পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী ; SS8షి ولاناd বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; নতুবা, ইহার চেয়েও কত শত অমূল্য সম্পদ এই জাতি হেলায় হারাইয়া আজ সর্বহার হইয়া পড়িয়াছে। তবুও এই জাতি আত্মবিস্মরণের অভিশাপ হইতে মুক্ত হইয়। যদিই বা কোন দিন জাগিয়া উঠে—যদিই বা কোন দিন এই মেঘ-ভরা রজনীতে, কোন হাজার বৎসর আগে হারিয়ে-যাওয়া বিদ্যুৎ-আঁকা পথটির সন্ধান সে ফিরিয়া পায়, তাহা হইলে তাহাকে সেই শুতদিনের জন্ত অপেক্ষা করিতেই হইবে । রোলিং মিল ও ওর-বিনের এক পাশ্বের দৃষ্ঠ বহুকাল পরে সিংতুম জেলার সেই নষ্ট শিল্পের আবার পুনরুদ্ধার হইয়াছে, উদ্যমশীল ব্রিটিশ জাতির উদগ্র চেষ্টায় ও তাঁহাদের কৰ্ম্মকুশলতায় । গত শতাব্দীর প্রথম ভাগে তাহারা জানিতে পারে যে, এই সকল পাহাড়ে তামীর অস্তিত্ব আছে এবং প্রায় শত বৎসর পূৰ্ব্বে ১৮৩৩ সালে মিঃ জোনস (Mr. Jones) নামক জনৈক ইংরেজ খনিতাত্বিক নানা রকম কারণ দর্শাইয়া প্রতিপন্ন করেন যে, এই সকল পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলের কোন-না-কোন স্থানে নিশ্চয়ই প্রচুর তাম্র-প্রস্তরের স্তর বিদ্যমান আছে। পরে ১৮৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাস্তের গভর্ণর জেনের্যালের এজেণ্ট ক্যাপটেন্‌ জে, সি, হটন্‌ (Captain J. C. Hanghton) sẽ ng Pilzfeg Gottfēą সাহায্যে খনন করাইয়া তাম্র-প্রস্তরের নমুনা সংগ্রহ করেন ও এই স্তরটির সঠিক অবস্থিতির বিষয় জানিতে পারেন । ইহার ফলে ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাকে সর্বপ্রথম একটি তাম্ৰসমবাৰু সৃষ্টি হয় কলিকাতার কোন প্রসিদ্ধ মহাজদের চেষ্টায়। এই কোম্পানীটি ১৮৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে বন্ধ হইয়া श्वfनि । ১৮৬২ খ্ৰীষ্টাব্দে “দি হিন্দুস্থান কপার কোম্পানী” নামে আর একটি দ্বিতীয় কোম্পানী এক লক্ষ কুড়ি হাজার পাউণ্ড বা প্রায় ষোল লক্ষ টাকা মূলধন লইয়া রাজদোহ নামক স্থানে তাহাঁদের কারখানার পত্তন আরম্ভ করেন কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে ১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইয়া যায়। ইহার পরে ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এব জন মগ্রসিদ্ধ ভূতাত্বিক (Geologist) মি: ভ্যালেনটাইন বল ( Mr Valentine B a l l ) সিংডুমের তাম্রখনির বিষয়ে একটি হৃদয়গ্রাহী প্রবন্ধ লেখেন । তাহাতে তিনি প্রতিপঃ করেন যে, প্রাচীন কাল রাজপুতান অঞ্চল হইতে জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী জাt বা শরাক জাতীয় এক দল লোক প্রতি বৎসর বাণিজ্যব্যপদেশে এদেশে আসিত এবং তাহদের আনীত মল মশলার বিনিময়ে তাহারা লইয়া যাইত এদেশের প্রধান উৎপন্ন পণ্য তাম্র । ফলে তাহারাই এদেশে বসবাস করিয়া তামা তৈরি করিবার প্রণালীটি শিখিয় লয়, কতকটা কুটার-শিল্পের আকারে এবং স্থানী ভূস্বামী ঘাটশিলার রাজার নিকট এমন একটা পাকাপাক রকমের বন্দোবস্ত করিয়া লয় যাহাতে এই কাৰ্য্যা বহুকাল ধরিয়া তাহাদের মধ্যেই নিবন্ধ ছিল । তার প্য কোন কারণে এই ব্যবসা-সংক্রাস্ত বিষয় লইয়া রাজার সহিৎ মনোমালিন্ত ঘটায় তাহারা চিরদিনের জন্ত এদেশ ত্যাঃ করিয়া চলিয়া যায়। কোন কোন স্থানে উত্ত শরাকৃদের স্থাপিত পুষ্করিণী, বাঁধ, কুপ, রাস্তা প্রভৃতি এখনও তাহাদের এদেশে অবস্থিতির ও কীৰ্ত্তির পরিচ প্রদান করিয়া আসিতেছে । তাহারা চলিয়া যাওয়ার পর এই খনিজ শিল্পটি যাহা কুটর-শিল্পের আকারে কোনরূ:ে জীবিত ছিল তাহা একেবারেই লোপ পাইয়া যায়। পুনরায় ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে “দি রাজদোহা’ মাইনি