পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐँछु। দৃষ্টি-প্রদীপ ግግg পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ

  • একদিন অfবার হিরন্ময়ীকে দেখবার ইচ্ছে হ'ল। তখন মাস দুই কেটে গিয়েছে, কামালপুরে আর যাই নি, সেখানে আমার বাসায় জিনিষপত্র এখনও রয়েছে—সেগুলো আনবার চুতে করেই গেলুম সেখানে । মাস দুই পরে, গ্রাম ঠাণ্ড হয়েছে, কেবল শুনলুম হিরন্ময়ীরা একঘরে হয়ে আছে। হিরন্ময়ী আগেকার মতই ছুটে এল আমি এসেছি শুনে। এখানে ওর চরিত্রের একটা দিক আমার চোখে পড়ল— লোকে কি বলবে এ-ভয় ও করে ন—এখানে মালতীর সঙ্গে ওর মিল আছে । কিন্তু মালতীর সঙ্গে ওর তফাৎও আমি বুঝতে পারি। হিরন্ময়ী যেখানে দেবে, সেখানে পেছন ফিরে আর চায় না- মালতীর নানা পিছুটান । সবাই সমান ভালবাসতেও পারে না । প্রেমের ক্ষেত্রেও প্রতিভার প্রয়োজন আছে । খুব বড় শিল্পী, কি খুব বড় গায়ক যেমন পথেঘাটে মেলে না—খুব বড় প্রেমিক বা প্রেমিকাও তেমনি পথেঘাটে মেলে মা ! ও প্রতিভা বে কোন বড় স্বজনী প্রতিভার মতই ঢুলভ । এ-কথা সবাই জানে না, তাই যার কাছে যা পাবরি নয়, তার কাছে তাই আশা করতে গিয়ে পদে পদে ঘ খায় আর ভাবে অন্ত সবারই ভাগ্যে ঠিকমত জুটেছে, সে-ই কেবল বঞ্চিত হয়ে রইল জীবনে। নয়ত ভাবে তার রূপগুণ কম, তাই তেমন ক’রে বাধতে পারে নি ।

ছিরথীর তমুলতায় প্রথম যৌবনের মঞ্জরী দেখা দিয়েছে । হঠাৎ যেন বেড়ে উঠেছে এই দু’মাসের মধ্যে । আমায় বললে—কখন এলেন ? আসুন আমাদের বাড়িতে। মা বলেছিলেন আপনাকে ডেকে নিয়ে খেতে । কত দিনের ছুটি দিয়েছিলেন পাঠশালাতে, দেড় মাল পরে খুললো? —ভাল মাছ হিরণ ? উঃ মাথায় কত বেড়ে গিয়েছ ? —এত দিন কোথায় ছিলেন ? বেশ ত লোক ? সেই গেলেন আর আসবার নামটি নেই । হয়ত ফু-বছর জাগেও এ-কথা কেউ বললে বেদনাতুর হয়ে ভাবতাম-জহ, স্বাৱৰালিনীতে ফিরলে মালতীও अमांज़ ५-ब्रकब झगड़ iः किछ जबtबद्र मेिष्ठिख शैौगt { ७ मृन्छ८क भांजर्टीग्न कधः श्रांभांब्रमिळनई पनि लाँ ! , , , , দু-দিন কামালপুরে রইলাম, হিরন্ময়ী এ-কথা ভাবে নি যে, আমি আমার জিনিষপত্র আনতে গিয়েছি ওখানে, সে ভেবেছিল আমি আবার পাঠশালা খুলব। ওখানেই থাকব। এবার কিন্তু সে আসবার সময় তর্ক, ঝগড়া করলে না, যেমন ক’রে থাকে। ও শুধু শুকনে মুখে এসে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখল আমার যাওয়া । ওর সে আগেকার ছেলেমানুষী যেন চলে গিয়ে একটু অন্ত রকম হয়েছে। তবুও কত অনুরোধ করলে ওখানে থাকবার জন্তে—গা এখন ভাল হয়ে গিয়েছে, কেন আমি যাচ্ছি, গায়ের ছেলেরা তবে পড়বে কোথায় ? ত কি ক’রে বলব কোথায় পড়বে, আমার পোষাবে না এখানে থাকা । কামালপুর গা পিছু ফেলেছি, মাঠের রাস্তা, গরুর গাড়ী আস্তে আস্তে চলছে। কি মন খারাপ যে হয়ে গেল ! মাঠের মধ্যে কচি মটর-শকি, খেদারি-শাকের শুামল সৌন্দর্য্য, শিরিষগাছে কঁচি স্কটি ঝুলছে, বাসুদেবপুরের মরগাঙের আগাড়ে নতুন ঘাসের ওপর গরুর দল চ’রে বেড়াচ্ছে । হিরন্ময়ীর নিরাশার দৃষ্টি বুকে যেন কোথায় বিধে রয়েছে, খচ্‌ খচ্‌ ক’রে বাজছে। বেলা যায়-যায়, চাকদার বাজার থেকে গুড়ের গাড়ীর সারি ফিরছে, বোধ হয় বেলে কি চুয়াডাঙ্গার বাজারে রাত কাটাবে। জীবনটা কি যেন হয়ে গেল, এক ভাবি আর হয়, কোথায় চলেছি আমিই জানি নে । কেনই বা অপরের মনে এত কষ্ট দিই? এই রাঙা রোদমাথান মটর মুহুরির মাঠ যেন বটেশ্বরনাথের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই সন্ধ্যায় গঙ্গার বুকে বড় বড় পাল তুলে নেীকোর সারি মুঙ্গেরের দিকে যেত, আমি মালতীয় স্বপ্নে বিভোর হয়ে পাষাণ-ধাধানে ঘাটের ওপর বলে বসে অন্তমনস্ক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখতুম । সব মিথ্যে, সব স্বপ্ন। ঐ মরগাঙের ওপারে জমা সন্ধ্যার কুয়াশার মত —ফাকা, দু-দিনের জিনিষ। এখানে ফল পাকে না। জেরুসালেম পাথরের দেশ । এর কিছুদিন পরে হিরন্ময়ীর বাবা আমার কাছে এলেন কালীগঞ্জে । অামায় একবার তাদের ওখানে যেতে হবে, হিরথায়ী বিশেয় ক’রে বলে দিয়েছে। আর একটা কথা,