পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্যম ৰিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে মুসলমানদের শিক্ষা trషాtr তাহার উপর পরস্পর-বিরোধী দুটা হুকুম জারি করিয়াছেন । অবগু এই বিরোধভঞ্জনের ক্ষমতাও ঐ কর্তৃপক্ষের আছে। তাহাকে পীড়িত পিতাকে দেখিবার ও পরে পিতৃশ্ৰাদ্ধ করিবার নিমিত্ত অনুমতি ও ছুটি দেওয়া হইয়াছিল । ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত হইবার জন্তও গবন্মেণ্ট তাহাকে অনুমতি ও ছুটি দিতে পারেন । বিচারাস্তে অপরাধ প্রমাণিত হইবার পর মানুষের যেরূপ শাস্তি হয়, বিনা বিচারে এবং কোন অপরাধ প্রমাণিত না-হইলেও তাহার শাস্তি তার চেয়ে বেশী হইতে পারে তাহার দৃষ্টান্ত ভারতবর্ষে-বিশেষতঃ বাংলা দেশে— অনেক আছে। শরৎ বাবুর বিরুদ্ধে ভারত-গবন্মেণ্টের স্বরাষ্ট্রসচিব যাহা বলিয়াছেন, তাহার কোন প্রমাণ তিনি দেন নাই —প্রমাণ থাকিলে ও দিতে পারিলে আদালতে শরৎ বাবুর বিচার হইত। কিন্তু যদি ধরিয়া লওয়া যায়, যে, তাহার বিরুদ্ধে যাহা বলা হইয়াছে তাহী সত্য, তাহ হইলেও নির্দিষ্ট কয়েক বৎসরের জন্ত র্তাহার স্বাধীনতা লোপ এবং কতক অর্থদণ্ড হইত। কিন্তু তাহার ব্যারিষ্টারির আয় দীর্ঘ কালের জন্ত নষ্ট হওয়ায় প্রকারাস্তরে তাহার যে জরিমান হইয়াছে সেরূপ প্রভূত অর্থদণ্ড পীন্তাল কোড অনুসারে কোন অপরাধীরই হয় না, এবং নির্দিষ্ট কয়েক বৎসরের জন্ত স্বাধীনতলাপের পরিবর্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্ত র্তাহার স্বাধীনতা লুপ্ত হইয়াছে। শাসনযন্ত্রের মহিমা । মৃভাষচন্দ্রের পুস্তক বাজেয়াপ্তী মুভাষচন্দ্র করাচী পৌছিবার পর তাহার জিনিষপত্র হাতড়াইয়া তাহার মধ্য হইতে র্তাহার অচিরে প্রকাশিতব্য ভারতীয় স্বাধীনতা প্রচেষ্টা-বিষয়ক রাজনৈতিক পুস্তকের টাইপ-লিপি পুলিস হস্তগত করে, এবং পরে তাহসরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হইয়াছে। প্রকাশিত হইবার অাগেই বাজেয়াপ্ত ! শাসন-যন্থের ঘূর্ণনের ফল নানা রকম হইয়া থাকে। যাহা হউক, সুভাষ বাবুর পুস্তকের উহাই একমাত্র টাইপ-লিপি ছিল না { কোন বুদ্ধিমান ভারতীয় লেখকই স্বাধীনতা-প্রচেষ্টা-বিষয়ক বহির একমাত্র পাণ্ডুলিপি সঙ্গে লইয়া বেড়ান না), অন্ত একটি তাহার বিলাতী প্রকাশকদের কাছে ছিল । তাহারা বলিয়াছেন, উহা বর্তমান জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি বাহির হইবে । তাহাতেও যে বাধা জন্মিতে ন-পারে, এমন নয়। সাগুলিfাও সাহেবের যে “ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ” পুস্তকের প্রকাশক বলিয়। প্রবাসীর সম্পাদককে দুই হাজার টাকা জরিমানা দিতে হইয়াছিল, তাহা বিলাতের জর্জ র্যালেন এণ্ড আনউইন নামক প্রকাশকদের ছাপিবার কথা ছিল। সব আয়োজন ঠিক্ হইয়াছিল, তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠক আরম্ভ হইবে এবং ঐ বহির বিলাতী সংস্করণও বাহির হইবে। পরে থবর পাওয়া গেল, বিলাতী কর্তৃপক্ষের হুকুমে উহার প্রকাশ বন্ধ হইয়া গিয়াছে। সুতরাং বিলাতেও মুদ্রণযন্ত্রের ও প্রকাশকদের স্বাধীনতা স্বদেশ-সম্বন্ধীর ব্যাপারে যতটা আছে, ভারতবর্ষীয় ব্যাপারে কার্যতঃ ততটা নাই। কাগজে বাহির হইয়াছে, বিলাতের বর্ণার্ড শ, এইচ জি ওয়েল্স, য়্যাল্ডস হক্সলী, এবং আল রাসেল প্রমুখ লেখকগণ এবং ভারতবর্ষের রবীন্দ্রনাথ সুভাষ বাবুর বহির টাইপ-লিপি বাজেয়াপ্ত করার জোরাল প্রতিবাদ করিয়াছেন বা করিবেন। এরূপ প্রতিবাদ প্রতিবাদকারীদের পক্ষে প্রশংসার বিষয়, কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ প্রকাশ সম্পর্কে প্রবাসীর সম্পাদকের দণ্ডের বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রধান প্রধান উদারনৈতিকেরা মিঃ ম্যাকড়স্তাল্ডের কাছে তীব্র প্রতিবাদ পাঠাইয়াছিলেন, কিন্তু কোন ফল হয় নাই । বঙ্গে মুসলমানদের শিক্ষা বঙ্গে মুসলমানদের শিক্ষা বিষয়ে পরামর্শ দিবার জন্ত গবন্মেণ্ট একটি কমিটি নিযুক্ত করেন। তাহারা ১৭২ পৃষ্ঠাব্যাপী একটি রিপোর্ট পেশ করিয়াছেন। উহাতে তাহারা প্রাথমিক শিক্ষা আইন অনুসারে অবৈতনিক আবশুিক শিক্ষা প্রবর্তন না-হওয়া পৰ্য্যস্ত মক্তবগুলি এখনকার মতই চালাইতে বলিয়াছেন । সাম্প্রদায়িক শিক্ষার ফলাফল সম্বন্ধে অমুসলমান ভারতীয়দের মতের মধ্যে মুসলমানরা কুমভিসন্ধির অস্তিত্ব সন্দেহ করিতে পারেন। সরকারী ইংরেজ কৰ্ম্মচারীরা তাঙ্কাদের বন্ধু ; তাহাদের মত্ত হয়ত তাহারা ফুরভিসন্ধিহীন মনে করিবেন। সেই