পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ঘোষ কুড়ি বৎসর একাদিক্রমে মিউনিসিপ্যাল ওভারসিয়ার রূপে কাৰ্য্য করিতেছেন । হাজারিব'গ ব্যাঙ্কের একটি শtখা পচশ্বা রোডের উপর অবস্থিত। ব টট ব্যাঙ্কের নিজস্ব সম্পত্তি। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মহাজনদের নিকট ব্যাঙ্ক বেশ সুনাম অর্জন করিয়ছে । ইহা প্রবাসী বাঙালীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। ব্যাঙ্ক-পরিচালনে বর্তমান ম্যানেজার শ্ৰীযুত কালীপদ মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বিশেয বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায় । তিনি গিরিডিতে নিঃস্ব বাটী করিয়া স্থায়িভাবে বসবাস করিতেছেন । স্থ:মীয় :্যটরে দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়ছিল প্রধানতঃ vতিনকড়ি বসু, ৮ধরণীধর বন্দ্যাপাধ্যায়, 9রাজকৃষ্ণ সাহন, গোষ্ঠবিহারী কুণ্ডু, শ্ৰীযুত শক্তিকণ্ঠ ভট্টাচাৰ্য্য, yডাক্তার অন্নদাপ্রসাদ মজুমদার প্রভূতির উদ্যোগে ও অর্থসাহায্যে। প্রথমক্তি ব্যক্তি গৃহ প্রস্তুত করিবার জন্ত সমুদয় ইষ্টক ক্রয়ের ব্যয় বহন ও চিকিৎসালয়ের সাহায্য{ৰ্থ বহু বৎসরাবfধ এক শত টাকা করিয়া মাসিক অর্থসাহায্য করিয়াছিলেন । ডf yঅন্নদগ্ৰসাদ মজুমদার মহাশয় একাদিক্ৰমে বহু বৎসর যাবৎ এই fচকিৎসালয়ের চিকিৎসক ছিলেন । বাঙালী দর মধ্যে একমাত্র তঁহারই একখানি প্রতিকৃতি চিকিৎসালয়ের একটি কক্ষে এখনও শোভা পাইতেছে । ইহার র্যাসিষ্টাণ্ট সার্জন ভিন্নও গিরিডিতে আনকগুলি বাঙালী চিকিৎসক আছেন । র্তাহীদের মধ্যে ডাঃ যোগানন্দ রায় মহাশয়ের পসর সর্বাধিক । ডাঃ জয়স্তকুমার ঘোষ মহাশয়ও গিরিডির এক গুন লব্ধপ্রতিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্থানীয় মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনার। তদ্ভিন্ন ডাঃ ভূরেন্দ্রনাথ মল্লিক, ডাঃ শিরীযচক্র ষষ, ডাঃ গোপীবল্লভ চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ ভূপেন চট্টোপাধ্যায়, ডাঃ এ. বি.দাশগুপ্তপ্রভৃতি এই স্থানে চিকিৎসা-বাবধায়ে লিপ্ত আছেন । ইহুদের মধ্যে যোগাননা বাবু, গোপীৰস্লভ বাবু ও হরেন্দ্র বাবু বাড়িঘর করিয়া এই স্থানে স্থায়িভাবে বসবাস করিতেছেন । ইহা ভিন্ন গিরিডিতে কয়েক জন বাঙালী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও কয়েক জন কবিয়জিও আছেন । ऋांत्रीइ ऐंठेर्क८णद्र जरथr मर्कणtभष्ठ अ$िद्धि छन ? তন্মধ্যে ৰাইশ জন ৰাঙাণী। র্যাডভোকেট চারি জলই গিরিডির বিৰিখ প্রতিষ্ঠান ግጬግ বাঙালী ;- তাহদের নাম, শ্ৰীসতীশচন্দ্র রায়, ঐশক্তিকণ্ঠ ভট্টাচাৰ্য্য, ঐ প্রাণকৃষ্ণ সমস্ত ও ঐবৈদ্যনাথ বক্ষ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় উকীল-লাইব্রেরীটি শক্তিবাবু, vধরণীধর বাৰু প্রমুখ বাঙালীদের চেষ্টায় স্থাপিত হয়। ইহার সংলগ্ন একটি টেনিস কোর্টও আছে । শ্ৰীযুত যতীন্দ্রনাথ সিংহ মহাশয় ইহার বর্তমান সম্পাদক । প্রসঙ্গক্রমে একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় কথা বলিতে চাই । গিরিডির সাধারণ জনহিতকর প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানগুলিই মুখ্যতঃ প্রবাসী বাঙালীদের চেষ্টায় ও অর্থলাহায্যে প্রতিষ্ঠিত । এ-যাবৎ স্থানীয় জনসাধারণের সহিত প্রবাসী T বাঙালী দর পারস্পরিক মধুর সৌহার্দ অক্ষুণ্ণ ছিল। কিন্তু ঃখের বিযয় সম্প্রতি উগ্র প্রাদেশিকতা প্রকট হওয়ায় বিহারী ভ্রাতার বাঙালীদের অন্ত চক্ষে দেখিতে আরম্ভ করিয়াছেন ও এ-বিষয়ে অfন্দালন ও সুরু হুইয়াছে র্যাহার। গিরিডিকে নিজের দেশ বলিয়াই জ্ঞান করেন, গিরিডির কল্যাণ ও শ্ৰীবৃদ্ধির জন্ত কায়মনোবাক্যে চেষ্টা করেন ও স্বেীপার্জিত অর্থ মুক্তহস্তে দান করেন,—বস্তুতঃ গিরিডির বর্তমান সমুদ্ধির মূলে র্যাহারা, তাহীদের বিপক্ষে এইরূপ বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করা নীতির দিক দিয়া যে কত বড় অন্তঃয় ও কিরূপ অশোভন, তাহ আর কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে না । উপসংহারে আর একটি বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করিব। স্থানীয় বাঙালী যুৱক-দর সামাজিক জীবনে আশাঙ্কন্ধপ প্রাণের স্পৰ্ম্মল লক্ষ্য না করিয়া ব্যথিত হইয়াছি । পরস্পরের মধ্যে মিলন ও নির্দোষ আমোদ-প্রমোদের জন্ত কোন নির্দিষ্ট স্থানে একটি উল্লেখযোগ্য মিলনক্ষেত্র আছে বলিয়া শুনি নাই ; যদিও “মিলনী” নামে একটি নামমাত্র সমিতি আছে। সেদিন পর্য্যস্ত লাইব্রেরী বলিতে গিরিডিতে কিছু ছিল না । সম্প্রতি একটি ছোট লাইব্রেরী হইয়াছে। গিরিডিতে স্থায়ী বাঙালী যুবকের সংখ্যা নিত্যাস্তু অল্প নহ। কিন্তু তৎসত্বেও সেখানে একটি উপযুক্ত লাইব্রেরী না থাকায়, তাহীদের জ্ঞানপূহ অথবা মানসিক উৎকর্ষের বিষয়ে যদি কেহ কটাক্ষ করে, তাহ হইলে সপক্ষে বলিবার প্তাহদের হয়ত বিশেষ কিছু থাকিবে না । সুখের বিষয়, সাহিত্য-জালোচনা, আবৃত্তি, গীতবাদ্য প্রভৃত্তির জঙ্গ