পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسو۹۹ সেই আমার প্রিয় গানটা...যা ওর মুখে শুনতে ভালবাসভূম। চোখে চোধি হ’লেই হাসি হাসি মুখে পুরনো দিনের মত তার সেই ছেলেমানুষী ভঙ্গিতে ঘাড় দুলিয়ে বলেছে— পালিয়ে এসে যে বড় লুকিয়ে আছ ? আখড়ার কত কাজ বাকী আছে মনে নেই ? "প্রবাসী, 9558S তখন আমার মনে হয় ওকে আমি খুব কাছে পেয়েছি। দ্বারবাসিনীর পুকুর-পাড়ের কাঞ্চনফুল-তলার দিনগুলোতে তাকে যেমনই পেতুম, তার চেয়েও কাছে । গভীর মুম্বুপ্তির মধ্যেই তন্ত্রাঘোরে বলি—সব মনে আছে, ভূলি নি মালতী। তোমার ব্যথা দিয়ে বার্থতা দিয়ে তুমি আমাকে জয় করেছ। সে কি ভোলবার ? সমাপ্ত শীতের রোম শ্রীপ্রমথনাথ রায়, এম-এ, ডি-লিট্‌ এ বৎসর রোমে প্রবল শীত পড়িয়াছে। প্রবল শীত রোমে বড়-একটা পড়ে না, কিন্তু এবর অনেক দিন তাপ শূন্তে—এমন কি শূন্তেরওঁ কয়েক ডিগ্রি নীচে নামিয়াছে। কয়েক দিন শহরের গায় ও তার আশপাশে পাতলা বরফের জামা দেখা গিয়াছে । দুই দিন খুব বৃষ্টি হইয়াছে। টাইবার সাধারণতঃ শাস্ত-প্রকৃতির নদী, কিন্তু বৃষ্টির ফল সেও বেশ দুৰ্দ্দস্তি হইয়া উঠিয়াছিল । কয়েক স্থানে স্রোত ফুলিয়া নিকটবৰ্ত্তী রাস্তা ও জমি ডুবাইয়া দিয়াছিল। এরূপ দৃপ্ত কলিকাতায় আমরা প্রায়ই দেখি । একটু বৃষ্টি হইলেই সেখানে রাস্তাঘাট জলে ডুবিয়া যায়। বস্তুত:, সেদিন এখানকার জলে-ডোবা রাস্তায় বসি ও লোক চলাচলের দৃপ্ত দেখিয়া কলিকাতার কথা খুব বেশী করিয়া মনে পড়িতেছিল। জানুয়ারির প্রথম হইতেই শীতটা বেশী হইয়াছে। অক্টোবর মাসের শেষাশেষি ও নবেম্বরের প্রথম দিকে কয়েক দিন বেশ ঠাগু পড়িয়ছিল । তার পর বাতাস আবার কবোষ্ণ হয় । মনে হইত যেন বসন্তের বাতাস। নবেম্বর মাসের এই বাসস্তী কবোঞ্চভাকে রোমের বাসিন্দার বলে সেন্ট মার্টিনের বসন্ত। এমন কি বড়দিনের কয়েক দিন আগে পর্যস্ত অনেক সন্ধ্য এই আকলি বসন্তের বাতালে মনোহর লাগিয়াছে ও তাঁর ছে"ীয়া লাগিয়া মনের fssz ciệ “fitz frĘ al rata” (dolce far niente ) ভাব জাগিয়াছে যা শুধু ইটালীর লোকেরাই জানে । তাঁর পরেই শিশিরের ঋতু প্রবল প্রতাপে দেখা দিয়াছে ও এখন পর্য্যস্ত সকলকে অত্যাচার করিয়া মারিতেছে । কিন্তু রোমে এ-বৎসর শীত খুব প্রবল হইলেও ইউরোপের অন্তান্ত রাজধানীতে শীতকাল যত খারাপ এখানে তার অৰ্দ্ধেকও নয় । সাধারণ লোকের কল্পনায় শীতকালকে পলিতকেশ বিরল-বদন বুদ্ধের সহিত তুলনা করা হয় । কিন্তু রোমে শীতের পলিতকেশ দেখা যায় না, তার বদনও বিরল নয়। রোমের শীত প্রায় সৰ্ব্বদাই হাসিমুখ । রোম শহরের উপর সতত স্বর্ঘ্যের আশীৰ্ব্বাদ ঋরিয়া পড়ে। শীতকালে এই আশীৰ্ব্বদি আপনি প্রাপ ভরিয়া উপভোগ করিতে পারেন। দেব বিভাবমুর এই উদারতা প্রতিবৎসর শীতকালে উত্তর-ইউরোপের হাজার হাজার অধিবাসীকে রোমে আকর্ষণ করে। রোমের হোটেলওয়ালাদের তখন সুসময়, পয়সা-উপার্জনের আনন্দেতখন তাঁহাদের মুখে হালি আর ধরে না। রোমের বাসিন্দারাও এই স্বর্যালোকে আকৃষ্ট হইয় ছুটির দিনে দলে দলে ঘরের বাহির হয় ও পিন চো পাহাড়ের বাগানে জড়ো হইয়া ঘন্টার পর ঘণ্টা বসিয়া স্বসিয়া মৌমাছির মত, রোদ পোহাঙ্গ । - .. ч 2