পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রিবাসনী ; ఎ98ఎ এবারকার চিত্র-প্রদর্শন হইতে একটি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণ সম্ভবপর হইয়াছে। শুধু সৌন্দর্য্যের অনুভূতির জন্যই নহে, দেশের ব্যবসা-বাণিজা তথা আর্থিক উন্নতির জম্বাশু কলা-বিদ্যার চর্চা একান্ত প্রয়োজন । মাদ্রাজে চারু ও কারু শিল্প প্রদর্শনী— কলিকাতার হ্যায় মাদ্রাজের সরকারী আর্ট স্কুলেও গত কয়েক বৎসর ধরিয়া চারু ও কারু শিল্প প্রদর্শনা অনুষ্ঠিত হইতেছে। এ-বৎসর গত জানুয়ার মাসে এই স্কুলের চতুর্থ বাধিক প্রদর্শনী হইয়া গিয়াছে। মাদ্রাজ আট স্কুলের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত দেবীপ্রসাদ রায় চৌধুরী মহাশয়ের চেষ্ট-যত্নে প্রতি-বৎসর স্ব ভাবে এই প্রদর্শনী হইয়া আসিতেছে। মাত্রাজের গবর্ণর লর্ড এক্সকিন মহোদয় এবারে প্রদর্শনীর দ্বার উন্মোচন করিয়াছিলেন । সুন্দর স্বন্দর ভাস্কৰ্য্য-চিত্রের সমাবেশে এই প্রদর্শনীর চারুশিল্প বিভাগ বড়ই প্রতিপ্রদ হইয়াছিল। ভাস্কর বুত কালিকিঙ্কর ঘোষ দস্তিদার, যুক্ত প্রদোষ দাশগুপ্ত যুক্ত বেঙ্কট নারায়ণ রাও, শ্ৰীমতী মুথুভেলু ও যুক্ত কাৰ্ত্তিকেয়র ভাস্কৰ্য্য-চিত্র সঞ্চাত্রে উল্লেখযোগ্য। ইহঁাদের পরিকল্পনা ও নিৰ্ম্মাণ-কৌশলে মোলিকতা যথেষ্ট। কালিকিঙ্করের “প্রয়াস”, নারায়ণ রাওএর “ধানী বুদ্ধ” প্রভৃতি ইহার নিদর্শন। শ্ৰীমতী মুলুভলুর ন্যায় ছাত্রা মতা কমলার চিত্রও উল্লেখযোগ্য। পাশ্চাত্য রীতিতে অঙ্কিত বহু চিত্রও প্রদর্শিত হইয়াছিল। শুকুন্ত রাম রাও, খ্ৰীযুত পল রজ ও যুত খগেন্দ্র রায়ের চিত্রগুলি এই বিভাগের শোভা বৰ্দ্ধন করিয়াছিল। যে-সব চিত্রে ভারতীয় পদ্ধতি অনুস্থত হইয়াছিল সেগুলি এক স্থলে প্রদর্শিত হয়। সৈয়দ আহমেদ, কালিকিঙ্কর, লোকিয়া, খগেন্স রায়, ডোরাইস্বামী বেঙ্কটনারায়ণ রাও, রাম রাও, বেঙ্কটরত্নমূ, পি. সি. রাজু প্রভৃতির চিত্রাবলী সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । শ্ৰীযুত দেবীপ্রসাদ রায়-চৌধুরীর চিত্রাবলী যে মনোরম হইয়াছিল তাহা বলাই বাহুল্য । জীবনায়ন শ্ৰীমণীন্দ্রলাল বসু কলিকাতা গবর্ণমেণ্ট আর্ট স্কুলে শ্ৰীযুত ইন্দু রক্ষিত প্রাচীর চিত্র আঁকিতেছেন S) অরুণ যখন অজয়দের বাড়িতে আসিয়া পোছাইল, কলিকাতার পৌধাবলীর উপর অপরাহের আলো স্নান হইয়া আসিয়াছে, নগরের গলিতে প্রোসাদগুলির দীর্ঘতর ছায়া । ছাঁদ হইতে অরুণকে দেখিতে পাইয়া চন্দ্রা সিড়ি দিয়া ছুটিয়া আসিল, অরুণের হাত ধরিয়া ছাপাইতে ছাপাইতে বলিল,—বেশ, কাল আস নি কেন ? কাল বড়দির জন্মদিন গেল । অরুণ বিস্মিত হইয়া বলিল—আমি কি জানতুম ? হাত নাড়িয়া চুল দোলাইয়া চন্দ্রা বলিল—তোমার কিছু মনে থাকে না । আমার লাট্ট, এনেছ ? o, ஆர். —ওই, আনতে ভুলে গেছি । —বড় ভোলা মন বাপু তোমার । —লাটু, ত ছেলেরা খেলে, আচ্ছা, খুকু তোর জন্তে বড় পুতুল এনে দেব, কেমন ? —ন আমার পুতুল চাই না, আমার লাট্ট, চাই, বা, ছেলেরা স্কিপ করে কেন ? চন্দ্র। অজয়ের ছোট বোন । ছয় বৎসর বয়স হইবে । খয়ের-রঙের ফ্রকের ওপর ফুল-কাটা সাদা এ্যপ্রন ; কচি আমপাতার মত শ্ৰামশ্ৰী ; মুখখানি মঙ্গোলীয়, চারে সহিত তুলনা দেওয়া বাইতে পারে, স্থলের মেরে তাহাকে চাদামাছ বলিয়া ডাকে। তাতার দুই চোখে 'দুষ্টামি, দেহে মনে চঞ্চল কৌতুক, গিরিঝর্ণার মত ছুটিয়া