পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$రి 'SS8ు যেমনতর স্বৰ্য্য যখন পশ্চিম অভিমুখে অস্তাচলের তটদেশে তখন তার সামনে থাকে উদয়দিগন্ত, যেখানে তার প্রথম ধাত্রারম্ভ । অতীতকাল সম্বন্ধে আমরা যখন যলি তখন আমাদের হৃদয়ের পূর্বরাগ অত্যুক্তি করে, এমন বিশ্বাস লোকের আছে। এর মধ্যে কিছু সত্য আছে, কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নেই। যে দূরবর্তী কালের কথা আমরা স্মরণ করি তার থেকে যা কিছু অবস্তির তা তখন স্বতই মন থেকে ঝরে পড়েছে । বর্তমান কালের সঙ্গে যত কিছু আকস্মিক যা কিছু অসঙ্গত সংযুক্ত থাকে তা তখন স্থলিত হয়ে ধুলিবিহীন ; পূৰ্ব্বে নানা কারণে যার রূপ ছিল বাধাগ্রস্ত তার সেই বাধার কঠোরতা আজ আর পীড়া দেয় না । এই জন্ত গতকালের যে-চিত্র মনের মধ্যে প্রকাশ পায় তা সুসম্পূর্ণ, যাত্রারম্ভের সমস্ত উৎসাহ স্মৃতিপটে তখন ঘনীভূত। তার মধ্যে এমন অংশ থাকে না যা প্রতিবাদরূপে অন্ত অংশকে খণ্ডিত করতে থাকে। এই জন্তই অতীত স্মৃতিকে আমরা নিবিড়ভাবে মনে অনুভব ক’রে থাকি। কালের দূরত্বে, যা যথার্থ সত্য তার বাহরূপের অসম্পূর্ণত ঘুচে যায়, সাধনার কল্পমূৰ্ত্তি অক্ষুণ্ণ হয়ে দেখা দেয় । প্রথম যখন এই বিদ্যালয় আরম্ভ হয়েছিল তখন এর আয়োজন কত সামান্ত ছিল, সেকালে এখানে যারা ছাত্র ছিল তারা তা জানে। আজকের তুলনায় তার উপকরণবিরলতা, সকল বিভাগেই তার অকিঞ্চনত অত্যন্ত বেশি ছিল । ক’টি বালক ও দুই-এক জন অধ্যাপক নিয়ে বড় জামগাছতলায় আমাদের কাজের স্বচনা করেছি। একান্তই সহজ ছিল তাদের জীবনযাত্রা—এখনকার সঙ্গে তার প্রভেদ গুরুতর। এ কথা বলা অবগুই ঠিক নয় যে এই প্রকাশের ক্ষীণতাতেই সত্যের পুর্ণতর পরিচয় । শিশুর মধ্যে আমরা যে রূপ দেখি তার সৌম্বর্ষ্যে আমাদের মনে আনন্দ জাগায় কিন্তু তার মধ্যে প্রাণরূপের বৈচিত্র্য ও বহুধাশক্তি নেই। তার পুর্ণ মুল্য ভাবী-কালের প্রত্যাশার মধ্যে। তেমনি আশ্রমের জীবনযাত্রার যে প্রথম উপক্রম, বর্তমানে সে ছিল ছোট, ভবিষ্যতেষ্ট সে ছিল বড়। তখন যা ইচ্ছা করেছিলাম তার মধ্যে কোনো সংশয় ছিল না । তখন আশা ছিল অমৃতের অভিমুখে, ধে-সংসার উপকরণবহুলতায় প্রতিষ্ঠিত তা পিছনে রেখেই সকলে এসেছিলেন । যারা । এখানে আমার কৰ্ম্মসঙ্গী ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র ছিলেন র্তারা । আজ মনে পড়ে, কী কষ্টই না তারা এখানে পেয়েছেন, দৈহিক সাংসারিক কত দীনতাই না তারা বহন করেছেন। প্রলোভনের বিষয় এখানে কিছুই ছিল না, জীবনযাত্রার সুবিধা তো নয়ই, এমন কি থ্যাতিরও না, অবস্থার ভাবী উন্নতির আশা মরীচিকারূপেও তখন দূরদিগন্তে ইন্দ্রজাল বিস্তার করে নি। কেউ তখন আমাদের কথা জানত না, জানাতে ইচ্ছাও করি নি; এখন যেমন সংবাদপত্রের নানা ছোটবড় জয়ঢাক আছে যা সামান্ত ঘটনাকে শব্দায়িত ক’রে রটনা করে তার আয়োজনও তখন এমন ব্যাপক ছিল না । এই বিদ্যালয়ের কথা ঘোযণা করতে অনেক বন্ধু ইচ্ছাও করেছেন, কিন্তু আমরা তা চাই নি । লোকচক্ষুর অগোচরে, বহু দুঃখের ভিতর দিয়ে সে ছিল আমাদের যথার্থ তপস্তা । অর্থের এত অভাব ছিল যে আজ জগদ্ব্যাপী দুঃসময়েও তা কল্পনা করা যায় না। আর সে কথা কোনোকালে কেউ জানবেও না, কোনো ইতিহাসে তা লিখিত হবে না । আশ্রমের কোনো সম্পত্তি ছিল ন সহায়তা ছিল না— চাইও নি । এই জন্তই, যারা তখন এখানে কাজ করেছেন র্তারা অস্তরে দান করেছেন, বাইরে কিছু নেন নি । যে আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে এখানে এসেছি তার বোধ সকলেরই মনে যে স্পষ্ট বা প্রবল ছিল তা নয় কিন্তু অল্প পরিসরের মধ্যে তা নিবিড় হ’তে পেরেছিল। ছাত্রেরা তখন আমাদের অত্যন্ত নিকটে ছিল—অধ্যাপকেরাও পরস্পর অত্যন্ত নিকটে ছিলেন, পরস্পরের মুহৎ ছিলেন তারা । আমাদের দেশের তপোবনের আদর্শ আমি নিয়েছিলাম । কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সে অাদর্শের রূপের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু তার মুল সত্যটি ঠিক আছে—সেটি হচ্ছে, জীবিকার অfদর্শকে স্বীকার ক’রে তাকে সাধনার আদর্শের অনুগত করা । এক সময়ে এটা অনেকট সুসাধ্য হয়েছিল, যখন জীবনযাত্রার পরিধি श्णि छनडियूह९ । ७ॉहे श:ण३ cगह ऋझांब्रङtनन्न भ८थी সংজ জীবনযাত্রাই শ্রেষ্ট আদর্শ একথা সম্পূর্ণ সত্য নয়। উচ্চতর সঙ্গীতে নানা ক্রটি ঘটতে পারে, একতারায় ভূলচুকের সম্ভাবনা কম, তাই বলে একতাম্বাই শ্রেষ্ঠ এমন