পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুকান্তন হইয়া আসিয়াছে। কিন্তু ১৯১১ খ্ৰীষ্টাব্যের আদমম্বমারির রিপোটে এই "কুরমালি' বুলিকে হিন্দী ভাষার মধ্যে পরিগণিত করা হইয়াছে । যাহা হউক, এই রিপোটের ৩৮৮ পৃষ্ঠায় স্বীকার করিতে হইয়াছে যে, এই বুলিকে স্থানীয় লোকে ‘খোট্ট বাংলা’ বলে এবং ইহা বাংলা অক্ষরে লিখিত হয়। “This patois is known as Khotta Bengali and is written in the Bengali character. Locally it is regarded as a corrupt form of Bengali.” স্তর জর্জ গ্ৰীয়ারসনও এই কুরমালি ঠার বা বুলিকে Eastern Magahi dialect xfiliftg: 1 fr, fsfa ইহার ষে নমুনা দিয়াছেন তাহা হইতে বাঙালী পাঠক ইহাকে বাংলা ভাষারই অপভ্রংশ বলিয়া চিনিবেন। মানভূম জেলায় কুরমালি ঠারের নমুনা এইরূপ — "এক লকের ছটা বেটা ছালিয়া য়েহেক। তারাদের মইধে ছুটু বেটাটায় অক্ষর বীপকে কেহলা যে বাপ-হে হামরাকর দৌলতকর যে ময় হিসা পায়। সে মকে দে। তখন তাকর বাপ, আপন দৌলত বঁটাক অকল্প সি দেই দেলাক। খড়েক দিন বাদে ছুটু বেটা ছাওয়াটা আপন ধন দরিব লেইকে বিদেশ গেল।” (Linguistic Survey of India, Vol. v, part II. p. 152.) রাচি জেলার পাচপরগণায় কুরমালি ঠারের বা পাচপরগণিয়া বুলির নমুনা এইরূপ — “কোনো এক আদমিকের দুইটা ছুয়া রোহে। তেকর মাহনে ছোট ছয়টি আপন বাপকে কোহলক ৰাপ, মোএ ধনকের যে হিস্সা পামু সে মোকে দেউ।” (rcid, p. 170) আবার হাজারিবাগ জেলার গোল, কাস্মার ও রামগড় থানায় যে বাংলা বুলি প্রচলিত আছে তাহা বরাবর বাংলা বুলি বলিয়াই পরিচিত ; কিন্তু তাহাও ১৯১১ খ্ৰীষ্টাব্দের Govāfītvitt, fog off foot (“a corrupt form of Magahi Hindi") afrol of offs of E 1 & সম্বন্ধেও ঐ রিপোর্টে স্বীকার করিতে হইয়াছে "This patois which is callod Het Gola contains Bengali words and phrases and locally is considered to be Bengali.” তবে তৎপুৰ্ব্বে &ηπάe άετέ “So-called Bengali of Hazaribagho es et«Il firsti zsitf fwstą মধ্যে স্থান দেন । এই ভাষায় যে বাংলা ও মগহি হিনীর মিশ্রণ হইয়াছে তাহা গ্ৰীয়ার্সন প্রদত্ত নিম্নলিখিত উদাহরণে বুঝা যাইবে— b"磁一br ছোটনাগপুরে সাহিত্যসেবার উপাদান ఆట్స "এক লোকের দু বেটা ছিল। তকরুমে ছোট ৰেটা শাপম বাপলে কছলই,এ বাপ চিজকে যে বখয়া হাম পায়েব সে হামরা দেই দে।"” তব সে ধায়কে সে দেশের এক লোকের আশ্রয় লেলক।” (défd. р. 163.) . - - - ১৯২১ খ্ৰীষ্টাব্দের আদমসুমারির রিপোর্টে ১৯১১ সনের রিপোর্ট অনুসরণ করিয়া কুরমালি বাংলা ও থোট্ট বাংলাকে হিন্দী ভাষার মধ্যে পরিগণিত করা হয়। কিন্তু সম্ভবতঃ এইরূপ শ্রেণী-বিভাগের যৌক্তিকতা সম্বন্ধে সন্দিহান হইয়া সেন্সস সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ট্যালেন্টস ( Mr. Tallents) ২০৯ পুষ্ঠায় লিখিয়াছেন, “এই খোট্ট বুলি হিন্দী কি বাংলা বলা কঠিন ; তবে যখন ১৯১১ সনের সেন্সসে হিন্দীর মধ্যে ধরা হইয়াছে তখন মোটের উপর এবারেও তাই করাই ভাল ” ভাষার এইরূপ নাম-পরিবর্তনের ফলস্বরূপ এই সব স্থানের স্কুলে বাংলা পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তে হিন্দী পড়ান হইতেছে। আবার, সিংহভূম জেলার আদালতের ভাষা হিন্দী, কিন্তু দরখাস্ত ও দলিলাদি যদিও হিন্দী অক্ষরে লেখা হয় তাহার মধ্যে মধ্যে দুই চারিটি উড়িয়া অক্ষর এবং বাংলা কথা ও বাক্যসমষ্টি পাওয়া যায় । মুগুভাষাগুলিতে বাংলা, হিন্দী ও সংস্কৃত শব্দের অনুরূপ অনেক শব্দ পাওয়া যায়। তাহার মধ্যে কতক শব্দ মুণ্ডারা কোনও প্রাকৃত বা বাংলা বা হিনী ভাষা হইতে গ্রহণ করিয়াছে, আবার কতক শব্দ মুণ্ডাদের নিকট হইতে সংস্কৃতে বা বাংলাতে কিংবা যে প্রাকৃত হইতে বাংলা ভাষা হইয়াছে তাহাতে পুরাকালে গৃহীত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় । এ-সম্বন্ধে সম্যক গবেষণার প্রয়োজন । এই সব সংস্কৃত ভাষা ছাড়া ছোটনাগপুরে আদিম জাতিদের অনেকগুলি ভাষা আছে। সেগুলি agglutinative, এবং সংস্কৃত ও সংস্কৃতজ inflexional ভাষাগুলি হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন গোষ্ঠীর। এখানে প্রায় ২০টি বিভিন্ন জাতি আছে, তন্মধ্যে ওঁরাও জাতির ভাষা দ্রাবিড়ী শ্রেণীর অন্তর্গত এবং মুণ্ড, হে, ভূমিজ, অমুর, সাস্তাল, বিরহোড়, খাড়িয়া, কোড়োয়, তুরি প্রভৃতি জাতি মুগুশ্রেণীর তিন্ন ভিন্ন বুলি ব্যবহার করে। অবশিষ্ট জাতি . “It is imposible to say that Khotta is either Hindi or Bengali. As it was treated as Hindi in 1911 it was thought better on the whole to treat it as such again on the present occasion.”