পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግግs ওর মত হাস্যময়ী আনন্দময়ী চঞ্চলা মেয়ে এত ক্ষপ কত কথা বলভ, হাঁসি-খুলীতে ঘর ভরিয়ে তুলত । একবার জিগ্যেস করলে-রাণাঘাটে নাকি সার্কাস এসেছে সবাই বলে ? দেখেছেন আপনি ? এত দুঃখের মধ্যেও ওর ছেলেমানুষী মন সার্কাসের সম্বন্ধে কৌতুহলী না হয়ে পারে নি ভেবে আমার হালি পেল। এ-রাত্রে মোহিনী-বুড়ী এল না—আমি ওকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরের বারাঙ্গীতে গুয়ে রইলুম ! বারান্দায় বিছানা পাতছি, ও আবার এত সরলা, নিষ্কলুষ-আমীয় অবাক হয়ে জিগ্যেস করলে আপনি বাইরে শোবেন কেন ? কোন নীতিবাদের সঙ্কোচ এনে ফেলে ওর নিষ্পাপ মনে দাগ দিতে আমার বাধল । বললুম—দেথছ না কি রকম গরম আজ ? বাইরে শোয়াই আমার অভ্যেস তা ছাড়া । সারারাত দু-জনে গল্প ক’রে কাটালুম ! ও ঘর থেকে কথা বলে, আমি বারানা থেকে তার উত্তর দিই । বাবা বোধ হয় কাল আসবেন, না ? মা দিদি কৰে আসবে? সার্কাসওয়ালা কোথায় তাবু ফেলেছে ? কলকাতায় কথনও যায় নি—একবার যাবার ইচ্ছে আছে। কলকাতার থিয়েটার দেথতে কেমন? চৌধুরীরা বোধ হয় মোহিনী-বুড়ীকে বরণ ক’রে দিয়েছে এখানে আসতে । আমার শীভ করছে কিনা। রাত বেশী, ঠাণ্ডা পড়েছে, গায়ে দেবার একটা মোট চাদর দেবে ? আরব্য-উপন্যাসের মত গল্প আর নেই। আচ্ছা, অঙ্ক কত দূর শেখা যায় ? বিদ্যার শেষ নেই—না ? এম-এ পাস করে আরও পড়া বায়, পড়বার আছে ? ওর বাবা এলেন পরদিন সকাল দশটার সময় । তার মুখে শুনলুম পুলিস থেকে তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে শীঘ্ৰ বাড়ি এসে মেয়ের ভার নিতে । তিনি অত্যন্ত বদমেজাজী লোক, দু-একটা কথা শুনেই বুঝতে দেরি হ'ল না। আমার ওপর আদৌ তিনি প্রসন্ন হ’তে পারলেন না— তার মেয়ের তত্ত্বাবধান করার জন্তে একটা ধন্তবাদ দেওয়া ত দূরের কথা, সেটাকেই তিনি আমার একটা অপরাধ ব'লে গণ্য করে নিলেন এবং যে মুখুধ্যে ও চৌধুরীর পরও গন্ধোবেল হিরন্ময়ীকে বাড়িতে জায়গা দিতে চায় নি তাদেরই বাড়িতে থোষামোদ ক’রে তাদের সঙ্গে এ-বিপদে চাইতে গেলেন। * , ; ; ; 登字ーIIエl勢

  • ఏనDBS

আরও একটা ব্যাপার দেখলুম তিনি হিরগ্রীকে আদে দেখতে পারেন না। আমার সামনেই ত তাকে তাড়ন। তর্জন-গর্জন যথেষ্ট করলেন এ নিয়ে, যে সে রাত্রে চৌধুরী গিল্পীর পায়ে পড়ে কেন অনুরোধ করে নি তাকে জায়গ দেবার জন্তে । কারণ তারা দেখলুম লাগিয়েছে য়ে তাদে কি আর ইচ্ছে ছিল না ওকে জায়গা দেবার ? ও মেয়ে ত ইচ্ছে নয় । হিরণের অপরাধ সে মুখ ফুটে কার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে নি। এ ওরা কেউ বুলি ন যে, হিরণের বয়সের মেয়েরা মুখে কোন নাটুকে-ধরণে কথা ব’লে আশ্রয় চাইতে পারে না পরের কাছে—বিশে ক’রে হিরন্ময়ীর মত একটু তেজী মেয়ের । আমি হিরন্ময়ীর ভার থেকে মুক্ত হয়ে কালীগঞ্জে চ৷ে এলুম পরদিন সকালেই। শুনেছিলুম হিরন্ময়ীর মা ও দিf রাণাঘাট থেকে প্রমাণাভাবে খালাস পেয়ে এসেছেন । কালীগঞ্জে এসে বললুম বট, কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলুম, মনের কি অদ্ভুত পরিবর্তন হয়েছে। হিরন্ময়ীর সে শুকনো মুখখানা কেবলই মনে পড়ে, সেদিন সন্ধ্যার সম ওর যে মুখ দেখেছিলাম, যেদিন ওর মাকে আর দিদি:ে থানীয় নিয়ে গেল। হিরন্ময়ীর ব্যথা,•••হিরন্ময়ীর দুঃখ,”-ও রকম বাড়িতে, ওই গায়ের আবহাওয়ায় হিরন্ময়ীর মং মেয়ে গুকিয়ে ঝরে পড়বে। কেই বা দেখবে, বুঝ:ে ওকে ? একদিন মালতীর সম্বন্ধে ঠিক এই কথা ভাবতুম । কত ভেবেছি। এখন বুঝি কি দুর্জয় অভিমা করেই চলে এসেছিলাম ওর কাছ থেকে । কিছুতেই :ে অভিমান ভাঙলো না । তার পর দাদা মারা গেলেন দাদার সংসার পড়ল ঘাড়ে, নইলে হয়ত আবার এত দিন ফিরে ঘেতম। কিন্তু বৌদিদিদেয় নিয়ে ত দ্বারবাগিণী: আখড়াতে গিয়ে উঠতে পারি নে ? এক সময় যার ভবনা কত বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়েছি বটেশ্বরনাথ পাহাড়ে, সে মালতী এখন আমার মনে ক্রমশঃ অস্পষ্ট হয় আসছে— হয়ে এসেছে। আর ত তাকে চেt:থ দেখলুম না f ক্রমে তাই সে দূরে গিয়ে পড়ল। কি করব, মনে ওপর জোর নেই-নইলে অবি কি বুঝতে পারি মে কতবড় ট্র্যাজেডি এটা মানুষের জীবনের ? : ঐরামপুরের ছো বৌঠাকরুণ আজ কোথায় ? কে বলবে কেন এমন হয়।