পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՃԵ- jo. ఏని83 বুড়ীডিহি গ্রামে আবিষ্কৃত পুরাতন প্রস্তত্ব-মন্দির সম্ভবতঃ পরে এই প্রদেশেই অবস্থান করে । ডোএসীর ‘নওরতন প্রসাদ যদিও খানিকট মুসলমানী প্রথায় নিৰ্ম্মিত হুইয়াছিল, সেখানকার পরবর্তী মন্দিরাদি হিন্দু প্রথায় নিৰ্ম্মিত । ডোএসা নগরে জগন্নথ-মন্দিরের যে ভগ্নাবশেষ আছে তাহার খোদিত লিপি হইতে জানা যায় যে, ১৭৩৯ সম্বতে অর্থাৎ ১৬৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দে রাজগুরু হরিনাথ ব্ৰহ্মচারী উহা নিৰ্ম্মাণ করান । আর সেখানকার কপিলনাথদেবের মন্দিরের খোদিত লিপি হইতে জানা যায় যে, সে মন্দির ১৭৬৮ সম্বভে অর্থাৎ ১৭১১ খ্ৰীষ্টাব্দে নির্মিত হয়। তথাকার বোধীমঠ, পঞ্চমঠ ও মহাদেবের মন্দিরে কোন লিপি পাওয়া যায় না। র"ffচর ছয় মাইল উত্তরে বোড়েয়া গ্রামে যে মদনমোহনের মন্দির আছে তাহাতে খোদিত লিপি হইতে জানা যায় যে, ১৭২২ সম্বতে অর্থাৎ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য আরম্ভ হয় এবং ১৭৩৯ সম্বতে অর্থাৎ ১৬৮২ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্পূর্ণ হয়। হিন্দু রাজমিস্ত্রী অনিরুদ্ধ ইহার নিৰ্ম্মাতা এবং নিৰ্ম্মাণ-ব্যয় চৌদ্দ হাজার এক টাকা । ঐ মন্দিরের একটি কপাটের থাপে ( panelএ ) কাঠের উপর একটি “নব-গুঞ্জর” মূৰ্ত্তি খোদিত আছে * উড়িষ্যার বাহিরে আর কোথাও এই মূৰ্ত্তি দেথা যায় না । - হিমুর নিকটস্থ জগন্নাথপুর পাহাড়ের উপরে জগন্নাথ জমাননিৰ্ম্মলকুমালকুমার বহু এই মূৰ্ত্তিটি প্রথম লক্ষ্য করেন। T t) نامه و S দেবের মন্দির ১৭৪৮ সম্বতে অর্থাৎ ১৬৯১ খ্ৰীষ্টাব্দে “ঠাকুর”-উপাধিধারী জমিদার আইনিসহি নিৰ্ম্মাণ করান । এই মন্দির অনেকটা পুরীর জগন্নাথমন্দিরের অনুকরণে নিৰ্ম্মিত । এই খোদিত লিপিগুলি ছাড়া দুইএকটি দীর্থিকা, ইদরা ও কূপের খননকাল ও খনন-কৰ্ত্তার নামের স্মারক-চিহ্নস্বরূপ শিলালিপি দেখা যায় ; উদাহরণ-স্বরূপ তিলসি গ্রামের অকবর নামক নাগবংশী ঠাকুর’ উপাধিধারী জমিদারের দ্বারা ১৭৯৪ সম্বতে ( অর্থাৎ খ্ৰীষ্টাব্দে ) প্রতিষ্ঠিত কূপ বা ইদারার উল্লেখ করা যাইতে পারে । হাজারীবাগ জেলায় রামগড় থানায় কতকগুলি হিন্দুমন্দিরের ভগ্নাবশেষ আছে । তাহার কোনটিই সপ্তদশ বা অষ্টাদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বেকার বলিয়া মনে হয় না। উহাদের মধ্যে রাজরেপ্লিায় ছিন্নমস্তার মন্দির প্রসিদ্ধ । পূৰ্ব্বকালে হিন্দু রাজারা যেরূপ তাম্রশাসন দ্বারা গ্রাম ও ভূমি দান করিতেন, ছোটনাগপুরে গত শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত এরূপ পিতলের পাট্ট দেওয়ার প্রচলন ছিল । আমি এরূপ একটি পিতলের পাট সংগ্ৰহ করিয়াছি ; তাহার উপর সম্বৎ ১৯ .. ( ১৮.. খ্ৰীষ্টাব্দ ) এই তারিখ আছে । র"াচি জেলায় পুরাতন মন্দিরাদি যাহা উল্লেখ করিয়াছি তাহার একটিও খ্ৰীষ্টীয় যোড়শ বা সপ্তদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বেকার বলিয়া মনে হয় না । কিন্তু দুইটি বুট-পর স্বর্যামূৰ্ত্তি পাইয়াছি, তাহা হয়ত অপেক্ষাকৃত পুরাতন। উহাদের মধ্যে বড়টি পাটনার সরকারী যাদুঘরে রক্ষিত আছে । মানভূম জেলায় আরও অনেক আগেকার পুরাতন মন্দিরাদি আছে। কয়েক বৎসর হইল রাচি-পুরুলিয়া রেল-লাইনের গড়জয়পুর ষ্টেশনের এক মাইল দূরে বোড়াম গ্রামে যে মন্দিরের ভগ্নাবশেব ও প্রস্তরমূৰ্ত্তি প্রভৃতি পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে কয়েকটি সুন্দয় মূৰ্ত্তি দেখা যায়। সেগুলি মধ্যযুগের। রাচি জেলার বুড়ীডিহি গ্রামের নিম্নস্থ নদীর অপর তীরে কয়েকটি পুরাতন দেউলের ধ্বংসাবশেষ ও ১৭৩৭