পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ৪ 。、 পেয়েছিলাম । তাতেও আমার খানিক কাজ চলতে পারত। পত্র লিখে জানলাম রাজা বাহাদুর রঞ্জণ শ্রীরামচন্দ্রের এক আলমারিতে পেয়েছিলেন । রাজাকে পত্র লিখলাম, তিনি কিছুই জানেন না । দৈবক্রমে কিছুদিন পরে দুই রাজ। কটকে এসেছিলেন, একত্র ছিলেন । আমি পাথরটি নিয়ে চক্ষুকর্ণের বিবাদ-ভঞ্জন করতে গেলাম। রাজা স্ত্রীরামচন্ত্র বলেন, তিনি সে পাথর কখনও দেখেন নি ; রাজা বৈকুণ্ঠনাথ বলেন, অমুক ঘরের অমুক অলিমরিতে ছিল। খানিক ক্ষণ তর্কাতর্কির পর আমি রাজ প্রীরামচন্দ্রকে ব’ললাম, রাজা, আপনার কত শিলা হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি দেখছেন মা ? ( পাথরট জামায় ভারি ভুগিয়েছিল । বস্তুতঃ সেটা কৃত্রিম কাচ ) } রাঞ্জা গড়ে যেয়ে মাসখানেক পরে আমাকে পত্র লিখলেন, তিনি ইণ্ডিয়া গবমেন্টের কাছে এক জন ভূবিদ্যা-প্রাঞ্জ চেয়েছিলেন, কিন্তু গবমেণ্ট কাকেও দিতে পারেন মা, সম্প্রতি কেহ উদ্ধৃবৃত্ত নাই। প্রমথনাথ বসু-মশায় রাজার পত্র দেথে থাকবেন, এবং সরকারী কম হ’তে অবসর পেয়েই ময়ূরভঞ্জে এগেছিলেন। তার মুখে শুনেছি, লোহার অাকর আবিষ্কার করতে তাকে তেমন কষ্ট করতে হয় নি। পূর্বে ওড়িয়ার ভিন ঠাঁর রাজ্যে আকর হতে লোহা কাড়া হ’ত্ত ; ময়ূরভঞ্জ, হতেও হত। কোথায় হ’ত, বহু-মশায় দেখন্ডে পান । বিলাতী লোহা এলে এদেশের লোহার নাম দেশী লোহা হুয়েছিল । দেশী লোহা টান লোহ", এর আদর ছিল । কামায়কে কাটান্ধী গ’ড়ঙে দিলে সে দেশী লোহা দিয়ে কাটারীর ধার করত। কেঙঝরের দেশী লোহাঁয় সেতারের তার হাত, কটকে কিনতে পাওয়া যেত নিজাম &ায়দারাঘাদের তার উৎকৃষ্ট ছিল । অনেক কাল পর্যস্ত তালচের রাজ্যে ও ৰামড়া রাজ্যে দেশী লোহা পাওয়া যেত । এই বাকুড়া জেলায় লোহার নামে এক জাতি আছে। তারা জানে না, তাদের পূর্বপুরুষ দেশে লোহা যোগাত । সস্ত বিলাতী কাপড় এসে তাতীর অল্প মেরেছে, সপ্ত বিলাতী লোহা এসে লোহারের অল্প মেয়েছে । * , . g রাঙ্গ প্রামচন্দ্র ময়ূরভঞ্জে মূক্তন নূতন কলা প্রতিষ্ঠা o ఏనD83 করতে উৎসাহী ছিলেন । আমি দুইটার বৃত্তান্ত জানি । কিন্তু গ্রহবৈগুণ্যে দুইটাই বিফল হয়েছিল। ইং ১৯০৬ সালে কটক কলেজ হ’তে কৈলাসচন্দ্র ভরতকার বি-এ পাস হয়ে জাপানে কলা শিখতে ইচ্ছুক হ’ল । আমি তাকে *fists; Industrial and Scientific Association হতে জাপানে শিক্ষাধোগ্য কলা, কলাশালায় প্রবেশের কাল, শিখবার সুবিধা অসুবিধা জানতে পাঠালাম। উক্ত সভা ভরতকারকে জাপানে যাবার জাহাজ-ভাড়া দিতে সম্মত হ’লেন, কিন্তু জ্ঞাতব্য সম্বন্ধে কিছুই বলতে পারলেন না । ভরতকার ময়ূরভঞ্জের প্রজ, কিমিতি ( Chemistry ) বিদ্যায় বি-এ পাস । তার বুদ্ধিশুদ্ধিও মন্দ ছিল না। অামি রাজাকে পত্র লিখলাম । তিনি জাপানে থাকবার খরচ দিতে সম্মত হ’লেন । জাপান যাবার আগে আমি ভরতকারকে বুঝিয়ে দিলাম, 'বড় কলার দিকে যাবে না, সৌধীন কলার দিকেও যাবে না, একটা ছোট লৌহ-কলা শিখে আসবে। লোহার তারের পেরেক কিনছি, তুমি ফিরে এসে এই রকম পেরেক দিও ’ আমার বিশ্বাস ছিল, এই নিমাণ অল্পব্যয়ে হ’তে পারবে, রাজfও টাকা দিবেন । ভল্লুতকার জাপানে ঘেয়ে লিখলে, কলাশ!লায় প্রবেশের কাল উৰ্ত্তীর্ণ হয়ে গেছে, জাপানী ভাষা শিখতেও ছ-মাস লাগবে, শুধু বসে না থেকে সে কৃষিবিদ্যা কলেজে ঢুকতে চায়, সেখানে তখনও ছাত্র নিতে পারে । আমি পত্র পড়ে হতাশ হলাম, তার জাপান যাওয়া বৃথা, রাজার টাকা খরচও বৃথা হ’ল। দু-বছরের পর আরও দু-মাস থেকে ভরতকার ফিরে এল । রাজার সঙ্গে কি কথা হয়েছিল জানি না। আমার সঙ্গে দেখা করতে এল । আমার জানা ছিল, তাঁর বিজ্ঞা কোনও কাজেই আসবে না । কথাবার্তায় তাই বুঝলাম। সে টনি করতে শিখে এসেছে, রাঙ্গ কারখানা খুলতে টাকা দিতে চান না। রাজা তাকে একটা চাকরি দিতে চান, জমি নিরিখের কাজ, সেকাজ সধাই পারে, ইত্যাদি। ময়ূরভঞ্জ আখচাধের জন্ত প্রসিদ্ধ । ছিল না, কেমনে চীন হবে ? "কথারও উত্তর "নাই ।” তথাপি রাজাকে লিখলাম, ভরতকার ফেৰিঙ্গ শিখে এসেছে, সে-বিস্কার ফলভাগী হওয়া উচিত। আমি রঞ্জিার উত্তরে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হলাম । তিনি লিখলেন, যার জ্ঞানের