পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মকান্তন বিক্রমপুর—একালে ও সেকালে סאצר এই নিমিত্ত কলিযুগকে সাধু যল হয়। কৃতযুগে ধ্যান করিয়া, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ করিয়া, দ্বাপর দেবতার অর্চনা করিয়া যে-ফল পাওয়া যাইত, কলিযুগে কেশবের সংকীৰ্ত্তন করিয়া সেই ফল পাওয়া স্বায় । পরিত্রিক মুক্তির ক্ষেত্রে কলধৰ্ম্ম-পালন কতটা ক'র্যকরী তাহা বলা আমাদের অসাধা। আমাদের চিত্রশীলীয় রক্ষিত এবং প্রদর্শনীতে সজ্জিত ধ্যানমগ্ন প্রাচীন প্রতিমা দেখিলে মনে হয়, পালযুগে এবং সেন-যুগেও এদেশে কৃতযুগের পালনীয় ধ্যানই মুক্তির সোপান বলিয়। গণ্য হইত। বঙ্গল দেশে ধ্যানমগ্ন চতুভূজ বিষ্ণুর স্থানে বংশীবাদনরত গোপীনাথের পূজা এবং সংকীৰ্ত্তন বহুল প্রচীর লাভ করিয়াছে ষোড়শ শতাদে চৈতঠের সময় হইতে । পরিত্রিক ব্যাপারে যাঁহাই হউক, ঐহিক ব্যাপরে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান এবং পশ্চাত্যগণের সংযম এবং সংগঠন শক্তি কfল উণ্টইয়া দিয়াছে। এখন আর্থিক ব্যাপারে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে মুক্তিলাভ করিতে হইলে সত্যযুগের ধৰ্ম্ম ধ্যানে ফিরিয়া যাইতে হইব ; শুধু সংকীৰ্ত্তন চলিবে না । ধ্যান করিলে জ্ঞানলাভ হইবে, এবং সেই জ্ঞানের আলে আমাদিগকে মুক্তির প্রকৃত পথ দেখাইয়া দিবে। পশ্চাত্য শিক্ষাদীক্ষার মোহে আমরা আমাদের দেশ-কাল-পত্র ভুলিয়া, পাশ্চাত্য মন্ত্রে মাতিয়া, উদভট সংকীৰ্ত্তন আরম্ভ করিয়াছি, এবং পদে পদে হুচট খাইয়া আহত হইতেছি । এই বিপদ হইতে উদ্ধার পাইতে হইলে ধ্যান করা অবশুক । পরিশিষ্ট বলা বাহুল্য কলিকাতায় বসিয়; এই প্রবন্ধটি লিখিয়াছিলাম। তার পর অড়িয়ল গিয়া যাহা দেখিলাম এবং শুনিলাম তাহা হৃদয়বিদারক । যাহাদয় শহরে গিয়া বাস করিবার সাধ্য আছে তাহার এখন আর গ্রামে বাস করে না । ভদ্রলোকের মধে যাহার এখন গ্রাম বাস করে তাহদের মুখে হাসি নাই, মনে আনন্দ নাই। ভাfর ছায়া অনেকের মুখের মলিনতাকে গাঢ়য় করিয়াছে। গ্রামের উপকণ্ঠে গোর-সৈন্তের শিবির। গ্রামের অনেক যুবকই গৃহ আবদ্ধ। পুলিদ । এবং গোর"-সৈন্য রাfরতে গিয়া ইহাদিগকে দেপিয় আসে। গোরসৈন্সের কোন অত্যাচার করে না | পথ না চিনায় এবং ভাষা না জানায় সময় সময় ইথায় গ্রামবাসীদিগের অসুবিধার স্মৃষ্টি করে এবং লি জরাও অসুবিধা ভোগ করে । আড়িয় লর গোয়া-সেনার অধিনায়ক খুব ভদ্র এবং অমায়িক । বিক্রমপুরে এইরূপ আটটি গোর-সেনাল শিবির আছে । প্রত্যেক শিবিরের অধিনায়ক এক জন লেফটেনাণ্ট, চারিটি শিবিরের অধ্যক্ষ এক জন কাগুন। আশা করিয়াছিলাম গত ১৫ বৎসর যাবহ রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের ঢেউ যে-ভাবে পল্লীসমাজ আন্দোলিত করিয়াছে, তাহার ফল পল্লীর ভদ্রলোকের অন্ততঃ দলাদলি ভুলিয়া একযোগে কাজ করিতে অভ্যস্ত হইয়াছে। কিন্তু দেখিয়া শুনির আমার ধারণ হইয়াছে, লোকশিক্ষার হিসাবে বিক্রমপুরের এই অংশে আন্দোলন নিষ্ফল ইন্টয়াছে। গ্রাম্য দলাদলির ফলেও বোধ হয় অনেক হতভাগ্য যুবকের পরকাল নষ্ট হইতেছে। গ্রামবাসীর মধ্যে কেই কাহাকে বিশ্বাস করিতে পারিতেছে না ; কে যে বন্ধু, কে যে গুপ্তচর (৪py ), তাহা চেনা যাইতেছে না । কথায় বলে, “আঁধার খ র সাপ, কুতরাং সকল ধরেই সাপ। এইরূপ সংশয়াচ্ছন্ন হইয়া বিক্রমপুরের পল্লীৰাসী দরিদ্র ভদ্রলোকগণ অতি কষ্ট্রে দিনযাপন করিতেছেন । ] אפברפאתי שבשבי কলিকাতায় প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলন প্রবাসী শব্দটি মুছন না, পুরাতন । কিন্তু বাংলা দেশের ব:fহরে যে-সব ব:ণ্ডলী বাস করেন, তাহাদের প্রতি বিশেষণরূপে ইহার প্রয়োগ পুরাতন নয়। বোধ হয় চৌত্রিশ বৎসর আগে প্রয়াগে আমরাই এই মলিকপত্রখানিত এই প্রয়োগ চালাইতে আরম্ভ করি । তথন তর্ক উঠিয়াfছল এবং এখনও তা চলে, পরেও চলিতে পরিব, যে, তারতবর্ষ যখন আমাদের ভারতীয় মহাজাতির দেশ, তখন বাংলার বাহিরে অন্ত সব প্রদেশকে প্রবল বলা ঠিক নয়। ইহাও বলা যাইতে পারে, যে, যেহেতু “উচ্চারচরি তালাপ্ত বহুধৈব কুটুম্বকম্‌” সেই জন্ত পৃথিবীর কোন জায়গাই প্রবাদ নয়, সব মানুযই আত্মীয়। অল্প দিকে চিরত্নীৰ শৰ্ম্মা গাহিয়াছেন— इन्निरवान्न इनि, कल शाँझे दfफ़ौ, cवला cशल झचा इ'डन । ফুরাল খেল ভাঙ্গল মেল', আর কেন বিলম্ব বল ? বিদেশ প্রবাসে ভৰ পাৰাসে, কিছুট আৰু লাগে না ভাল, ৰাড়াপানে মন ছুটছ এখন, ম মা ৰ'লে খায় চল। অর্থাৎ সমস্ত পুথিবীটাই প্রবাদ । বঙ্গের বাহিরের বাঙালীর প্রবাসী কিনা তাঁহার বিচার না-করিয়াও ইহা বলা বাইতে পারে, ষে, তাহদের ও ব-জর