পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র প্রধান সঙ্কলন, ‘পদকল্পতরু' বৈষ্ণবদাস কৃত সঙ্কলিত ও পদসমুদ্র রাধামোহন ঠাকুর সঙ্কলন করিয়াছিলেন। পকল্পতরুতে টীকা নাই, পদসমুদ্রে সংস্কৃত ভাষায় টীকা আছে, কোন কবির কোন পরিচয় নাই। গোবিন্যাস নামে পাচ জন কবি ছিলেন, কোন কোন পদের ভণিতায় কবির উপাধি আছে, যেমন গোবিন্ধ ঘোষ । অক্ষয়চন্দ্র সরকার কর্তৃক সম্পাদিত প্রাচীন কাব্যসংগ্রহে গোবিলদাস নামধারী সকল কবির পদ একত্রে প্রকাশিত হইয়াছে, কেবল একান্ন পদ নামে স্বতন্ত্র সঙ্কলন আছে। এগুলি এক জন কবির রচনা, ভাষা বাংলা, শ্ৰীখণ্ডের গোবিনাদাসের হইতে পারে। কিন্তু এ-কথাও অনুমান মাত্র, প্রামাণিক নয় । গোবিন্দ ঘোষ, গোবিন দত্ত, গোবিন্দ চক্রবর্তী, কে কোন পদ রচনা করেন, নিঃসংশয়ে তাহ স্থির করিবার কোন উপায় নাই । কয়েকটি পদের ভণিতায় কবির পদবী আছে, নচেৎ সৰ্ব্বত্রই কেবল গোবিন্দদাস নাম পাওয়া যায়। যে-সকল প্রতিবাদ প্রকাশিত হয় আমি তাহার কোন উত্তর দিই নাই। দিবার কোন প্রয়োজন ছিল না। র্যাহারা প্রধান কবি গোবিন্দদাসকে মৈথিল স্বীকার করিতে চাহেন না, তাহদের প্রধান উদেষ্ঠ বাঙালী জাতির গৌরব রক্ষা করা, কিন্তু সত্যের অপেক্ষ মহত্তর কিছুই নাই এবং সত্যের অনুসন্ধানে যাহা জানিতে পারা যায় তাহা গোপন করা অসম্ভব । আমি বৈষ্ণব কবিতা অল্পস্বল্প দেখিয়াছি, কবিরাজ গোবিন্দদাসকে সাধ করিয়া মিথিলাকে প্রত্যপণ করি নাই। বিদ্যাপতি-সম্পাদনকালে আমাকে অনেক পরিশ্রম করিয়া মৈথিল ভাষা শিখিতে হয়। মৈথিল গোবিদ্যাগের ভাষা, তাহার শব্দ-কৌশল উত্তমরূপে বুঝিতে পরিলে তাহাকে কোন মতেই বাঙালী বলিতে পারা যায় না। বিশেষ খন উছার রচনা আমি মিথিলায় দেখিয়া ' बागिकाङ्क्षेि क्षरशः शिव चात्र शंन नारे । । এ-কথা কি সকলের জানা আছে যে কিছুকাল পূৰ্ব্বে ኧ : " ..., বিদ্যাপতিকে সকলে "বাঙালী বলিত? বলিবারই কথা। ASAS S S AAAA S JJSS S S S S S S S S t; মৈথিল কৰি গোবিন্দদাস ঝণ ግ®® তাহার অপূৰ্ব্ব পদাবলী বাংলা দেশ ছাড়া আর কোথাও প্রকাশিত হয় নাই। ১২৮০ সালে জগদ্বন্ধু ভদ্র মহাজনপ্রাবী’ নামে বৈষ্ণব কাব্য প্রকাশ করেন। তাছাতে তিনি লেখেন বিদ্যাপতির নাম ছিল বিস্কাপতি ভট্টাচাৰ্য এবং তিনি যশোহরুনিবাসী। ১২৮২ সালে জ্যৈষ্ঠ মাসের বঙ্গদর্শনে রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় অনেক প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া বিষ্কাপতিকে মিথিলাবাসী নির্দেশ করেন। যার लखं. গ্রিরসন মিথিলা হইতে বিস্কাপতির কতকগুলি পদ সংগ্ৰহ করিয়া ইংরেজীতে অনুবাদ করেন। মিথিলাবাসীরা । নিজের কৰ্ত্তব্যে উদাসীন। বাঙালীর বড় গৌরবের কথা যে, বিদ্যাপতি ও গোবিদাস থাকে এত উচ্চ আসন প্রদত্ত क्ष्प्लएझ् । - মিথিলায় মৈথিল সাহিতে এখন অনুরাগ হইয়াছে।" লহেরিয়াসরায় দরভঙ্গীয় মৈথিল সাহিত্য-পরিষদ স্থাপিত হইয়াছে। বিস্কাপতি যন্ত্র নামক মুদ্রাস্ত্র এবং প্রাচীন মৈথিল লিপির অক্ষর ঢালা হইছে, কয়েকখানি গ্রন্থও ৷ ছাপা হইয়াছে। গত বৎসর বিদ্যাপতির জয়ন্তী-উৎসব হইয়াছিল, সভাপতি হইয়াছিলেন দরভঙ্গর মহারাজা । পাটনার বিশ্ববিদ্যালয়ে মৈথিল ভাষার শিক্ষক মহারাজার ব্যয়ে নিযুক্ত হইয়াছেন। বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভাষা अउि श्रेtउाछ् । - গোবিন্দাস বার সম্বন্ধেও বিবাদ মিটা গিয়াছে। বিষ্কাপতি যন্ত্র হইতে গোবিনগীতাবলী পুস্তক প্রকাশিত, হইয়াছে, সঙ্কলয়িতা দরভঙ্গ রাজকীয় পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষশ্ৰীমথুরাপ্রসাদ দীক্ষিত। যে-সকল পদ এই পুস্তকে সঙ্কলিত श्शरश् उांश दऋषत्र७ १७द्र शांछ। गरुगनकद्र चांभांद्र প্রবন্ধাদির উল্লেখ করিা কিছু কিছু উদ্ধৃত করিয়াছেন। কিন্তু তিনি জানেন না যে ত্রিশ বৎসর পুৰ্ব্বে আমি প্রকাশ করিয়ছিলাম যে গোবিন্যাস কবিরাজ মিথিলাৰী। গোবিনীতাকী সম্পূর্ণ গ্রন্থন। বিজ্ঞাপতির পূর্ণ পাৰী আমি সম্পাদন কৰি,গোলা আরও কবি।