পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՆՋ এতাবৎ vতিনকড়ি বাবুর হস্তে সিমাজ-সংক্রান্ত সকল কার্য্যের ক্ষমতাই অৰ্পিত ছিল । তাহার এই গুরুভার কিঞ্চিৎ লাঘব করিবার উদ্দেশে ১৯১০ খ্ৰীষ্টাব্দে vভি. রায়, মিঃ পি. এন. দত্ত (পাৰ্ব্বতীচরণ দত্ত ), vতিনকড়ি বস্তু, vভগবানচন্দ্র মুখোপাধায়, yরজনীকান্ত নিয়োগী, শ্ৰীযুত রামলীল বন্দ্যোপাধ্যায় ও vউমেশচন্দ্র নাগ, এই সাত জনকে লইয়া প্রথম একটি কার্য্যনিৰ্ব্বাহক সমিতি গঠিত করা হয় ও শেষোক্ত দুই জন যথাক্রমে উহার সম্পাদক ও গিরিডি সাধারণ-ব্রাহ্মসমাজ-মন্দির সহকারী সম্পাদক মনোনীত হন । উক্ত সভাগণের মধ্যে মিঃ পি. এন. দত্ত ও ঐযুক্ত রামলাল বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় জীবিত আছেন । ১৯১২ খ্ৰীষ্টাব্দে পুরাতন কঁচা মন্দিরগৃহ ভূমিসাৎ করিয়া প্রায় চারি সহস্র মুদ্র ব্যয়ে বর্তমান মন্দিরগৃহ নিৰ্ম্মিত হয় । অর্থসাহায্য প্রধানতঃ ব্রাহ্মধৰ্ম্মাবলম্বী 'ক্তিদিগের নিকট হইতে সংগৃহীত হইলেও কিয়দংশ `ੋਢਿ বহু, ৮ধরণীধর বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্ৰীযুত শক্তিকণ্ঠ ভ"ও মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা প্রমুখ হিন্দুসমাজভূক্ত ব্যক্তিবে vনিকট হইতেও পাওয়া গিয়াছিল। এই ఏనD8S মন্দিরের সুপ্রশস্ত উপাসনাগৃহে প্রায় দুই শত ব্যক্তি সমবেত ভাবে উপাসনা করিতে পারেন। প্রতি রবিবারে সকাল ও সন্ধ্যায় নিয়মিতভাবে উপাসনা হইয়া থাকে । উনিশ-কুড়ি বৎসর পূৰ্ব্বে গিরিডিতে দীক্ষিত ব্রহ্মের সংখ্যা ছিল প্রায় গিরিডি নববিধান-ব্রাহ্মসমাজ-মন্দির সাতচল্লিশ জন ; বর্তমান সংখ্যা প্রায় সত্তর জন । উপাসনাগুহে বিজুলী আলোকের বন্দোবস্ত হইলে মন্দিরের প্রবৃদ্ধি হইতে পারে । এ-বিষয়ে গিরিডিস্থিত প্রবাসী বাঙালীর চেষ্টত হইলে সুখের বিষয় হইবে । সমাজের বর্তমান সম্পাদক শ্ৰীযুত কুঞ্জবিহারী বিশ্বাস মহাশয় পূৰ্ব্বে সৰ্বজজ ছিলেন। পরে কার্য হইতে অবসর লইয়া সাত-আট বৎসর হইল গিরিডিতে নিজস্ব বাট করিয়া বাস করিতেছেন । সম্প্রতি ইহার মৃত্য হইয়াছে । সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরের অদূরে বীরগণ্ড রোডের উপর মুদৃত ‘নববিধান-ব্রাহ্মসমাজ-মন্দির অবস্থিত । এক বিঘা বার কাঠা হাতার মধ্যে প্রায় পাচ সহস্র মুদ্রা ব্যয়ে ইহা নিৰ্ম্মিত হয় । সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করেন কলিকাতার হারিসন রোডের স্বপরিচিত জুয়েলাস মেলাস