিষয়। ছেলেরা ছাড়িবে কেন ? অরুণ দেখিল, ক্লাসের মধ্যে বুন্দাবন পৈতৃক গ্রাম্য ভাষায় তর্জন-গর্জন করিতেছে আর কেহ স্বর করিয়া বলিতেছে, আমি বৃন্দাবনে বনে বনে ধেনু চরাব । কেহ বলিতেছে, ওহে হাফপ্যান্ট-পরা ধেনু, মোদের ক্লাসে চরতে এল কেন্নু ? মুহাস সেন ক্লাসের আর্টিষ্ট । পিছনের বেঞ্চে বসিয়া সে মাষ্টার ও ছাত্রদের নানা ব্যঙ্গচিত্র অ'কে। তাহারই আক বৃন্দাবনের একটি সরল চিত্র হাতে হাতে ঘুরিতেছে। চালিয়াৎ চট্টে জুতা মলমল করিতে করিতে প্রবেশ করিল। ছেলেটির নাম অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়, লম্বা, ফস1,