পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&boo ઉ & ఎ98S এই হিসাবে হাভেল সাহেবের প্রচেষ্টা জাতীয় সাধক কোনও ভারতীয়ের চেষ্ট হইত কম মূল্যবানু নহে। পক্ষাস্তরে, ইংরেজী শিক্ষার অতি-প্রভাবে বিজাতীয় ভাবগ্রস্ত ‘শিক্ষিত’ ভারতীয়কে আপনার দেশের শিল্পসাধনার মৰ্ম্মস্থান উদঘাটন করিবার পথ দেখাইয়া দিয়া, হাভেল সাহেব ভারতের নুতন দেশাত্মবোধের ইন্ধন যোগাইয়া, জাতীয়তার শ্রেষ্ঠ পুরোহিতের স্থান অধিকার করিয়াছিলেন। ভারতের প্রাচীন শিল্পের বিশিষ্ট রূপ ও প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন করিয়া, জগতের শিল্পের দরবারে ভারতীয় শিল্পের জন্ত শ্রেষ্ঠ আসন দাবি করিয়া, ভারত এবং যুরোপের শিক্ষিত সমাজে নানা অপমান ও লাঞ্ছন হাভেল সাহেবকে বরণ করিতে হইয়াছিল। সৰ্ব্বাপেক্ষ কৌতুকের বিষয় এই, যে, শিক্ষিত ভারতবাসী তাহার ভারতীয় শিল্পের স্তুতিবাদ প্রথমে বিরোধের দৃষ্টিতে এবং চিরকালই কিছু সনেহের চক্ষে দেখিয়া আসিয়াছে। আজও শিক্ষিত ভারতবাসীদের মধ্যে খুব কম লোকই আছেন, যাহার হাভেল সাহেবের ভারত-শিল্পের মূল্যের দাবি অকপটে ও সম্পূর্ণভাবে মানিয়া লইতে প্রস্তুত আছেন । ভারতের অকৃত্রিম সুহৃদ হাভেল সাহেবের জীবন ও কৰ্ম্মপদ্ধতি ভারতের সাধনার বিশিষ্ট গুণাবলীর ব্যাখ্যা ও প্রচারে একান্তভাবে নিয়োজিত ছিল । তাহার লিখিত নানা গ্রন্থ ও পুস্তকাদিতে ভারতীয় সাধনার উপর তাহার গভীর প্রেম ও ভক্তির পরিচয় লিপিবদ্ধ আছে । কলিকাতার সরকারী শিল্প-বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের পদ নানা কৰ্ত্তব্য ও নানা দায়িত্বের পদ ৷ এই পদের নানা কৰ্ত্তব্যের মধ্যে অবসর খুজিয়া লইয়া তিনি ষেরূপে ভারতের শিল্প-সাধনার ঐকান্তিক অনুশীলন ও সেবা করিয়াছেন তাহ বাস্তবিকই বিস্ময়ের ব্যাপার। অধ্যক্ষতার অনবসরের অবকাশের মধ্যে র্তাহার ভারতীয় কৃষ্টির নানা বিভাগের গভীর অনুশীলন ও অনুসন্ধানের চেষ্টার পরিচয় তাহার রচিত এক একটি পুস্তকে ভারতের প্রাচীন শিল্প-মন্দিরে ভক্তের অর্থের মত বিদ্যমান রহিয়াছে। র্তাহার প্রথম পুস্তক ‘estow strath ox-foo' (Stone-Carving in } |. এই পুস্তক প্রণয়ন করিবার সময় তিনি প্রথম, পিান যে, প্রাচীন পদ্ধতির প্রস্তরশিল্প ও বাঞ্চি? কুড়ি-শতকেও জীবিত আছে। এই সময়ে পুরীর "এমার-মঠে, অপুৰ্ব্ব কারুকার্য্যখচিত একটি নূতন পান্থশালা সবেমাত্র নিৰ্ম্মিত হইয়ছিল । ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষিত বাঙালী পুরীতে তীর্থযাত্রাদি ও স্বাস্থ্যের উদ্দেশে যাতায়াত মুরু করিয়াছিলেন। কিন্তু এই নুতন পান্থশালার অপূৰ্ব্ব স্থাপত্যের পরিচয় হাভেল সাহেবের পূৰ্ব্বে কোনও বাঙালীই দিতে পারেন নাই । ভারতের সাধনার আকৃত্রিম ভক্তের দ্বিতীয় উপহার—“বারাণসীর পবিত্রপুরী ; হিন্দুto s of fêu' ( Benares, the Sacred City : Sketches of Hindu Life and Religion, 1905) i est গ্রন্থে তিনি দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, যে, হিন্দুর জীবন ও কৰ্ম্মপদ্ধতি অন্ধ-বিশ্বাস ও কুসংস্কারের সমষ্টি-মাত্র নহে, পরস্তু, হিন্দুর কৰ্ম্মজীবনে ও আচারের মধ্যে উচ্চ-অঙ্গের ভাবুকতা ও আধ্যাত্মিক দার্শনিকতা সুন্দরের রূপ লইয়া প্রস্ফুটিত হইয়া আছে ৷ vকাশীধামের সাধারণ জীবনযাত্রার নানা খুটিনাটির সাহায্যে, তিনি হিন্দুর ধৰ্ম্মজীবনের গভীর আধ্যাত্মিকতার চিত্র অপূৰ্ব্ব কৌশলে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। সামান্ত উপকরণে, তৈজসাধারে, স্নান-ঘাটের আকস্মিক দৃতে, পথের ধারে একটি উপেক্ষিত পাথরের নক্সায়, মন্দিরের প্রবেশ-পথের স্তিমিত-আলোকের ফাকে ফাঁকে যাত্রীদের নানা ভঙ্গীতে, ভজনারত সাধু-সন্ন্যাসীদের নিবিষ্ট চিত্রাদিতে, হাভেল সাহেব হিন্দুর আধ্যাত্মিক জীবনের রহস্তের যে সমগ্র মুৰ্ত্তিটি আমাদের চক্ষে উপস্থিত করিয়াছেন, তাহা আর কোনও শিক্ষিত বিজাতীয়ের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। র্তাহার তৃতীয় পুস্তক “আগ্রা ও তাজ” ( Hand Book to Agra and the Taj, 1st ed., 1907, Revised Edition, 1912) , ej* eqwqffèt *sifì*tqa উপযোগী পরিচয় পুস্তিকা মাত্র । কিন্তু এই পুস্তিকায় হাভেল সাহেব নিপুণ বিশ্লেষকের কৌশলে সহজে প্রতিপন্ন করিয়াছেন, যে, মোগল-যুগের স্থাপত্য-কলা পারস্তশিল্পের छांद्रछ जुखांन नtङ्, किश्यां हेडांर्जौद्र ७छांलभिज्ञैौन्न दिछांउँौम्न পরিকল্পনা নহে, পরন্তু, ভারতের মানস-সরোবরের সহজ্বাত শ্রেষ্ঠ সরসিজ । মোগল-স্থাপত্যের রসানুসন্ধানের প্রথমস্বচল। এই পুস্তিকায় প্রথম পাওয়া যায়। এই ক্ষুত্র পুস্তিকাট প্রাচীনপন্থী পুরাতাকিঙ্গের জন্মবিশ্বাসেরর্গে প্রচণ্ড আঘাত