পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্থলন্তন মত নুতন অাইন ইছারা করেন, পুরাতন আইনের সংশোধন করেন, এবম্বিধ কাজ ৷ ইত্যাকার কাজ করিতে গিয়া ব্যবস্থাপক সভায় ইহাদের পরাজয় হইলে, অর্থাৎ যত প্রতিনিধি ইছাদের দিকে ভোট দেয় ইহঁদের বিরুদ্ধে তার চেয়ে বেশী লোক ভোট দিলে, ইছারা পদত্যাগ করেন। তখন নুতন প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচন দ্বারা বা অন্ত প্রকারে নূতন মন্ত্রীমণ্ডল ও “গবন্মেণ্ট” গঠিত হয় । এই প্রকারে প্রজাদের প্রতিনিধিদিগের দ্বারা যে সব দেশের রাষ্ট্রীয় কাৰ্য্য নিৰ্ব্বtfহত হয় তথাকার ব্যবস্থাপক সভায় জয়পরাজয়ের সদ্য সদ্য একটা ফল ফলে । আমাদের দেশের ব্যবস্থাপক সভায় জয়পরাজয়ে এরূপ কিছু ঘটে না, ঘটিতে পারে না । ইংরেজ জাতি ভারতের প্রভু। তাহারা ইংলণ্ড হইতে শাসনকৰ্ত্তা পাঠায় । সেই কৰ্ত্তার “গবন্মেণ্ট” । ব্যবস্থাপক সভার ভোটে এই “গবন্মণ্টকে” যতবারই পরাজিত কর না, ইহারাই গবন্মেণ্ট থাকিবে, জয়ী ভারতীয় প্রতিনিধির মন্ত্রীমণ্ডল গঠন করিয়া “গবন্মেণ্ট” নামধেয় হইতে পারিবে না । সুতরাং ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় জয়পরাজয়ে ইংরেজদের কিছু আসে যায় না। গবষ্মেণ্ট পক্ষ পরাজিত হইয়াছে বলিয়া যে শরৎ চন্দ্র বস্তুর মুক্তি হইবে, কিংবা তথাকথিত ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি নাকচ হইবে, তাহার বিদুমাত্রও আশা নাই। মিঃ মোহম্মদ আলী জিয়ার সংশোধক প্রস্তাবের শেষ দুই অংশ অধিকাংশ ভোটদাতার ভোট অনুসারে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া যে বিলাষ্ঠী গম্বন্ধেটি দেশী রাজ্যগুলির সহিত ফেডারেগুন ত্যাগ করিয়া কেবল ব্রিটিশ ভারতের জন্তই নুতন, শাসনবিধি

  • بي مايسمنتيجة

বিবিধ প্রসঙ্গ-ব্যবস্থাপক সভায় জয়পরাজয় ૧૭૭ স্তায় আবদুর রহিম প্রণয়ন করবেন বা ব্রিটিশ ভারতীয় প্রদেশগুলির লোকদিগকে সত্যকার রাষ্ট্ৰীয় ক্ষমতা কিছু দিবেন, এরূপ মনে করা দুরাশা মাত্র । তবে, মিঃ জিন্নার সংশোধক প্রস্তাবের প্রথম অংশ গৃহীত হওয়ায় কুফল ফলিবে । তাছা গৃহীত না হইলেও প্রধান মন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার কোন পরিবর্তন হইত না, এখনও ভালর দিকে পরিবর্তন হইবে না। কিন্তু এখন এই কুফল হইল যে, ইংরেজরা ইহা বলিবার ইৰোগ ।