পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংভুমের তাম্রখনি ঐপিণাকীলাল রায় যুবর্ণরেখা নদীর প্রায় সমান্তরালে লীলায়িত পাহাড়ের শ্ৰেণী সিংহুম জেলার পশ্চিম প্রান্ত হইতে পূৰ্ব্ব প্রাস্ত পর্যন্ত বিস্তার লাভ করিয়া দিওঁ মণ্ডলকে গাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করিয়া দাড়াইয়া আছে । এই সকল পাহাড় ব্যাপিয়া যে একটি তাম্র-প্রস্তরের স্তর (Singhbhum Copper Belt) বিদ্যমান আছে, কাননকুন্তলা ধরিত্রীর কটিমেখলার মত, তাহার অস্তিত্ব পাশ্চাত্য খনিতত্ত্ববিদেরা আবিষ্কার করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই, পরন্তু এই সেদিন, দুই জন জৰ্ম্মান বিশেষজ্ঞ (Geo-physicist) তাহদের ও কৃষ্টির লীলাভূমি রূপে সমগ্র জগতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সক্ষম হইয়াছিল, সেই সময় এই সকল পাহাড় হইতে তাম্রপ্রজনন ক্রিয় যে যথেষ্টই চলিয়াড়িল তাহার প্রমাণের অভাব নাই। তাম্র-প্রস্তর উত্তোলনের গহবর (shaft), ফারনেস হইতে তাম-নিষ্কাসনের পর পরিত্যক্ত ময়লার স্ত,প (slags), এবং গলিত তাম ঢালিবার জন্ত তৈরি বড় বড় মুচির (crucibles) ভগ্ন থও, এখনও পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলের স্থানে স্থানে প্রচুর দেখিতে পাওয়া যায়। মহারাজা অশোকের নামাঙ্কিত তামমুদ্রা ও তাম্রফলক কচিৎ মেীভাণ্ডার কারখানার এক পাশ্বের সাধারণ দৃষ্ঠ নবাবিষ্কৃত যন্ত্রপাতির সাহায্যে এই তাম্র-প্রস্তরের প্রধান স্তর ও তাঁহার শাখা-উপশাখার সঠিক অবস্থান হাতে-কলমে দেখাইয়া দিয়া গিয়াছেন, এই ধরিত্রীরই পিঠের উপর বসিয়া -ধেমন কোন অভিজ্ঞ অস্তু-চিকিৎসক দেহাভ্যস্তরস্থ "রা-উপশিরাগুলির অবস্থান বুঝিতে পারিয়া ছুরি চালাইতে गर्भ इन । t ゾ প্রাচীনকালে, যখন ভারত তৎকালিক সভাত৷ \ ዓ »– »8 কোন জংলী সাওতাল কিংবা খেরোয়াল দেখিতে পাইলে এখনও কুড়াইয়া আনে, আমাদিগকে দেখাইবার জন্ত । কালমাহীয়ে ও অনুশীলনের অভাবে এই খনিজ শিল্পের কথা লোকে প্রায় ভুলিয়াই গিয়াছিল, যদিও এই মূল্যবান সম্পদের বিষয় ভুলিয়া যাওয়ার মত আশ্চর্যাও জগতে কিছু নাই । তত্ৰাচ বলিব, এই আত্মবিস্তৃত জাতির পক্ষে এটা বিশেষ রকম আশ্চর্য নয়, বরং ইহা স্বাভাবিক