পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুটার-শিপ ও বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগ ঐকরুশাদাস গুহ, এমএসসি (লিভারপুল) বাংলার নিজস্ব শিল্প বাঙালীর জীবন এবং সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার কুটীরেই বেড়ে উঠেছে। বাংলার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলার শিল্পপ্রচেষ্টা একটা বিশিষ্ট আকার নিয়েছিল। তখন বাংলার প্রত্যেকটি গ্রাম ছিল স্বাবলম্বী । চাষীরা চাষ করত, কুটীরে কুটীরে তখন চরকা চলত, গ্রামের তত্ত্ববীয় সেই স্বতে নিয়ে কাপড় বুনে দিত। গ্রামের চৰ্ম্মকার পাদুকা তৈরি করত, গ্রামের কুম্ভকার প্রয়োজনীয় ছাড়িকুড়ি ক’রে দিত। অনেক রকমের কৰ্ম্মকার থাকত গ্রামে, কেউ ক’রে দিত চাষবাসের জন্ত লাঙ্গলের ফাল কোদালী দা কাস্তে ইত্যাদি, কেউ করত তামা-ৰ্কাসার বাসনপত্র, কেউ বা গড়ত মেয়েদের অলঙ্কার-অলঙ্কারের প্রতি মেয়েদের দুর্বলতাটা একেবারে প্রাগৈতিহাসিক কালের । গ্রামে গ্রামে স্বত্রধর ছিল, তারা ঘর তৈরি করত, কৃষকদের লাঙ্গল ইত্যাদি যন্ত্রপাতি ক’রে দিত। কাঠের পাছক, আসবাবপত্র, নৌকা ইত্যাদিও তৈরি করত। কলুরা ঘানিতে তেল করত, জেলেরা মাছ ধরত, গোয়ালারা ঘি দুই ইত্যাদি ক’রত, পটুয়ার ছবি আঁকত, বাদ্যকররা উৎসবের সময় ঢাক ঢোল সানাই ইত্যাদি বাজাত—তখন বাংলার পল্লীতে ম্যালেরিয়া ঢেকে নাই । তখন বাংলার ঘরে ঘরে গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুর-ভরা মাছ এবং বাঙালীর বুকভর প্রাণ ছিল। তখন বাংলার কবি ছিলেন চণ্ডীদাস, বিভাপতি, জয়দেব । বাংলঞ্জ সেদিন অনেক কাল চলে গেছে। বিভিন্ন ভাৰ এক সভ্যতার সংঘাতে বাঙালীর জীবনপ্রণালীর cनरे नश्क छऔझे जांख चांब cरषrङ गां७द्र बांह नः । यान्नैौन श्रृंताबिक श्रjन जांब अन्नरु बिन शश cण्ड যাচ্ছে, সেই সঙ্গে আমাদের কুঞ্জশিল্পগুলিও। বাঙালী" জীবনকুঞ্জ নতুন আতাবােধকে পূরণ করতে আমাদের হিসাবে বাংলার গ্রামের স্বাৰলম্বন এখন ঐতিহাসিক তথ্যের মধ্যে পরিগণিত হয়েছে । - বাঙালীর জীবন-তরী চলেছিল ভাটিয়াল স্বরে } চলতে চলতে হঠাৎ ধাক খেল সে পাশ্চাত্য সভ্যতার বাষ্পীয়পোতের সঙ্গে । সব ওলট-পালট হয়ে গেল । পাশ্চাত্য সভ্যতা হ’ল বাষ্পীয় বা বৈদ্যুতিক সভ্যতা—গতির সভ্যতা । ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সেই সভ্যতার গতির ঘূর্ণিপাকের মধ্যে আমরা এসে পড়েছি। আজ নিরাল পল্লীর খামলিমার মধ্যে বাংলার তালগাছ ঘেরা পুকুরপাড়ে শীতলপাটিকে আশ্রয় ক’রে পুরাতনের সাধন অসাধ্য হয়ে উঠেছে। জীবনসংগ্রাম চার দিক থেকে ঘনীভূত হয়ে উঠছে, একটু বসবার অবকাশ নাই, কেবল গতি আর গতি । বিজ্ঞান পৃথিবীর সমস্ত বিভিন্নতাকে একত্বের দিকে নিয়ে আসছে, কোনও জাতিই অঙ্গি এর হাত থেকে নিজেকে একান্ত বিচ্ছিন্ন ক’রে রাখতে পারবে না,—এটা যুগধৰ্ম্ম । আমাদেরও চলতে হবে । নইলে ধারা আজ চলছে তাদের পায়ের নীচে আমরা ধুলি হয়ে যাব। পাশ্চাত্য সভ্যতার একটি মুলস্বত্ৰ হ’ল অর্থনীতি । ইহাকে প্রধানতঃ বণিক-সভ্যতাও বলা চলে । ইহার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎও আমাদের বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে হয়েছিল । পাশ্চাত্য দেশসমূহ শিল্প ও বাণিজ্যে যে বিশেষ পন্থা অবলম্বন করেছে সেটা হ’ল ধ্যাপক ভাবে উৎপাদন (mass production) s oftwa" (centralization ) । এই পন্থা অবলম্বন ক’রে পাশ্চাত্য দেশসমুহ বিপুল অর্থের অধিকারী হয়েছে বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে অনর্থও যে না এসেছে তা নয়, সমস্ত পৃথিবী জাজ ধনিক ও শ্রমিক স্বার্থের টানা-হেঁচড়ায় বীভৎসভায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। লে যাই হোক, পাশ্চাত্য পন্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলার অসংবদ্ধ কুঞ্জয়-শিল্প বিশেষভাৰে বিধ্বস্ত হয়েছে। , कछकeशि विषय निझ-८षमन कांकन भनजिम, क्तूिश्ॐ श्रब्र