পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র একদিন আমাদের দেশে যখন সমাজ সংহত এবং সমাজবোধ প্রবল ছিল তখন সকলেই নিজ নিজ প্রয়োজনঅনুযায়ী সমাজের নিকট সেবাগ্রহণ করিত এবং আপন আপন সমর্থ্য অনুযায়ী সমাজের সেবা করিয়া সেই ঋণ পরিশোধ করিত । সেদিন সেবাগ্রহণেও লজ্জা ছিল না, সেবা করিতেও গৌরব ছিল না। তাই তখন সমাজসেবার জন্য কেন্দ্রীভূত প্রতিষ্ঠান করিবার বিশষ কোন প্রয়োজন হয় নাই । কিন্তু আজ সমাজ সংহতি হীরাইয়াছে এবং আমাদের সমাজবোধ ক্ষীণ হই উঠিয়াছে, তাই নানা ভাবেই আজ সমাজসেবার কেন্ধের প্রয়োজন হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু সে সেবার ভার লইবে কে ? একদিন যে সন্ন্যাসী সমাজের নিকট হইতে জীবনধারণের অধিকারের বিনিময়ে অধ্যাত্মসম্পদ দীনের ও সেবার অধিকার লাভ করিয়ছিলেন তিনি আজ নিতান্তই ভিক্ষাব্রতী, সমাজের প্রতি তাহার কৰ্ত্তব্যসাধনে বিমুখ। তাই দেশের ভিখারীর সংখ্যাই বাড়িয়া চলিয়াছে, সেবকের সংখ্যা ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইতেছে, তাই অধিকাংশ স্থলেই তথাকথিত আশ্রমগুলি সেবীকেন্দ্র না-হইয়া ভিক্ষীকেন্দ্রে পরিণত হইতেছে । অথচ প্রোচীন ভারতবর্ষের ঋষিগণের তপোবনগুলি শিক্ষা, দীক্ষণ, অধ্যাত্মসাধনা ও জ্ঞানচর্চা সকল দিক দিয়াই প্রাণের কেন্দ্র ছিল । এ-কথা মনে করিলে ভুল করা হয় যে সেই আশ্রমগুলি শুধু অধ্যাঘ্র-সাধনা লইয়া ব্যাপৃত ছিল । এদেশের আয়ুৰ্ব্বেদের প্রতিষ্ঠাতা ঋষি নামেই প্রোক্ত ; বাৎস্তায়নও ঋষি, ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের কালে সন্ন্যাসের সেই প্রাচীন আদর্শ নুতন করিয়া প্রচার করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। র্তাহার দ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়া রামকৃষ্ণমিশনের সন্ন্যাসী-সেবকগণ আজ সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়াইয়া পড়িয়াছেন । তাহীদের দ্বারা পরিচালিত সোবপ্রেতিষ্ট’নগুলি সাধারণতঃ বহুলোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে ; কিন্তু আমি জানি না যে, আমি যে-প্রতিষ্ঠানটির কথা বলিতেfছ তাহার সহিত কয় জনের পুরিচয় আছে। বাংলার একটি নিভূত অখ্যাতনাম পল্লীতে এই যে কয়েক জন সন্ন্যাসী মিলিয়া তাহাদের বাহ ঐশ্বৰ্য্যহীন, অনাড়ম্বর চেষ্টা ও সাধনীর দ্বারা ভাৰী কালের সূচনা করিয়াছেন, ভাবী جسدوان هة বাংলা দেশের একটি শিক্ষণ-প্রতিষ্ঠান ዓፅፃ সমাজগঠন করিতেছেন তাহা সত্যই বিস্ময়ের ব্যাপার ; তাহার সন্ধান লওয়া আমাদের প্রয়োজন । (১) মেয়েদেয় খেলা । (২) বিদ্যালয়ের কয়েক জন ছাত্রী। (৩) মেয়েদের খেলা , (৪) ড্রিলের দৃপ্ত । এই আশ্রমের বাহিরের সৌষ্ঠব কিছু নাই। দুই