পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - ফান্তন মায়া কাটাতে পারেন নি। আহা এমন শাশুড়ী কিন্তু কারুর হয় না ভাই, এমন মাহুৰ আজকালকার দিমে আর পাবে না, তা জামি তোমাদের বলছি । কিন্তু আমি হাজার হোক ছেলেমানুষ ছিলুমত, ও-সব কথা শুনে ভয়েই মরি।... ত; সে যাই হোক, তা হ’লেই হিসেব ক’রে দেখ না যে কার কত বয়েস। ইন্দু, রেণু, সুরমা সবাই ত ছোটবেলায় একসঙ্গে খেলা করেছে। বয়েসে ছোট ছিল ব’লে সুরমাট কেবল মার থেয়ে মরত সকলের কাছে, মনে নেই ? আমার কাছে সবারই বয়েসের হিসেব পাবে, ভুল হবার জো নেই।” পাশের বাড়ির বৌটি এলাহাবাদেরই মেয়ে, এলাহাবাদেরই বৌ-ও হয়েছে। উজ্জ্বল শুীমবৰ্ণ রং, দোহারা গড়মটি, পাতলা ঠোঁট দুখানিতে চাপা হাসিটি লেগেই আছে । ীেটি এতক্ষণ চুপ করে বসে আলু কুটছিল, এত ক্ষণ কুটুনে শেষ ক’রে বালতির জলে হাত ধুতে ধুতে হাসিমুথে বললে, “কি জানি দিদি, আমি ত নিজের মেয়েদেরই বয়েসের হিসেব রাখতে পারি নে, তা আবার পরের মেয়ের । কি ক’রে তোমরা এত মনে রাখ কি জানি ! আমার বড় মেয়েটি এই বছর ম্যাট্রিক দিয়েছে; আমার যতদূর হিসেব তাতে ত তার এই আষাঢ় মাসে ষোল ভরল । কিন্তু সেদিন ঐ খুজ্জেদের বড়বে এসে বলে গেলেন যে ওর নাকি একুশ ভরে গেছে । ও-বাড়ির বড় পিসীমাও বলেন যে, আমার মেয়ের বয়েস না-কি তার কাছে লেখা অবধি আছে—এই তেইশে পড়ল। শুনে শুনে ভাই ঘুলিয়ে যায় সত্যিকারের বয়েসটা কি—একুশ, না তেইশ, না ষোল। তাই নিজে আর হিসেব করবার চেষ্টাও তেমন করি নে—ভাবি পাড়ার পাঁচ জনে যখন সে কাজটা করছেন, আমি আর নাই করলাম ।” কথাটার প্রচ্ছন্ন খোট বিরাজ-পিলী কতটা বুঝলেন তা ঠিক বলা যায় না ; তবে এটুকু স্পষ্টই বুঝলেন যে কথাটা ঠিক সোজা ভাবে বলা হয় নি, একটু গোল আছে। কি উত্তর দেবেন ভাবছেন, এমন সমরে সইম খনৃ-খন ক’রে বলে উঠলেন, “ত ভাই—নিজেদের মেয়ের বয়েসটি কমিয়ে কমিয়ে বল যে তোমর-কাজেই পরকে হিসেব রাখতে হয় । না হ’লে কার আর কি মাথাব্যথা বল মা ? छिज्ञखनौ وهي علوج\ এই দেখ না লীলা—ঐ যে ঐ হরিনাথবাবুর মেজছেলের বেী গো, জ”কে যার মাটিতে পা পড়ে না, অথচ কিসের যে এত জীক তা ত জানি নে—ঐ লীলা আজ তিন বছর থেকে বলে আসছে যে ওর মেজমেয়ে সরযুর চৌদ্দ বছর বয়েস। কাজেই না বলে থাকতে পারি নে। তবে তোমরা হ’লে লেখাপড়া-9:না মেয়ে, পাসটাশ করেছ, তোমাদের হিসেবই বোধ করি আলাদা । আমরা মুথু মানুষ, অত ত জানি নে, যেটা চোখে দেখি সেইটেই বলি।” মেজবোঁ হেসে উঠল । বললে, “রাগ করছেন কেন সই-দি ? সব মেয়েরই ত একদিন চৌদ্দ বছর বয়েস হয়, একদিন ষোলও হয়, আবার একদিন সে তেইশেও পড়ে— কেউ ত কোনটা ডিঙিয়েও যায় না, কোনখানে থেমেও থাকে না। আমার ভাইঝি রেণুর তেইশ হ’লে যদি আপনার সব খুশী হন ত বেশ ত, তাই না, হয় হ’ল । আমার ত তাতে কিছু আপত্তি নেই।” বলতে বলতে বটি ছেড়ে উঠে মেজবে পাশের বাড়ির বৌটিকে উদ্দেশ ক’রে বললে, “ও কি ভাই,চলে যাচ্ছ যে? বলেছি না থোকার জন্তে মিষ্টি রেখেছি, না নিয়ে ষেও না ? আজ মিষ্টি না পাঠালে খোকা যে তার মাসীকে খেয়ে ফেলবে। এস, সরা সাজিয়ে ভ"াড়ারে রেখেছি, দিই গে । যা মাছি এথানে, খাবার জিনিব কি বার করবার জো আছে ?” মেজবোঁ বৌটিকে নিয়ে ভাড়ারের উদ্দেশে চলে গেল । বিরাজ-পিসী কিছু ক্ষণ তাদের দিকে চেয়ে থেকে তার পর এদিকে মুখখান ফিরিয়ে বললেন, “মেজবেীর কথা শুনলে ? আমরা যেন সব মিথ্যেবাদী ! কেন সই মন্দ কথাটা কি বলেছে ? চোদ্দ বছরের মেয়ে কি সত্যি চিরকাল ধ’রে চোদই থাকবে নাকি ? সত্যি কথাটা মুখের ওপর বলতে গেলেই আর সে কথা মিষ্টি লাগে না, অমনি রাগ হয়ে ওঠে সব । নিজেরাও সব খুকী সেজে আছেন—ধাড়ি ধাড়ি মেয়েদেরও সব খুকী ক’রে রেখেছেন, লজ্জাও করে না । ঐ দেখ না মেজৰোঁকে—বাক্ষ্ম একেবারে রং-বেরঙের জাম-কাপড়ে ঠাসা --খেন পরবার বয়েস এখনও আছে আর কি। জিজ্ঞেস করগে সা—বলবে এখন ওরও এই তেইশ ভরেছে।” সই-মা বললেন, “ঠিক বলেছ ভাই । বয়েস কমান হয়েছে