পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.* মাম (సి) ' অন্ধকষা শেষ হইলে অনেক সময় তিনি ঘণ্টা বাজিবর আগেই চলিয়া যান। ছেলেরা কোন গোলমাল করে না, তবে ভূদো বিদেকে চিমটি-কাটা চলে। টিফিনের সময় অরুণ অজয়কে খুজিতে বাহির হইল । অজয়ের সহিত তহিীর গভীর বন্ধুত্ব। এক বছর হইল অজয় স্কুলে আসিয়াছে। ইহার মধ্যে তাহদের কিরূপে এৰূপ ভাব হইল, , ভাবিলে অরুণ অনেক সময় আশ্চৰ্য্য হয় । অজয় অরুণের চেয়েও লম্বা, তরুণ শালবৃক্ষের মত হঠাম দৃঢ় দেহ, বীর্যব্যঞ্জক সজীব স্বাস্থ্যের প্রতিমূৰ্ত্তি। মুখ তারুণ্যমণ্ডিভ বটে, কিন্তু অরুণের মুখস্ত্রর পাণ্ডুর ভাবপ্রবণতা, স্বপ্নময় উদসত নাই। তাহার দেহের মত তাহার মনও সরল, ঋজু । সে হৈ চৈ করিয়া কথা বলে, সারক্ষিণ চেচায়, হাসে, কিশোর প্রাণের উচ্ছ্বাসে ভরা । ‘ফ্যাটি বিন্দর পেটে ঘুসি মারিভে, চালিয়াৎ চট্টোর চশমার ফিতা টানিয়া দিতে, ছেলেদের সহিত ঘুসোধুসি করিতে, অত্যচরিত দুৰ্ব্বল ছেলের জন্য লড়িতে সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত । ক্লাসের মধ্যে সে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়, স্কুলের ফুটবল ক্লাবের ক্যাপ্টেন। স্কুলে বিদ্যাচর্চা অপেক্ষ খেলার মাঠে দেহসর্চা করিতে বেশী ভালবাসে। তবে পড়াশোনাতেও অমনোযোগী নয় । এক শতের মধ্যে পঞ্চান্ন পাইবার মত পড়া পড়ে । তার বেশী পড়া, তার মতে পণ্ডশ্রম । সে কল্পনাপ্রিয় নয়, বলে, আমি রিয়ালিষ্ট । জয়স্তের কবিতাকে সে বলে, প্যামপ্যাননি ও বাণেশ্বরের তর্ককে বলে জ্যাঠামি, ভবে হোসের ব্যঙ্গচিত্রগুলিকে প্রশংসা করে । অজয়কে নিভৃতে ডাকিয়া অরুণ বলিল—মীমাবাবু কেমন ठाitछ्न ? অঞ্জয় একটু গম্ভীর হইয়৷ উত্তর দিল—বাবা, বাবা সেই রকমই আছেন । কাল রাতে ভাল ঘুম হয় নি। তাছাড়া অন্ত কোন নতুন উপসর্গ নেই। শোন, মা ব'লে দিয়েছেন, আজ বিকেলে তুমি যেও নিশ্চয়। ফু-দিন যাও নি কেন, স্কুল থেকেই খেও, ওখানে চ থাবে । অরশ জিজ্ঞাসা করিল—তুমি থাকবে ত? অজয় ঘড়ি নাড়িয়া বলিল-আমার ফিরতে রাত হবে, আজ স্কুলের ম্যাচ, আমি ক্যাপ্টেন, বাওয়া চাই । আচ্ছা, এখুনি টম তৈরি করতে হবে। বেও, মা হ’লে মা ভাববেন । মামীম তাহাকে সত্যই বড় স্নেহ করেন। এক বৎসরের পরিচয়, কত আপন করিয়া লইয়াছেন, যেন জন্মজন্মাস্তরের জানা । অজয় চলিয়া গেল ! জয়ন্ত আসিয়া তাহার হাত ধৰিল, চোখ ছল ছল করিতেছে। জয়ন্ত সামান্ত আবেগেই কাদিয়া ফেলে। অরুণ ধীরে বলিল—কি হয়েছে ভাই ? ভগ্নস্বরে জয়স্ক বলিল—চল ক্লাসে, বলছি। ক্লাস প্রায় শুষ্ঠ। দুই জনে এক কোণে বসিল । জয়ন্ত কিছু ক্ষণ নীরব থাকিয়া বলিল—বাব চলে গেছেন । বিবর্ণ বিস্মিত মুথে অরুণ বলিল—তোমার বাব, কি হ’ল হঠাৎ ! —তিনি সন্ন্যাসী হয়ে গৃহ ত্যাগ ক’রে চ'লে গেছেন। —ও, তাই বল, আমি ভাবছিলুম— —কিন্তু আমাদের অবস্থাটা কি হ’ল ! —তোমার ভ মা নেই। —ন, কিন্তু ছোট ভাই এক আছে। —তোমাদের এক দোকান আছে না ? —ইল, ঘড়ির দোকান, রাধাবাজারে । বাবার মত আমন ঘড়ি নাকি কেউ সারতে পারত না, ঘড়ি সেরে সেরে তার চোখ খারাপ হয়ে গেছল । তিনি আর বড় মেসোমশাই ফু-জনে দোকান করেছিলেন, দোকান ত মেসোমশাইকে দিয়ে গেছেন। —তোমরা ভ একসঙ্গে থাক । —ই্যা, বড় মাসীর সঙ্গে, বাবাই ৰেশীর ভাগ খরচ দিতেন। আমার জন্তে ভাবি না, কিন্তু মন্টর কি হবে, ছ-বছরের ছেলে সে-বাবা একটু ভাবলেন না। —মাসী দেখবেন । - —ই্য, মাসীর চার ছেলে চার মেয়ে—মাসী দেখবেন । শোন, তোমার ব্যারিষ্টার-কাকার সঙ্গে আমি পরামর্শ করতে