পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م) حسينيكا শ্রেষ্ঠ নিদর্শন খ্ৰীঃপূঃ প্রথম শতাব্দীর পূর্ব হইতে খ্ৰীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পর পর্য্যন্ত পাওয়া যায়। এই সাত শত বৎসর অর্থাৎ বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর হইতে ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের পুনরুত্থান পর্যন্ত বাংলা দেশ বৌদ্ধদের লীলাক্ষেত্রে ক’নে-বউ ছিল এবং এই বাংলা দেশের শিল্পকুশলীরা ভারতীয় প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতির শিল্প-বিভাগে প্রতিভার কি পরিচয় দিয়াছিলেন সেই সম্বন্ধে আমরা এখন আলোচনা করিব । খ্ৰীঃপূঃ চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে পাল-রাজাদের হনুমান ও সস্তান ( অজন্ত ) শেষ-সময় পৰ্য্যস্ত মগধে শিল্পের চরম উন্নতি সাধিত হয় এবং বঙ্গদেশেই মগধের চিত্রাগার ছিল ইহা ক্রমশই প্রমাণিত হইতেছে । পাল-রাজত্বের পুৰ্ব্ব হইতেই গৌড় উত্তর-ভারতের সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ও বদ্ধিষ্ণু নগর বলিয়৷ বিদেশীয়গণের আকর্ষণ-ভূমি ছিল। এই সময় হইতেই খঙ্গদেশ চারু-শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন রাথিয়া গিয়াছে। দেবপালের রাজত্বকালে আমরা দুই জন প্রতিভাশালী ఏనిES মাতৃমূৰ্ত্তি—কালীঘাট শিল্পী ধীমান ও তৎপুত্র বীতপালের পরিচয় পাই । ভিক্ষু তারনাথ তাহার গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, দেবপালের রাজত্বের সময়ে বরেন্দ্রভূমিতে নিপুণ দক্ষশিল্পী ধীমান ও তৎপুত্র বীতপাল ধাতুশিল্পে ভাস্কর্যে, চারুকলায় । বহু শ্রেষ্ঠ নিদর্শন রাথিয়া গিয়াছেন । বীতপালের শিয়া মগধেই বেশী ছিল এবং ধীমানের শিল্পপদ্ধতিকে ‘পূৰ্ব্ব বিভাগ’ এবং বীতপালের পদ্ধতিকে “মধ্যদেশ শিল্পবিভাগ’ বলা হইত । দশম শতাব্দীর শেষভাগে দ্বিতীয় গোপাল সিংহাসন অধিকার করেন । সেই সময়ের একখানি সচিত্র পুথি পাওয়া গিয়াছে এবং তাহা বৰ্ত্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়মে রক্ষিত আছে । এই সময় তিববতীয়ের উত্তর-বঙ্গ আক্রমণ করাতে বঙ্গশিল্পের অধঃপতন সুরু হইয়াছিল । ইহার পর একাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মহীপাল দেবের সময় বঙ্গশিল্পের পুনর্জাগরণের মহতী চেষ্টা হইয়াছিল এবং এই সময়েই ‘অষ্টসহিত্রিক প্রজ্ঞাপারমিতা’ পুথি লিখিত হয় । , এই পুথিখানির চিত্রগুলি ত্রিবর্ণেরঞ্জিত এবং ইহা ‘এশিয়াটিক সোসাইটি'র গ্রন্থশালায় রক্ষিত আছে। দশম শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতেই তিব্বতীয়ের বাংলায়