পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

siરવામાં } ఎ98S{ سو88و8ا BBBBBBB BB BBBS BB BBBB BBB BBD DD BB BBDD BB BDD BDS BBB মেজবোঁ আমন রাগ করে উঠল বটে, কিন্তু বিলুনী পিঠে ঘুরিয়ে বেড়ালে কি হবে ? কম-সম ক’রে ধরলেও ওর বয়েস চব্বিশ-পচিশ হবে। হবে না ভাই প্রভা ?” প্রভ ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালে এবং নিস্তারিণীর দিকে তাকিয়ে বললে, “তা হবে। হবে না নিস্তার-দিদি ?” নিস্তার দিদিও ঘড়ি নেড়ে জানালেন যে তারও লুইরকম মনে হয়—যদিও তিনি এই মাত্র তিন মাস হ’ল ছাপর থেকে বায়ুপরিবর্তনের জন্ত এলাহাবাদে ননদিনীর নিকট এসেছেন এবং এই তিন মাসের মধ্যে বার-দুইয়ের বেশী রেণুকে চোখে দেখেন নি । সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে যখন স্থির হ’ল যে রেণুর সতের বছর বয়স সতের বছর আগে পেরিয়ে গেছে, তখন সকলে হষ্টচিত্তে যথাকর্তব্য সম্পাদন ক'রে বটি ছেড়ে অন্ত কাজে গেলেন । ক’নে নমিতার ঘরে আরও ভিড় । কুমারী এবং বিবাহিত, বালিকা এবং কিশোরীর দল ক’নেকে ঘিরে বসে আছে । অত্যন্ত সাধারণ নমিতা যেন আজ অকস্মাৎ এক বিস্ময়কর বস্তু হয়ে উঠেছে, কেউ আর তার মুখ হ’তে একদও দৃষ্টি নামাতে চায় না । ক’নের মা গৌরাঙ্গনী বাক্স খুলে কন্যার বিবাহসজ্জার উপকরণ বার ক’রে করুণার হাতে দিচ্ছিলেন—সে-ই কনে সাজাবে। শুধু কপালে চন্দন পরাবার নুতন পদ্ধতিটা তার ভাল জানা নেই—মেজবেী এসে পরিয়ে দিয়ে যাবে। গহনায়, কাপড়ে করুণার শাড়ীর আঁচল ভরে উঠুল—গহনার ছোট-বড় নানা রকম বাক্সগুলি সে খাটের উপর সাজিয়ে রাখতে রাখতে বললে, “বাববা, যা রোগ মেয়ে, এত গয়নার বোঝা বইতে পারলে হয় ।” লারাদিনের উপবাসে ক্লাস্ত দেহ—তার ওপর একমাত্র মেয়েটির আসল্প বিরহ-বেদনায় মায়ের চিত্ত উদভ্ৰাস্ত হয়ে গেছে, কোনও কাজে মন লাগছে না । ইচ্ছা হচ্ছে সব সরিয়ে নিভৃতে মেয়ের কাছে একটু বসেন—তাকে কোলে বলিয়ে মাতুঙ্কজয়ের সমস্ত স্নেহ দিয়ে আশীৰ্ব্বাদ করেন ; তার সবগৃহষাত্র-পথকে স্নেহ-অভিষিক্ত ক’রে দেন । যে তারই একমাত্র আপনার ধন ছিল, সে আজ পরের গৃহে পল্প হ’তে চলেছে । সেই বিদায়ের আয়োজন করতে করতে নিকট হ'তে আপনাকে তিনি লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন—বার-বার নিজেকে বোঝাচ্ছেন যে আজ মঙ্গলের দিমে চোখের জল 6फजाउछ Gमहे-किङ्खु भन अनि नी । যা-কিছু বাক্সে গোছান ছিল, সব বার করে করুণার হাতে দিয়ে মা বললেন, “ওরে, ঘরে যে বড় ভিড় হয়েছে মা । যে বে তোরা ক’নে সাজাবি, তারাই শুধু ঘরে থাকৃ—আর সকলকে বল যে ক’নে সাজান হয়ে গেলে পরে তখন এসে দেখবে। উপোস ক’রে এই গরমে আর লোকের ভিড়ে মেয়েটার মুখ শুকিয়ে কি হয়ে উঠেছে!” করুণ হেসে বললে, “মাসীম কেবলই মেয়ের মুখ শুকনো দেখছ—কোথায় বাপু তোমার মেয়ের শুকনো মুখ ? এখন তোমাকে দেখে ওর চোখ ছলছলিয়ে এল—না হ’লে এতক্ষণ ত কত হাসি-তামাশা করছিল আমাদের সঙ্গে । তুমি যাও না নিজের কাজে—শুকনো মুখে হাসি ফুটতে দেরি লাগবে না । তোমার মুখখানা যা হয়েছে, ও দেখে আমাদেরই কাল্ল পাচ্ছে, তা ওর ত পাবেই । তুমি যাও এ-ঘর থেকে।” গৌরাঙ্গিনী মেয়েদের ভিড় ঠেলে নমিতার কাছে এসে বসলেন । আঁচল দিয়ে তার মুখটি মুছিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “খাবি কিছু ?” মায়ের স্নেহস্পর্শে নমিতার চোখে জল ভরে এল, সে কথা বলতে পারলে না, ঘাড় নেড়ে জানালে যে সে কিছু খেতে চায় মা ! মায়ের বুকে কায়ার ঢেউ কণ্ঠ অবধি ঠেলে এল, তিনি তাড়াতাড়ি ঘর ছেড়ে চলে গেলেন । পাশের ঘরে করুণার মা অর্থাৎ গৌরাজিনীর দিদি বসে কনের বাক্সে কাপড় গোছাচ্ছিলেন। গৌরাঙ্গিনী সেই ঘরে ঢুকতেই তিনি মুখ ভুলে বললেন, “হ্যারে গৌরী, তুই কি বাজারে আর কিছু কাপড় রাখিল নি ? করেছিল কি ? এত কাপড় এই একটা বাক্সে আমি ধরাই কি ক’রে ? এ বাক্স বে শুধু বেনারসী আর রেশমের কাপড়েই ভরে উলে—এই শান্তিপুরী, চাকাই, আর তীতের শাড়ীর আমি এখন ঢোকাই কোথা ?” * গৌরাজিনী ফাগু ভাবে আলমারীর গায়ে ঠেস দিয়ে সেইখানে মেজেতে বসে পড়লেম । উদাসীন ভাবে