পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g-טף সাপ দেখা গেল না। কৃঞ্চবাৰু বলিলেন-দেখ, সব ভাল ক’রে খুজে— তাঙ্কুর কথা শেষ হইল না, ধনদাবাবু চীৎকার করিয়া উঠিলেন—ঐ—সাপ ! —কই—কই ? ধনদাবাবু কৃষ্ণবাবুর কাপড় টানিতেছিলেন, বলিলেন— পালিয়ে এস—পালিয়ে এস বাবা । কৃষ্ণবাবু প্রশ্ন করিলেন—সাপ কই ? —ঐ যে, ঐ যে ঘাসের মধ্যে। ঘাস নড়ছে। নড়স্ত ঘাসের উপরে লাঠিবৃষ্টি হইয় গেল। তাহার পর তাহার ভিতর হইতে বাহির হইল হাতখানেক লম্বী একটি হেলে-সাপ । কৃষ্ণবাবু হাসিয়া বলিলেন—মধুসূদনের ঝাড়ের দোষ, তোমার দোষ কি বল | ধনদাবাবুরা মধুসূদন তর্কালঙ্কারের বংশ । ধনদাবাবু বলিলেন—সাপ ত বটে হে বাপু । ওটাই কি কম ? ওর আবার বিষ বেশী, নামই হ’ল হলাহল । ওটা খেলেই যে— বাস, ধনদা-ভাইপো অঙ্ক । নাও, চা করতে বল । চল তথন সবে দেশে ঢুকিতেছে। কৃষ্ণবাবুর বৈঠকখানা সে আমলে ছিল সমস্ত গ্রামের চায়ের আসর । সর্দি হইলে কেহ কেহ এক-একটা পাঁচ সেরি খোরাবাটী-হাতে চা লইতে আসিত । তামাক টানিতে টানিতে ধনদাবাবু হাত-পা নাড়িয়া বলিলেন-বাপজান, ফেসাদ ত চুকিয়ে ফেললাম। কৃষ্ণবাবু সবিস্ময়ে বলিলেন-ফেসাদ আবার কি হ’ল, কই কিছু ত শুনি নাই, তুমিও বল নাই। ধনদাবাবু বলিয়া উঠিলেন—ফেসাদ নয় ? মহা ফেসাদ । মেয়ের বিয়ে দাও, বিয়ে দাও ! জারে বিয়ে দাও বললেই झ’ण ! কৃষ্ণবাবু হাসিয়া বলিলেন ও তরুর বিয়ের কথা বলছ ? —দেখ দেখি বাপু, ছেলে হর মেয়ে হয় খেয়ে খেলে বেড়ায়—সেই ত ভাল । তার আবার বিয়ে কেনে রে বাপু ! কৃষ্ণবাবু হাসিতে লাগিলেন, কোন উত্তর দিলেন না। ধনদাবাবু কয়েক বার ঘন ঘন মলে টান দিয়া বলিলেন—ত ১৫ প্রবাসীটি S983 আমি ত ফেসাদ চুকিয়ে ফেললাম বাপজান । সব ঠিক হয়ে গেল । কৃষ্ণবাবু প্রশ্ন করিলেন—কোথা ? বার-দুই মাথা নাড়িয়া ধনদাবাবু বলিলেন—ধ্যা হ্যা। বাপজান, এ কি তোমাদের চোখ, এ আমাদের শিকেরী চোখ। আমাদের ঘরের দুয়োরেই পত্রি—হরিচরণের ছেলে তারণ—ওই বাকে বলে আঁট-চোখে তারণ। কৃষ্ণবাবু সবিস্ময়ে ধনদাবাবুর মুখের দিকে চাহিয়৷ বলিলেন—সে কি ! কৃষ্ণবাবুর বিস্ময় ধনদাবাবুর গোচরেই আসিল না । তিনি মহা উৎসাহভরেই বলিতেছিলেন–কুলীনের সের কুলীন—কেশব চক্ৰবৰ্ত্তীর সন্তান— কৃষ্ণবাবু বাধা দিয়া বলিলেন—কুল ত ভাল, কিন্তু ছেলে যে কুলাঙ্গার । ধনদাবাবু প্রবল প্রতিবাদ তুলিয়া বলিলেন—খুব ভাল ছেলে। পাঁচ-হিংসুকে বলে মন । অতি উত্তম ছেলে । কৃষ্ণবাবু উত্তর খুজিয়া পাইলেন না। তিনি শুধু ধনদাবাবুর মুখের দিকেই চাহিয়া রছিলেন। ধনদাবাবু থামেন নাই । তিনি বলিলেন- সে দিন একনজরে আমি চিনে নিয়েছি। যে খাতিরটা আমাকে করলে সেদিন-ওঃ সে আর তোমাকে কি বলব ! জলের সময় আসছি—ছাতা নাই—দেখেই আমাকে ডেকে বসালে, নিজে হাতে তামাক সেজ খাওয়ালে। বুঝলে কি না, সেইখানেই ওর মা নিজে সেধে কথা পাড়লে । কৃষ্ণবাবু এতক্ষণে বণিলেন—এরই মধ্যে পাঁচটা বিয়ে ওর হয়ে গিয়েছে—তা জান ! ধনদাবাবু উত্তেজিত ভাবে উত্তর দিলেন—ৰাঃ কুলীনের ছেলে বিয়ে করবে না? আরও দশটা করে নাই এই অশ্চিfধ্য । কৃষ্ণবাবু কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন— কাজটা ভাল হবে না ধনদ-ভাইপে, পেশাদার কুলীনের ছেলে-ও কখনও বশ মানে না । ধনদাবাৰু হা হা করিয়া হাসিয়া বলিলেন-পোর শেকল দিয়ে বেটাকে বেঁধে রাখব। ঘর করে দেব, জমি cप्रब, श्रीब्र गवtब्रtजडेॉब्रैौ श्रांभिप्न थक8 कttछ gकिtद्र