পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواپيماويا সময় নষ্ট করা হবে না। আচ্ছা, এই বিচারকদের কে নিযুক্ত করে এবং কত দিনের জন্তে কায়েমী বিচারকেরা निषूङ् छ्ा ?” “এই আদালতের বিচারক প্রভিলিয়াল এক্সিকিউটিভ কমিটি নিযুক্ত করে সাধারণতঃ এক বৎসরের জন্ত, কিন্তু এরাই আবার পুনর্নির্বাচিত হয় ।” জিজ্ঞাসা করলাম, “অtছ, তোমাদের আদালতে কি উকীল য়্যাডভোকেট নাই ? তাদের বড় বড় পকেট নিয়ে ত কাউকে ঘুরতে দেখলাম না।” গাইড উত্তর দিলে, “আমাদের এখানে উকিল আছে, তবে উকিল দিতেই হবে এমন কোন আইন নাই । বিচারীরাই নিজের সমস্ত খাতাপত্র দেখতে পায়, দরকার হ’লে নকল করতে পারে, বিচারের সময় যা-খুশী বলতে পায়, কাজেই উকিল দিয়ে পয়সা নষ্ট করবে কেন ? বিস্মিত হয়ে বললাম, "পয়সা নষ্ট কেন ? উকিলেরা কি পয়সা নেয় ?” “নিশ্চয়ই, এখনও ত আমরা কমু্যনিষ্ট নই, আমরা যে সোপ্তালিষ্ট, কাজেই সবকিছুর বিনিময়েই ত অর্থ এখনও চলছে । শ্রমিক তার শ্রমের বিনিময়ে অর্থ নেয়, শ্রমের তারতম্য অনুসারে পারিশ্রমিকের তারতম্য আছে । ষ্টেট এখন তার বাড়ির বদলে ভাড়া নেয়, খাবারের মুল্য নেয়, যানের ভাড়া নেয়, কাজেই পয়সা না-নেবার কথা উঠছে কোথায় । যখন আমরা কমু্যনিষ্ট হব তখনই কেবল পয়সার বিনিময় উঠে যাবে, তখন প্রত্যেকে দেবে তার যথাসাধ্য শ্রম আর পাবে তার যা যা প্রয়োজন, মুদ্রার মধ্যস্থত তখন লোপ পাবে। এখন উকিল পয়সা নেবে না কেন ? যোগ্যতা হিসেবে মঙ্কেলদের কাছ থেকে ফি আদায় করে । তবে এই ফি সবার কাছ থেকেই সব উকিল সমান পায় না। অন্তান্ত সব জিনিষের মতই যার যেমন বেতন অর্থাৎ আয় তাকে সেই হারে উকিল ফি-ও দিতে হয় ; তবে উকিলরা এই ফি সোজাসুজি পায় না। এই সব ফি “কলেজিয়াম” বা উকিল সমিতিতে জমা হয়, পরে প্রত্যেক উকিলকে তার যোগ্যতা অনুসারে মাসে মাসে ঐ টাকা ভাগ ক’রে দেওয়া হয় ।” .#: শুধু পয়সা নেওয়া নয়, প্রত্যেক উকিল তার ఎన983 জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে যারা অতি দরিদ্র, যাদের রোজগার থেকে কেবল খাওয়া-পরা চলতে পারে মাত্র, তার উকিল দিতে পারে না তোমাদের দেশে ?” গাইড বেশ জোর দিয়ে বললে, “নিশ্চয়ই পারে। কনসালটেশান ব্যুরোতে তাকে খালি দরখাস্ত করতে হয় ; যদি ঐ প্রতিষ্ঠান বোঝে যে, সে সত্যই ফি দিতে অপারগ তখন তাকে বিনিপয়সায় ঐ সমিতি থেকে সাহায্য করা হয় ।” জিজ্ঞাসা করলাম, “আচ্ছা, তোমাদের কোর্ট-ফির হার কি রকম ?” “কোর্ট-ফি-ই আমাদের লাগে না । বিচারের জন্ত রাষ্ট্র আদালত রেখেছে, তার সমস্ত খরচ রাষ্ট্র বইবে ; তার ওপর আবার কোর্ট-ফি চাপিরে দরিদ্র লোককে সুবিচার থেকে বঞ্চিত ক’রে লাভ কি ? কোর্ট-ফি স্মৃষ্টি করা মানেই দরিদ্রদের আদালতের বাইরে রাখা বা তাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপান ; জারের রাজত্বে এটা আমরা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বুঝেছি, কাজেই কোর্ট-ফি বলে কোন জিনিষ এখন নাই ।” বললাম, “কিন্তু এর ফলে অযথা মোকদমীর সংখ্যা অনেক বাড়বে।” “যদি কারও কোন অভিযোগ থাকে সে আদালতে এসে বলুক না ; সত্যমিথ্যা আদালত দেখবে। কতকগুলো হাল্কা মামলা এসে কোর্টের কাজ বাড়াবে বলে দরিদ্রকে ন্তীয়বিচার থেকে বঞ্চিত করলে সে আবার ধনীর হাতে পিষ্ট হবে।” হেসে বললাম, "তোমাদের দেশে ত ধনী আর নেই ; কি বল ?” অপেক্ষাকৃত ধনী ও নিধন শ্রেণী যে এখনও রাশিয়ায় আছে এ-বিষয়ে পূৰ্ব্বে তার সঙ্গে আমার তর্ক হয়ে গিয়েছিল এবং তাকে আমার যুক্তি মানতে হয়েছিল, তাই সে একটু লজ্জিত হয়ে বললে, “বলেছি ত, এখনও আমরা সোশ্র্যালিষ্ট ’ জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমাদের ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালত একই বলে মনে হয় ; তাই কি ?” --- -ईri | - অতঃপর বিচারকদের আমার সব প্রশ্নের উত্তর