পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তন কলকারখানাতেই কেবল করা সম্ভব, যেমন লৌহ ও ইস্পাত শিল্প। তা ছাড়া আর প্রায় সব প্রয়োজনীয় জিনিষই অল্পবিস্তর কুটর-শিল্প হিসাবে করা চলে এবং শিল্পে শিক্ষা ও দক্ষতা অনুসারে সানা প্রকারের দ্রব্য তৈরি ক’রে কৃষক তার বৎসরের কৰ্ম্মহীন নয় মাস এবং বেকার তার বৎসরের কৰ্ম্মহীন বার মাসকে উর্বর করে তুলতে পারে। আমি প্রথমেই বলেছি বাংলার সভ্যতা, সমাজ ও প্রতিভার সঙ্গে কুটর-শিল্পের একটা নাড়ীর যোগ আছে। পাশ্চাত্য সভ্যতায় বিশেষ বিধ্বস্ত হ’লেও বাংলা দেশ যৌথপরিবারের দেশ । যৌথ-পরিবার ভাল কি মন্দ সে বিচারের স্থান এ নয়। যৌথ-পরিবারে আর যাই থাক আলস্ত এবং দায়িত্বহীনতার প্রশ্রয় যে সেখানে অনেকটা হয় তা অস্বীকার করবার উপায় নাই। পরিবারের একটি প্রাণী হয়ত রাতদিন কৃতদাসের মত খাটছে আর তার উপর কৰ্ম্মক্ষম আত্মীয়ের বসে ব’সে খাচ্ছে—এ দৃপ্ত বাংলার ঘরে ঘরে । নানা প্রকার কুটির-শিল্পকে সহজসাধ্য করে তুলে বাংলার দুয়ারে দুয়ারে নিয়ে যেতে হবে—একান্নভূক্ত প্রত্যেক বাঙালীই যাতে নিজান্নভূক্তের মর্য্যাদ পেতে পারে ; বসে থাকবার সব যুক্তিই যাতে অচল হয়। এদিক থেকে আজ কুর্টর-শিল্পের প্রয়োজন বাঙালীর আর্থিক জীবনে সবচেয়ে বেণী । এই জন্তই আজ বাংলা-সরকার বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগের সাহায্যে কুটর-শিল্পের উন্নতিসাধনে এমন তৎপর হয়ে उँtठtछ्न | দেশী ও বিদেশী কলকারখানায় প্রস্তুত দ্রব্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেও আজ যে সব কুীির-শিল্প—বিশেষ করে বয়নশিল্প, বাংলায় বেঁচে আছে তাতেই প্রমাণ হয় বাংলার প:রিপাৰ্ম্মিকতার সঙ্গে এর একটা বিশেষ সঙ্গতি আছে । আজিও বাংলা দেশে হাতের তীতের কাজে পাচ লক্ষেরও বেশী লোক নিযুক্ত আছে এবং সেই সম্পর্কে আরও বহু লোক প্রতিপালিত হচ্ছে। আমরা বৈজ্ঞানিক যুগে বাস করছি। প্রতি দিনের भtवरुणो ७ चांबिकांड भांश्tषब्र श८ठ नङ्कन नडून १ङ्ग नफूम নতুন কৌশলে স্কুলে দিচ্ছে। বাংলায় কুরি-শিল্পকেও थांनांtश्न अदूनिरू क्छनिक खिखिन छैनब्र थङिईउ করতে হবে এবং সেই প্রতিষ্ঠানের বাফল্যের উপরেই কুঙ্গা কুটার-শিল্প ও বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগ UR' শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে । সেই উদেহু সাধনের জন্তই অাজ কয়েক বছর হ’ল বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগ পাগলাডাঙাতে একটি গবেষণাগার স্থাপন করেছেন । শিল্প-বিভাগের এfঞ্জনিয়ার যুক্ত মন্ত্ৰী-শ্রু মিত্র, রাসায়নিক ঐযুক্ত রসিকলাল দত্ত ও চৰ্ম্ম-পরিদর্শী ত্রযুক্ত বিরাজমোহন দাসের তত্ত্বাবধানে বিশেষ গবেষণা চলছে এবং তাদের সাফল্য: ইতিমধ্যেই নানা কুটার-শিল্পকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর স্থাপন করেছে। এ ছাড়া বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগের অন্তর্গত, শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের অধ্যক্ষতায় স্ত্রীরামপুরের বয়ন-বিদ্যালয় দেশের কারিগর ও শিক্ষিত যুবকদের উন্নত. প্রণালীর বয়ন ও রং-করা শিক্ষা দিয়ে বাংলা দেশের বয়নশিল্পকে উন্নত করার চেষ্টা করছেন। বললে হয়ত অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলার বয়নশিল্প তার বর্তমান সাফল্যের জন্ত রামপুরের শিক্ষার কাছেই সম্পূর্ণভাবে ঋণী। বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা কুটর-শিল্পের প্রচার ও উন্নতির পথে বিশেষ কয়েকটি বাধা লক্ষ্য করেছি, যথা— (১) কুর্টর-শিল্পে অভ্যাস ও উৎসাহের অভাব। (২) শিল্পকার্যে উপযুক্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার অভাব । (৩) বড় বড় কলকারখানায় প্রস্তুত সস্তা জিনিষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা । (৪) মহাজন ও বেপারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপযুক্ত টকা-পয়সার অভাব। (৫) আধুনিক উন্নত প্রণালীর ছোট ছোট যন্ত্রপাতির অপ্রচলন । (৬) উপযুক্ত বিজ্ঞাপন এবং শিল্পজাত জিনিষ যুদ্ধে প্রচারকার্য্যের অভাব বা অজ্ঞতা | so, (৭) বাজারেয় অবস্থা এবং চাহিদা সম্বন্ধে অনভিজ্ঞতা এবং শিল্পজাত দ্রব্যের বিক্রীর সুৰঙ্গোধন্তের অভাব। বঙ্গীয় শিল্প-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী বা ডিরেক্টর প্রযুক্ত এ.টি. ওয়েষ্টনের অধীনে শিল্প-বিভাগ উক্ত সমস্তাগুলির সমাধানে বিশেষরূপে অগ্রসর হয়েছেন। উন্নত প্রণালীর তীতের প্রচলন এবং বৈজ্ঞানিক প্রণালীণ্ঠে রং-করা শিক্ষা দিয়ে শিল্প-বিভাগ বাংলায় ধনশিল্পকে