পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৭২

  1. প্ৰবাসী ;

ఏరి8ు পিতলের কারখানায় তামা ও দস্তার ইষ্টকগুলি ইলেকটিক ইন্‌ডকৃশন ফারনেসে গালাই হইয়া ঠাণ্ডা জলসিক্ত ছাচে ঢালাই করা হয়। এইরূপ প্রক্রিয়ায় তৈরি পিতলের ইষ্টকগুলির নাম দেওয়া হয় “ব্লুমস্”(Blooms ) । যখন এই ব্লুম্‌গুলি ছাঁচ হইতে বাহির করা হয় তখন সেগুলির উপরি ভাগ এবৃড়ে-খেলুড়ো ও ময়লায় ভৰ্ত্তি থাকে। তখন, স্কেপিং মেশিনের দ্বারা ব্লুমের উপরিভাগের এক পর্দা চাচিয়া ফেলিয়৷ মন্থণ ও ঋকৃঝকে করা হয়, সেগুলিকে রোলিং মিলের উপযোগী করিয়া লইবার জন্ত । ব্লুমগুলি প্রথমে রোলিং মিলের একটি ফারনেসে উত্তপ্ত করিয়া লইয়া “রাফ রোলের” দ্বারা সেগুলি মোটা প্লেটর আকারে পরিবর্তন করা হয় । তার পর, তাহা পুনরায় গরম করিয়া ও “স্মথ, রোলের” সাহায্যে সেগুলিকে খরিদারদের অর্ডার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ‘গেজে’ পরিবৰ্ত্তিত করিয়া চারি বর্গফুটের আকারে কটিয়া লওয়া হয় | ইহাই এই শিষ্ট্রগুলির চরম অবস্থা নহে। বাজারে বিক্রয়োপযোগী করিবার পূৰ্ব্বে আর একটি ফারনেসে শিটগুলি টেম্পর করিয়া লইতে হয় এবং ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার জন্ত রাসায়নিক দ্রাবকে ধুইয়া লইয়া ইহার সর্বশেষ প্রসাধন-ক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হয় । এক্ষণে মাসে মাসে প্রায় ৭০০ টন্‌ করিয়া এই পিতলের শিট তৈরি হইতেছে এবং এই যাবতীয় শিট কলিকাতা, বোম্বাই ও মন্দ্রিাজের বাজারে বিক্রয় হইতেছে। বি. এস্ রেলওয়ের ঘাটশিলা ষ্টেশন হইতে একটি সাইডিং লাইন বাহির হইয়া মৌ ভাণ্ডারের কারখানা পর্যন্ত আসিয়াছে এবং যাহা কিছু প্রয়োজনীয় আমদানী ও রপ্তানী পণ্যের যাতায়াত-কাৰ্য্য নিৰ্ব্বিবাদে সম্পন্ন হইতেছে । ঘাটশিলার নিকটবৰ্ত্তী মৌভাণ্ডারে কোম্পানীর প্রধান আপিস স্থাপিত হইয়াছে । এই মৌভাণ্ডার কারখানাট ২৩ জন সাহেব ও ভারতীয় কৰ্ম্মচারী এবং ১৫০০ জন দেশীয় শ্রমিকের দ্বারা পরিচালিত হইতেছে । মৌভাণ্ডার ও মোষবিনী উভয় ক্যাম্পের সৰ্ব্বসমেত কৰ্ম্মচারীর সংখ্যা হইতেছে ৪০ জন সাহেব এবং প্রায় ৪০০০ জন ভারতীয় । সম্বৎসরে কোম্পানীর উৎপন্ন পণ্যের পরিমাণ ৬৫০০ টন বিশুদ্ধতম এবং ৮০ ০০ টন পিতলের শিট । কলিকাতার প্রসিদ্ধ গিল্যানডাদ আরবুর্থনট এণ্ড কোম্পাণী এই সমস্ত পণ্য ভারতের বাজার বিক্রয় করিবার জন্ত কোম্পানীর সোল সেলিং এজেণ্ট রূপে নিযুক্ত হইয়াছেন।*

  • इविरुलि কোম্পালার জেনেয়্যাল ম্যানেজারের সৌজন্তে প্রাগু ।