পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*iss নাড়া দিয়েছিল, ভেবেছিল কবির পেটের মধ্যে ত্রিপদী চতুপদী যা-কিছু আছে সমস্তয় মিলে একটা ইট্রগোল বাধিয়ে স্কুলৰে-কিন্তু উলটে পালটে খানাতল্লাসী ক’রে জঠরের মধ্য থেকে ছন্দোবন্ধের কোনো সন্ধানই যখন পাওয়া গেল না তখন মহাসমুদ্র আমাকে নিস্কৃতি দিলেন। লের বাড়িটা পাওয়া গেছে। পূৰ্ব্বেই লিখেছি আপাতত সেটা ইস্কুলের কাজে লাগিয়ে দিয়ে । সিংহ তিনি যেটা ভালো বোঝেন তাই করবেন। আসাবের একটা ফর্দ ক’রে বুঝে নিয়ে এবং ভার একটা কাপি আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে । সুরুলের বাগানে বিদ্যালয়ের জন্যে তরীতরকারী উৎপন্ন করানো যেতে পারে কিনা ভেবে দেখো—অবশ্য ফসলের দামের চেয়ে চাষের দাম বেশি না পড়ে। অন্তত ফলের গাছের গোড়া খুঁড়ে এইবেলা সার দিয়ে রাখলে নিশ্চয়ই ফল পেতে পারবে। ইলিনয়ের লিখেছেন তার আসবাবগুলো আপাতত ঐখানেই রেখে ঠিকানায় পত্র লিখো । ইতি ব্যবহার করতে । কিন্তু পাছে লোকসান হ’লে তাঁর দাম তোমাদের ধরে বসেন এই আমার আশঙ্কা হয় । দ্বিপুক জানিয়ে স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৈথিল কবি গোবিন্দদাস ঝা শ্রীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বিদ্যাপতির পদাবলী সঙ্কলন ও সম্পাদন করিবার জন্ত ত্রিশ বংসর পূর্ব আমাক মিথিলায় যাইতে হয় । মৈথিল কবিতাসমূহ অনুসন্ধান করিবার সময় জানিতে পাই যে, বাংলা দেশে প্রচলিত বৈষ্ণব পদাবলীর মধ্যে যেগুলি মৈথিল তাষায় রচিত এবং গোবিন্দদাসের তণিত সম্বলিত সেগুলি মিথিলীবাসী গোবিন্দদাস ঝার রচনা | আমাদের দেশে লোকে মৈথিল ভাষা বিস্তুত হওরাতে ঐ সকল পদ অতত্ত্ব ‘ठा७ष्ट्र ७ दिङ्कङ क्ष्इंग्र] नििम्नitइ, 5भन कि श्रृंtन श्रृंोहन অর্থবোধ হয় না । এই সকল পদই বিশুদ্ধ আকারে মিথিলায় দেখিতে পাই। কলিকাতর ফিরিয়া গিয়া বলীয়-সাহিতা-পরিষদে এই সম্বন্ধে আমি প্রবন্ধ পাঠ করি। উহার মৰ্ম্ম পরিষদের কার্যবিবরণীতে সন্নিবেশিত আছে। সে সময় আমার সিদ্ধান্ত লইয়া কোনরূপ আন্দোলন হয় নাই, কোন সাময়িক অথবা সংষদ পত্রে কোন প্রতিবাদ প্রকাশিত হয় নাই। কয়েক বৎসর অতীত হইল আমি মৈথিল কবি গোবিদ্যাল সম্বন্ধে আর একটি প্রবন্ধ বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষদে পাঠ করি এবং উহা পরিষৎ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তাহার পর কলিকাতা পেয়েটি, সোসাইটীতে ইংরেজীতে আর একটি প্রবন্ধ পাঠ করি, এবং সেই প্রবন্ধ পাটনা-বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত হয় । মডার্ণ রিভিউ পত্রে উহ। প্রকাশিত হয় । এবার আমার মতের বিস্তর প্রতিবাদ হয় । বঙ্গীয়সাহিত্য-পরিবৎ-পত্রিকায় ও অন্তান্ত পত্রে আমার সিদ্ধাস্ত ভ্রান্ত এই অভিযোগ প্রকাশিত হয়। প্রতিবাদীরা বলেন, ব্রজবুলিতে রচিত পদসমুহ প্রখণ্ড বুধী নিবাসী গোবিন্দদাগের লেথ । অপভ্ৰংশ মৈথিল, ভাষার কল্পিত নাম ব্ৰজবুলি । এই গোবিন্দদাস জাতিতে বৈদ্য ছিলেন ও তাহার উপাধি ছিল কবিরাজ—চিকিৎসক অর্থে নয়, শ্রেষ্ঠ কবি অর্থে । এই মতও কল্পিত ও আনুমানিক । যাহারা এ-কথা লিখিয়াছিলেন তাহারা বৃহদাকার ‘পূজকল্পতরু' আয়োপাস্ত পাঠ করিয়াছেন তিন সহে। গোবিন্ধদাস নামে কয় জন বৈষ্ণব কবি ছিলেন তাৰাও রোধ জয় জানেন না। কোনু গা কোৰু, গোবিন্সনালের রচিত তাহ জোনমতে নির্ণর করিতে পারা ধায় না। বৈষ্ণব কাব্যের দুইটি