পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------ ۳۰- ، --م-، جیسےp চৈত্র মধ্যে যেটুকু জীবন ছিল তাকে বাঁকানি দিয়ে দিয়ে তার অৰ্দ্ধেকটা প্রায়বের ক’রে ফেললে—যেটুকু বাকি ছিল তাতে কেবলমাত্র বেঁচে থাকা চলে, তার অতিরিক্ত আর কোনো কাজই চলে না। অন্ধকারে ছোট্ট ক্যাবিনের খাচার মধ্যে অনাহারে পড়ে পড়ে কেবল ভাবছিলুম বরুণদেব করুণ হবেন কবে। মনে মনে মহাসমুদ্রকে একটা চতুর্দশপদী মানৎ করেছিলুম। কিন্তু মহাসমুদ্র মানবচরিত্রের দুৰ্ব্বলতা বোধ হয় অবগত আছেন । তিনি জানেন যদি নিতান্ত সহজে তিনি আমাদের পার করেন তা হ’লে পারে এসেই তাকে ভুলতে আর বিলম্ব হবে না কিন্তু খুব কসে একবার দোলা দিয়ে দিলেই অস্তঃকরণে সেটা একেবারে মুদ্রিত হয়ে থাকবে । কথাটা মিথ্যা নয়—এবার আমাদের আটলাণ্টিকের এই ঝুলনযাত্র আমরা ইহ-জীবনে কখনো ভুলতে পারব না । কিন্তু একটা বড় আশ্চৰ্য্য জিনিষ এবার দেখলুম— শরীরে যখন কোথাও কিছুমাত্র আরাম নেই এবং চারিদিক যখন সঙ্কীর্ণরূপে বদ্ধ—তখন নিজের অন্তরতম শক্তি সেই সঙ্কীর্ণতার কোণে একটুখানি ছিদ্রপথ দিয়ে অমৃত উৎস উৎসারিত ক’রে দিয়েছিল। কতদিন এবং কতরাত্রি আমার রোগশয্যা যেন জননীর কোল হয়ে আমাকে গ্রহণ করেছিল—সমস্ত মুক্তি জগতের আনন্দ ক্যাবিনের ভিতরটিতে এসে আমার খবর নিয়ে গেছে। কী স্বগভীর শাস্তি, সত্ত্বিনা এবং আরামের দ্বারা আমার শরীরের সমস্ত দুঃখ গ্লানি একেবারে সমাবৃত হয়ে গিয়েছিল সে আমি বলতে পারি নে। আমার চতুর্দিক অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ছিল বলেই আমি এমন একটি বৃহৎকে এমন সত্যভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলুম। কেননা যে বৃহৎটি সত্য, কোনো বাহ সঙ্কীর্ণতায় তাকে ছোট করতে পারে না—ভূমাতে আয়তনের দ্বারা ছোটও হ’ল না বড়ও হ’ল না। আমার সেই অবরুদ্ধ ক্যাবিনটার মধ্যে সমস্ত জগৎকে ধরেছিল—আমার কোনো অভাব হয় নি –আমি বেশ দেখতে পেলুম বঞ্চিত হলেই যথার্থ রূপে পাওয়া যায়-হারানোর ভিতর দিয়ে পাওয়ার মতো নিবিড় পাওয়া आंब्र किङ्कहेcनंइ। गङा भाष्क भांकि इण कtछ मूर्ष कांकcनन, তখন ব্যাকুল হয় ওঁকে জড়িয়ে ধরতে গিরে দেখা যায় তাকে ছায়াবার জো নেই। সেদিন ভোরাত্রে রবীন্দ্রনাথের পত্র Պգ Ց যখন বাইরে ঘন মেঘ বৃষ্টি ও অশান্ত বাতাস তখন আমি গাচ্ছিলুম “জননী আমার ধাড়াও এই নবীন অরুণ কিরণে ।” তেমন নবীন অঙ্কণ কিরণ তো আমি বোলপুরর মাঠের ধারে বসেও এমন ক’রে পাই নি। অরুণ কিরণকে পাবার জন্তে যখন সামনে অরুণ কিরণকে সাজিয়ে রাথবীর কোনো দরকার হয় না তথনই জীবন ধন্ত । ছবির গায়ের উপরে ছবির নাম লিখে দিতে হয় নিতান্ত ছেলেমানুষদের জন্ত—বাইরের এই উপকরণগুলো তেমনি নাম লেখা মাত্র-ওগুলো না দেখলে আমরা মুঢ়রা কিছু বলতে পারি নে—কিন্তু অক্ষর তো জিনিষ নয় । - ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । New York ২৯ অক্টোবর ১৯১২ હ বিনয় নমস্কারপূর্বক নিবেদন দেবামুরে মিলে যখন সমুদ্রমন্থনে লেগেছিলেন তখন মহাসমুদ্রের পেটে যা-কিছু ছিল সমস্ত র্তাকে নিঃশেষে উদগীর করতে হয়েছিল। সে সময়ে তার যে কী রকম পীড়া উপস্থিত হয়েছিল সেট। তিনি মহাভারতের বেদব্যাসকে কোনোদিন বোঝাবার সুযোগ পেয়েছিলেন কিনা জানি নে কিন্তু এই বর্তমান কবিটিকে খুব স্পষ্ট ক’রে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার জঠর তার জঠরের মতো এমন বিরাট নয় এবং তার মধ্যে বহুমুল্য জিনিব কিছুই ছিল না কিন্তু বেদনার পরিমাণ আয়তনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে না ; সেই জন্তে অতলাস্তিক পার হবার সময় তার অপার দুঃখ অল্পকালের মধ্যেই উপলব্ধি ক’রে নিয়েছিলুম। আমরা যে নিতাস্তই মাটির মানুষ সেট বুঝতে বাকি ছিল না । এখন কেবলই মনে হচ্ছে, কালো জল আর হেরব না গো দুতী, সমুদ্র আর পার হব না— ষ্টীমারের বংশীধ্বনি যত জোরেই বাজুক আর কুল ছাড়তে মন যাচ্ছে না। ডাঙায় নেমে এখনও শরীরটা ক্লাস্ত হয়ে আছে। দিনরাত্রি নাড়া খেয়ে খেয়ে প্রাণটা যেন শরীরের থেকে আলগা হয়ে নড়নড় করছে। সমুদ্র আমাকে যেন তার ঝুমঝুমি পেয়েছিল— হাতে করে ডাইনে ধীরে