পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ఖ8 এত বিরাটরূপেই মৃত্যুকে সামনে রাখতে হয়েছে যে সংসারের সমস্ত স্থিতিপ্রবণ নীতির পরেই তার আস্থা গেছে শিথিল হয়ে । এই সমস্ত কারণ জড়িয়ে মানুষ আজ অপেন অর্থব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা একেবারে মূলের থেকে পরখ ক’রে দেখতে প্রবৃত্ত। যখন মানুষের ছিল সম্পন্ন অবস্থা, তার ভোগের অধিকার ছিল ব্যাপক, তখন পুরাতন নিয়মকে নাড়া দিতে ‘ তার ভয় ছিল, পাছে কোনো জায়গায় তার আরামে তার ঐশ্বর্যে ভাঙন লাগে--আজি সেই ভয়ের দশা গেছে—যার যার পুরোনো আশ্রয়ের জীর্ণ ভিত্তি থেকে সবাই বেরিয়ে পুড়ছে। নতুন করে পরীক্ষা করবার ভয় আর রইল না । कfुम्ला ! যুরোপে যে তোলাপাড়া চলচে সে স্বভাবের নিয়মে, বহু লোককে নিয়ে—কেবল বইপড়া কয়েক জন চশমাপরা লেখক-পাঠকের সৌধীন বিচার নিয়ে নয়। ভীষণ তাদের অীগ্রন্থ, কুশিয়ার দিকে তাকালেই তা দেখা যায়। এই আগ্রহ সম্ভবপর হত না যদি নূতন অবস্থায় মানুষের কাছে একাস্তভাবে ধরা না পড়ে থাকে যে, যে-সব বাধন একদা ছিল স্থিতির অনুকূলে, আজ তাতে স্থিতির সহায়ত S98) আর করছে না কেবল তা বন্ধনরূপেই আছে । বলা বাছলা, সেখানেও সনাতনী আছে মানবন্ধভাবে। সেও রীতিমাত্রকেই পবিত্র প্রত্যাদেশ বলে মানে। তাদেরকেও সমাজে প্রয়োজন আছে । পরখ করবার দিনে তাদের বিরুদ্ধতাও সত্যের পরিচয়ে সহায়তা করে। আজ যুগান্তরের দিনে আমরা বইপড়া পণ্ডিতর অপেক্ষাকৃত দূরে আছি। জিনিষটাকে কেউ বা দেখছি বন্ধমুক্ত প্রবৃত্তির দিক থেকে, কেউবা অন্ধদৃষ্টি সনাতনের মোহের থেকে । আমার মন বলছে, নিশ্চিত জানি নে মানুষ কী ক’রে আপন অপরিহার্য সমস্তার সমাধান করে— পাশ্চাত্যে সমুল সমাধানের ষে প্রচণ্ড উদ্যম চলেছে সেট শান্ত্রিক নয়, সাহিত্যিক নয়, সেটা সামাজিক জীবনমৃত্যুর একান্ত প্রয়োজনঘটত। যদি পরজন্ম থাকে, তবে পৌত্র হয়ে জন্মিয়ে তখন ফলাফল দেখে বিচার করব । ইতি ২১ এপ্রেল ১৯৩৩ । আপনাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবাসী সম্পাদককে লিখিত চিঠি ] இநஜ মৃত্যু নাহি মম শ্ৰীমলিন হালদার কবি কহে, মৃত্যু তার আপনার জন, কবি কহ, মৃত্যু তার খাম-সম ধন। ছুরাশার কুয়াশায় নিরাশ-স্বপন মিথ্যা কথা, কেবা কহে নাহি কিছু বড় নামে যবে তল্লাহত মান আঁখিপাতে মৃত্যু চেয়ে ? ভক্ষ-সুপ হৰ্ষে করি জড়ে আলো-স্ট্রীধারের মাঝে ; কঠোর মাখাতে সৰ্ব্বাদে মাখিয়া মোর মহাদেৰ সম । সচকিত হদে দেখে নাছি স্বৰ্য্য তার, छानाप्दा बाउलान श्रृङ्ख नाभिम, চন্দ্র সেও কালে মেঘে ঢাকে বীরবার। প্রেমিক রেল কম্বু, প্রেম সে অমর, . আসে যবে ধরণীর বিবাহ-লগন, ' প্রেম ধেমাছি লেখা মৃত্যু বাঁধে ঘর ।