পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

越磁も〜 ఏనిరిసి অনুসারে গঠিত হইয়া থাকিলেও উহার এক-পঞ্চমাংশ হে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে তাহাজের এক জনও ঐ কমিটিতে নাই । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভ্যসংখ্যা ২৫ জন বা অস্তুতঃ ২১ জন করিলেইত প্রত্যেক প্রদেশের এক জন করিয়া প্রতিনিধি উহাতে থাকিতে পারেন। তাহ করা হয় না কেন ? বাঙালী এক জনও যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে নাই, সেইদোষটি সারিয়া লইবার জন্ত কমিটির অধিবেশনে ২১ জন বাঙালী কংগ্রেসওয়ালীকে ডাকা হয় । এবারও ডাকা হইয়াছে । কিন্তু কংগ্রেস কর্তৃপক্ষের মনে রাখা উচিত, যে, এমন কংগ্রেসওয়ালারাই বঙ্গের প্রতিনিধি র্যাহারা অন্তরে ও বাহিরে স্পষ্টতঃ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার বিরোধী। বঙ্গে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্যনিৰ্ব্বাচনে তাহা প্রমাণিত হইয়াছে, সুভাষ বাবুকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি-নিৰ্ব্বাচনে তাহা প্রমাণিত হইয়ছে, এবং এবার বঙ্গের দুই কংগ্রেসী দলের মধ্যে রফার দ্বারা মিলিত প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি গঠিত হওয়ার দ্বারাও তাহা অংশতঃ প্রমাণিত হইয়াছে । ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে বড়লাট কলিকাতায় বিজ্ঞান কংগ্রেসের যে অধিবেশন হইয়া গেল বড়লাট তাহার প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন। উহা পড়িলে লোকের মনে হইতে পারে, যেন ভারতবর্ষের ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট ভারতে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা বিস্তার ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্ত নিজের কৰ্ত্তব্য করিয়াছেন, এখন অন্তের যাহা করিবার করুক। আমাদের ধারণা সেরূপ নহে। আমরা মনে করি, গবক্সেণ্ট “পিত্তিরক্ষা” মাত্র করিয়াছেন। সব প্রদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে আরম্ভ করিয়া বৈজ্ঞানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করিলে তবে দেশে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বাড়িবে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রশস্ত ভিত্তি স্থাপিত হইবে। গত্বৰ্ম্মেন্টের নিজ খায়ে দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা-মন্দির . অল্পই স্থাপিত হইয়াছে ও श्रृंक्लिोनिङ , झ्हेप्ङग्नुझ । कब्जािकोठा-विश्वेदिङ्गाजुङ्ग বিজ্ঞান কলেজ স্থাপন ও তাঁহার কাজগুলি তাঁরঞ্চনীখ পালিত, রাসবিহারী ঘোষ ও খয়রার কুমারের দান ব্যতীত হইতে পারিত না । বিজ্ঞান কলেজের সকল বিভাগ এক জায়গায় একত্র করিলে তবে উহার কাজ ভাল করিয়া চলে। আপার সাকুলার রোডে বিজ্ঞান কলেজের কাছে জমিও প্রায় আট-নয় বিঘা আছে। দাম আনুমানিক তিন লাখ টাক পড়িবে। তাহার পর ঘর-বাড়ী নিৰ্ম্মাণের খরচ আছে । ভারত-গবন্মেণ্ট অন্ততঃ ঐ তিন লাখ টাকা ত অনায়াসেই দিতে পারেন। তাহা হইলে বুঝিব, ভারত-গবন্মেণ্ট খুব বিজ্ঞানোৎসাহী । জাতীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান স্তর চন্দ্রশেখর রামনু বাঙ্গালোরে একটি বৈজ্ঞানিক পরিষদ স্থাপন করিয়া ও তাঁহার নাম ভারতীয় বিজ্ঞান *ifo (Indian Academy of Science ) for sing ভারতীয় বৈজ্ঞানিক পরিষদটি নিজের প্রভুত্বের অধীন রাখিবার চেষ্টা করেন। ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে এই বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক ও বাগ-বিতণ্ডার ইহাই সুত্রপাত । সুখের বিষয়, বে, এই ঝগড়া মিটিয়া গিয়াছে, এবং সমগ্র ভারতের জন্ত “জাতীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান” (National Institute of Science) of Riota gifts ofts শুনিলাম এই মিটমাট প্রধানতঃ এক জন ইংরেজ বৈজ্ঞানিক কৰ্ম্মচারীর মধ্যস্থতায় হুইয়াছে । কেবল দেশী লোকদের সুবুদ্ধিতে হইলে মারও সস্তোষের বিষয় হুইত । এই “জাতীয়” প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ( অবৈতনিক ) কৰ্ম্মচারী ও সদস্তদের তালিকা দ্রষ্টব্য। ইহাঙ্গের মোট সংখ্যা ৩৩। র্তাহাদের মধ্যে ১৩ জন ইংরেজ। সভাপতি ইংরেজ ও সরকারী কৰ্ম্মচারী, সহকারী সভাপতি ইংরেজ ও সরকারী কৰ্ম্মচারী। ২৯ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৬ জন বাঙালী। জন সাধারণ সেক্রেটীর মধ্যে এক জল সরকারী ইংরেজ কৰ্ম্মচারী। । ভারতবর্ষে ৰৈঞ্জীনিক গবেষণা এত বেশী পরিমাণে ইংরেজদের দ্বারা হইয়াছে ও হয়, তাহ সৰ্ব্বসাধারণের