পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র, শীতের রোম “ఆఫ్రి ইতিহাস বলে পিন্‌চ পাহাড়ের বাগানের নিৰ্ম্মাতা রোমের সম্রাট লুকুলাল ( Luculus ) । এই পরম বিলাসী সম্রাট এই পাহাড়ের উপর বাগান রচনা করিয়া তার মধ্যে নিজের ডাইনিং-হল তৈয়ার করেন। পিচে পাহাড়ের অবস্থিতি এমন চমৎকার যে, এর উপরে দঁাড়াইয়া প্রায় অৰ্দ্ধেক শহর দেখা যায়। তা ছাড়া এখান হইতে স্বৰ্য্যাস্ত যেমন সুগার ভাবে দেখা যায়, শহরের আর কোথাও হইতে সেরূপ দেখা যায় না । সম্রাট নাকি শুধু স্থৰ্য্যাস্ত দেখিবার জঙ্গই এখানে তার ডাইনিং-হল তৈয়ার করিয়াছিলেন । তার ধমনীতে যে থানিকটা কাব্য-ধারা প্রবাহিত ছিল, সন্দেহ নাই । সম্রাটও নাই, তার ডাইনিং-হলও অার নাই। এখন সেখানে একটি প্রকাগু ব্যালকনি বানানো হইয়াছে । এই ব্যালকনি একটা পাথরের বেড়া দিয়া ঘেরা । এখানে দাড়াইলে আপনার দৃষ্টি শহরের বৃহদায়তন বাড়িগুলির উপর দিয়া ভাদিতে ভাসিতে সেণ্ট পিটারের গির্জার আকাশভেী চুড়ায় আপিন্ধা আবদ্ধ হয়। এর একটু দক্ষিণে মস্তেম্যারয়ে নামে পাহাড়—রোমের একটি সৌন্দৰ্য্যনিলয় । একটু বামে জানিকোলো নামে পাহাড়। এই পাহাড়ের উপর গারিবালদি ও তার স্ত্রী আনিতার মন্থমেন্ট ও সেন্ট ওনেফ্রিও নামক গির্জায় কবি তাসের সমাধি । পিন্‌চে পাহাড়ের এই ব্যালকনির উপর দাড়াইয়া শহরের রূপ পান করা ও স্বৰ্য্যালোক উপভোগ করা বিশেব আনন্দদায়ক । সন্ধ্যাখেলার মিনিটগুলি বিশেষ করিয়া অনিন্দদায়ক । পায়ের নীচে বিস্তৃত পিয়াৎস দেল পপোলো, সম্মুখে সেন্ট পিটারের গির্জা ও মস্তুেমারিয়ে, স্বৰ্য্যাস্তকালে শহরের এই রূপ দেখিয়া মনে হয় যেন “একটি প্রকাও নৌক জগতের সাম্রাজ্যের অভিমুখে ভাগিয়া চলিয়াছে” (an immense ship launched towards the empire of the world. ) যেমন রোমের স্বৰ্য্য তেমন রোমের চাদ । রোমের জাকাশ সৰ্ব্বনাই পরিষ্কায় আর নীল । কিন্তু শীতের রাত্রে এর এক বিশেষ রকমের দীপ্তি চোখে পড়ে। তখন টাদের আলোকেও বেঙ্গ এক বিশেষ কুহক জন্মে। বড়দিনের गका इहेcऊं थांबछ कब्रिह्मां छेडेब्रि *ईख नैrङग्न ५ई কয় মাসই এই অপূৰ্ব্ব স্বৰ্য্যালোক ও জ্যোৎস্নার মায়াঙ্গালের মধ্যে রোমের স্বরূপ অনুভব করিতে পারা যায় । অনেক পার্থিব আনন্দ উপভোগ করিবার পক্ষে এই সময়ই স্বপ্রশস্ত । কিন্তু ষার রোমকে বুঝিতে চেষ্টা করে এই কয় মাসই সে তার হৃদয়ের রহস্ত একটু খুলিয়া দেখায় । খ্ৰীষ্টমাসের দিন মধ্যরাত্রে সিড়ি ভাঙিয়া ক্যাপিটল পাহাড়ে আরোহণ করুন ও আরা চেলি ( Ara Coeli ) গির্জায় প্রবেশ করিয়া খ্রীষ্টের জন্মোৎসবে যোগ দিন । গির্জার ঘণ্টার ঢং চং ধ্বনি গভীর রাত্রের নিস্তব্ধতায় দূরে झक्लांश्ब्र शांद्र ! भूरब्रांश्ऊिद्र क% श्ङ त्राशभर्नौब्र शंद्र ধীরে ধীরে উপরে উঠিয়া খানিক ক্ষণ গির্জার অভ্যস্তরে খিলানে-খিলানে ঘুরিতে-ঘুরিতে অবশেষে জানালার ফাক দিয়া ষাহির হইয়া আসে ও ক্রমে ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হই, অসংখ্য নক্ষত্রের মৌন বাগিতার মধ্যে বিলীন হইয়৷ যায়। তার পর বেদীর উপরে মোমের মৃদু আলোকে স্ত্রীষ্টের নকল জন্মগ্রহণ ৷ এই দৃগু দেথিয় আপনি গির্জার বাহিরে অম্বিন ও ক্যাপিটল পাহাড়ের উপরে দঁাড়াইম্বা রোমান ফোরামের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া তার ভেস্তার মন্দির, ক্যাষ্টর ও পলাক্সের মন্দির, তার জয়স্তম্ভগুলির ও রাজপ্রাসাদের ভগ্নস্ত,পের কাহিনী শুনুন । তার পর পিছন ফিরিয়া শ্বেতপাথরের তৈরি ভিক্টর ইমানুয়েল মনুমেন্ট ও পিয়াৎসীভেনেৎসিয়ার দিকে চাহিয়া নুতন রোমের কণ্ঠ শুনুন । ক্রমে এই তিন কণ্ঠ মিলিয় আপনার ভিতর এক গভীর নাদের স্বষ্টি করিবে । আন্দোলিত মনে আপনি তখন পাহাড় হইতে নামিয়া আসেন ও নব-নিৰ্ম্মিত “সাম্রাজ্যের রাজপথ” ( via del impero ) ধরিয়া পথ চলিতে থাকেন। এই রাজপথ প্রাচীন রোমকে নূতন রোমের সঙ্গে যুক্ত করিয়াছে । চলিতে চলিতে আপনার মনে এই অদ্বিতীয় নগরীর ভাগ্য সম্বন্ধে চিস্তার উদয় হয়। এর অতীতের কথা, এর বর্তমান নিয়তি ও ভবিষ্যৎ নিয়তির রহস্ত চিত্ত অভিভূত করিয়া ফেলে। খ্ৰীষ্টমাসের দিন মধারাত্রে ক্যাপিটল পাহাড়ের উপরে ষ্ট্ৰীড়াইয়া রেমিকে যেমন বুঝা যায়, আর কোন সময় আর কোন স্থান হইতে তেমন বুঝা যায় না । অন্তত্ব ও অন্ত সময় এই ফিল্পসদৃশ নগরীর রহস্তের একটু আভাস পাওয়া