পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন ছোটনাগপুরে সাহিত্যসেবার উপাদান Ն&Պ ঝারিখণ্ডে স্থাবর জঙ্গম ছিল যত কৃঞ্চনাম দিয়া কৈল প্রেমেতে উন্মত্ত, যেই গ্রাম দিয়া যান য়াহ কয়েন স্থিতি সে সব গ্রামের লোকের হয় প্রেমভক্তি । মুগুীদের মধ্যে রাধা-কৃষ্ণের যে-সব গান প্রচলিত আছে এবং বুগু, সিলি প্রভৃতি “পচি পরগণা”র কুড়মী প্রভৃতি জাতির মধ্যে রাধাকৃষ্ণবিষয়ক যে বাংলা ঝুমুর গীত শোনা দায়, সেগুলি এই বৈষ্ণষ ধৰ্ম্ম প্রচারের ফল। এখানকার অসভ্য জাতিদের মধ্যে যে ‘ভক্ত’ বা শতাব্দীর প্রথম ভাগে ছোটনাগপুরের ওঁরাওদের মধ্যে প্রচারিত হয় এবং কতকগুলি ওঁরাও-পরিবার এই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হয় ; এমন কি কয়েকটি শুরাও-ভক্ত এখন কবীরপন্থীগুরুর কাজও করেন। গত শতাব্দী হইতে ছোটনাগপুরের অদিম নিবাসীদের মধ্যে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের প্রচার আরম্ভ হয়। ১৮৪৫ খ্ৰীষ্টাব্দে জাম্মান পাদ্রীরা আসেন, ১৮৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজ য়্যাংলিকান পাদ্রীর আসেন, এবং ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ভকত সম্প্রদায় আছে, তাহাও অজ্ঞাত বৈষ্ণব-গুরুদের প্রভাবে গঠিত হইয়াছে । ছোটনাগপুরের পূর্বভাগে মন বাংলা দেশের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মত প্রচলিত, তেমনি মধ্য ও পশ্চিম ভাগে রামানন্দী সম্প্রদায়ের মতের প্রতুির্ভাব দেখা যায়। ডোরাওরি নদীর মধ্যে যে মঠটি আছে উহ বমনন্দী সম্প্রদায়ের । গৌড়ীয় বৈষ্ণুবের। চৈতন্তদেবকে শ্রীকৃষ্ণের গবতার মনে করেন ; কিন্তু রামাননীর শস্ত্রের দশ অবতীর ভিন্ন অন্ত কহাকেও অবতার বলিয়া স্বীকার করেন না ; চৈতন্তদেব প্রভৃতিকে কেবল পরমভক্ত ও আচার্য্য বলিয়াই মানেন । গৌড়ীয় বৈষ্ণবেরা শ্ৰীকৃষ্ণকে প্রথম স্থান দেন ; রামানন্দীর রামচন্দ্রকে প্রথম স্থান দেন । ছোটনাগপুরের দক্ষিণ ভাগে ধলভূম পরগণায় যে বৈষ্ণব মত প্রচলিত তাহাও গৌড়ীয় বৈষ্ণব মত। কিন্তু উড়িয়া গৗড়ীয় বৈষ্ণবদের মধ্যে দুই দল হইয়াছে। অধিকসংখ্যক বৈষ্ণব শ্ৰীকৃষ্ণকে প্রথম স্থান দেন আর প্রথমে বলেন, “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,” আর এক দল ধামানন্দীদের মত রামনামকেই প্রথম স্থান দেন এবং প্রথমে বলেন, “হরে রাম হয়ে রাম, রাম রাম হরে হরে।” এই শেষ .শ্রণীর বৈষ্ণবদের নাম হইয়াছে ‘অতিবড়ি’ বা ‘অতিবড়’ সম্প্রদায় । খ্ৰীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে জোলাবংশসস্তৃত কবীর যে গুক্তিযোগ ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, মধ্যপ্রদেশ হইতে তাহা গত বুড়ীডিহি গ্রামের একটি প্রাচীন টিধি রোমান ক্যাথলিক পাস্ত্রীর চাইবাসায় প্রথম প্রচার আরম্ভ করেন । ধৰ্ম্মবিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মমন্দিরদি নিৰ্ম্মাণ ও ধৰ্ম্মগ্রন্থের প্রচার ও আলোচনার প্রবর্তন দেখিতে পাওয়া যায় | ছোটনাগপুর ষোড়শ শতাব্দী হইতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত নামমাত্র মোগল-সাম্রাজ্যভুক্ত থাকিলেও এখানে মুসলমান সভ্যতার বা ধৰ্ম্মের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় নাই। কেবল মুসলমান সৈন্তদের ও তাহীদের অনুচরদের মধ্যে কতকগুলি মুসলমান ছোটনাগপুর হইতে গিয়াছিল ও সম্ভবতঃ নিম্নশ্রেণীর স্থানীয় লোকদের মধ্যে কোন কোন পরিবারকে মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিল। ইহাদেরই সংমিশ্রণে র"াচি জেলায় বর্তমান নিম্নশ্রেণীর জেলা প্রভৃতি মুসলমানের উদ্ভব হইয়াছে। নাগ-বংশীয় রাজা দুর্জন শাল উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ হইতে যে রাজমিস্ত্রী প্রভৃতি দ্বারা ডোএসা নগরে রক্তপ্রসি" নিৰ্ম্মাণ করান তাহারাও