পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধী মিলে গুড়া হইয়া ঠিক ধূলির আকারে পরিণত হয় । তখন ইহা মিল্‌ হইতে বাহির হইয়া উপরিউক্ত প্রণালীতে মিনারেল সেপারেশন বা অয়েল্ ফ্রোটেশন যন্ত্রে চালিত হয় । তথায় তেল জল ও অন্তান্ত রসায়ন সংযোগে উক্ত ধূলিবৎ প্রস্তর খুব পাতলা কাদার আকারে পরিণত হয় এবং খাটি প্রস্তরের অংশ তামা হইতে বিশ্লিষ্ট হইয়া উপরে ভাসিয়া উঠে। এই ভাসমান ময়লাগুলি তেল ও জলের সঙ্গে অনবরত পয়ঃপ্রণালী দ্বারা বাহির হইয়া গিয়া সুবর্ণরেখা নদীতে পতিত হইতেছে। ময়লাগুলি বাহির হইয় গেলে যাহা নীচে থিতাইয়া থাকে তাহ ‘ড্ৰাইং সেক্শেনে’ লইয়া গিয়া শুষ্ক করা হয় এবং এইখানেই মিলের কার্য্য শেষ হইয়া যায়। এক্ষণে ইণ্ডিয়ান কপার কর্পোরেশন কোম্পানীর জেনেরাল আপিসের এক পার্থের সাধারণ দৃপ্ত তাম্র-প্রস্তরগুলি যে-অবস্থায় উপনীত হইল ইহাই কনসেট্রেট ওর’ নামে অভিহিত। ইহার মধ্যে শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ থাকে তামা অার ৭০ ভাগ থাকে অন্তান্ত ধাতু—যেমন লোহা, নিকেল, সালফার ইত্যাদি। এই শুষ্ক কনসেনট্রেট ওর গালাই করিবার জন্ত রিভারবারেটোরি ফারনেসে ঢালিয়া দেওয়া হয় এবং তথায় গন্ধকের অংশ সালফার ডাইওকসাইড গ্যাসে পরিণত হইয়া চিমনী দ্বারা বাহির হইয়া গেলে, অবশিষ্ট লোহা, নিকেল ও অন্তান্ত পদার্থগুলি দ্রবণীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয় । তারপর সেগুলি ময়লার গাড়িতে գԳԷ, ড়িল-শার্পোশং শপ, ঢালিয়া লইয়া বাহিরে ফেলিয়া দেওয়া হয়। এই রকম প্রক্রিয়া দ্বারা এক্ষণে যাহা অবশিষ্ট রহিল তাঁহাই বিশুদ্ধ তাম। বলিয়া পরিগণিত এবং এই গালিত অবস্থাতেই তাহা ছোট ছোট লোহার ছাচে ঢালিয়া ইষ্টকাকারে পরিণত করা হয়। ম্মেলটার প্লান্টটি পর-পর কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম—মেকানিক্যাল রোষ্টার, দ্বিতীয়–পালভারাইজড কোল্ ফায়ারড, রিভারবারেটোরি ফারনেস, তৃতীয়— বেসিমার কনভারটাস এবং চতুর্থ–পালভারাইজড়, কেলিফায়াড রিফাইনারী ফারনেস। এক্ষণে এই যে নানা রকম প্রণালী দ্বারা বিশুদ্ধ তামা উৎপন্ন হইল ইহার নাম দেওয়া হইয়াছে বি. এস. কিংবা বেষ্ট সিলেকটেড কপার ইনগটস রাসায়নিক বিশ্লেষণ দ্বারা ইহাতে পাওয়া গিয়াছে শতকরা ৯৯-৫ হইতে ৯৯৭ ভাগ পৰ্য্যন্ত বিশুদ্ধ তাম । আজকাল কলিকাতার বাজারে , বি. এস. এবং আই. সি. সি. অক্ষর গুলিদ্বারা চিহ্নিত যে তামার ইষ্টকগুলি সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় তাহা এই কোম্পানীরই তামা । এই সমস্ত তাম ভারতবর্ষের বাজারেই বিক্রয় হইয়া থাকে এবং ইহার পরিমাণ বৎসরে প্রায় ১২০০ টন হইতে ১৫০০ টন পৰ্য্যস্ত। ইহা ছাড়া আরও তাম ব্যবহৃত হইয়া থাকে পিতল বা ইয়োলো মেটাল শিট তৈরি করিবার জন্ত । শতকরা ৬২ ভাগ তামা এবং ৩৮ ভাগ দস্তার সংযোগে এই পিতল বা ইয়োলে; মেটাল শিট প্রস্তুত হইয়া থাকে।