পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جع سيايا অষ্টসাহস্ত্রিক প্রজ্ঞাপারমিত ( ফুশের পুস্তক হইতে গৃহীত ) দুই শ্রেণীর শিল্পীরাই চিত্রাঙ্কন করিয়া থাকেন । আচার্য্যেরা সাধারণতঃ জড়ানো পট, চালচিত্র, কুল', পিড়ি ইত্যাদি এবং পালের লক্ষ্মীসরা, পুতুল ও দেবদেবীর প্রতিমাগুলি চিত্রিত করিয়া থাকেন। পাল-শিল্পীরা মূৰ্ত্তি ভিন্ন অন্ত কোন বস্তুর উপর স্বপ্রণোদিত হইয়া অঙ্কন করিতে প্রায়ই অক্ষম । ইহার কারণ বোধ হয় র্তাহারা বহু দিন হইতেই উৎসাহের অভাবে চিত্রাঙ্কনবিদ্যা পরিত্যাগ করেন এবং পরবর্তী কালে পূজা-পাৰ্ব্বণে শুধু মৃন্ময়-মুৰ্ত্তি গড়িতে গড়িতে বর্ণবিস্তাস একেবারে ভুলিয়: যান। র্তাহীদের হস্তাঙ্কিত চিত্র মধ্যে মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় বটে, কিন্তু তাহা ব্যর্থ অনুকরণের চেষ্টা মাত্র এবং এই রচনার মধ্যে নিম্নশ্রেণীর কৃত্রিমতা ভিন্ন অন্ত কোন প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় না । আচার্য্যদের চিত্রগুলি অনেক উচ্চ স্তরের এবং ইহাদের চিত্রাঙ্কন-পদ্ধতিতে অনাবিল সৌন্দর্য রক্ষিত আছে । চাহিদা এবং উৎসাহের অভাবে তাহারা বর্তমানে জ্যোতিষ প্রভৃতি শাস্ত্রের অালোচনা করিলেও বংশানুক্রমিক চিত্রাঙ্কন-পদ্ধতিগুলি এখনও শিক্ষা করিয়া থাকেন এবং নিজেদের অন্ত কোন উপাধি থাকিলেও অমুকচন্দ্র আচার্য বলিয়াই পরিচয় দেন । আচার্যাদের পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া কালীঘাটের পটুয়ার প্রাচীনকালে চিত্রাঙ্কন করিতেন এবং তাহার বর্ণবিদ্যাস অপেক্ষ রেখা-সমন্বগ্ন-চিত্রে অতি চমৎকার মৌলিকতার পরিচয় দিয়াছেন । ষোড়শ শতাব্দীর "প্রবামীতৰ ఏ98S প্রথম ভাগে কালীঘাটের প্রতিভা জীবন্ত স্বষ্টিতে আনন্দ ও ক্ষুদ্ধি পাইয়াছিল, কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হই স্ত পাশ্চাত্য প্রভাবে কালীঘাটের শিল্পীরা অত্যন্ত অনুকরণপ্রিয় হইয় উঠেন। র্তাহারা সস্তায় জনসাধারণের মনোরঞ্জনার্থ দৈনন্দিন জীবনের ব্যঙ্গচিত্রগুলি আঁকিতে আরম্ভ করেন । যদিও চিত্রের দিক হইতে বিচার করিলে এই সব ব্যঙ্গচিত্রে বিশেব কোন প্রতিভার পরিচয় পাই না, তথাপি সেই সময়ে শিল্পীদের এই চিত্রগুলি মূক ও বধির জনসাধারণকে কথা বলাইতে শিক্ষণ দিয়াছিল এবং এই সব চিত্রাঙ্কনে স্পষ্ট নির্দিষ্ট ভঙ্গী থাকা সত্ত্বেও তাঁহাদের প্রকাশে একটি কোমল পেলবতা ও শ্ৰী মণ্ডিত আছে । কেম্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত পুথি ( ফুশের পুস্তক হইতে গৃহীত ) ওদিকে মুদুর পশ্চিম-বাংলায় পটুয়ারাই প্রধান শিল্পী । এই শিল্পীদের চিত্রাঙ্কন-পদ্ধতির সঙ্গে খাস বাংলার চিত্রাঙ্কনপদ্ধতির একটি পার্থক্য দেখিতে পাওয়া যায় তাহ পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি । এখানকার চিত্রাঙ্কনের প্রধান উপাদান ছিল পুথির পাট । এই সময়েই পুথির পটার উপর রামায়ণ, শ্ৰীমদ্ভাগবত, পৌরাণিক ও বৈষ্ণবীয় ঘটনাবলী চিত্রিত হইতে থাকে। পুথির ভিতরকার বিষয়বস্তুগুলি র্তাহার এই পাটার উপর প্রতিফলিত করিতে যথাসাধা চেষ্টা করিয়াছেন। সাধারণতঃ তেরেট বৃক্ষের পরে কিংবা পুথির পাটীতে ময়দা, খোল, বেল, বাবলার আঠার লেপন দিয়া চিত্রাঙ্কন করা হইয়া থাকে। এই পাটার চিত্রাঙ্কন