পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র দেব, বুঝলে, বাল্‌-আর যাবে কোথা, ঘুরে ঘুরে নড়েই ব’স তাবেদার হয়ে থাকবে। বজ্জাতি করলেই যাতে-তাতে ফাইন ক’রে দেব । কৃষ্ণবাবু আর কোন কথা বলিলেন না। র্তাহার অসন্তুষ্ট অনুমান করিয়া ধনদাবাবু বলিলেন—তরণের মা খোশামোদ করছে। পত্রিপক্ষ থোশমোদ করছে এ কখনও ছড়িতে আছে ? কোথা এখান-ওখান ক’রে লোকের খোশামোদ ক’রে বেড়াব বল ত ? কৃষ্ণবাবু এ-কথারও কোন জবাব দিলেন না । কয়েক মুহূৰ্ত্ত নীরব থাকিয়া ধনদাবাবু আবার বলিলেন—গাজী মদ একটু থায়, রংটা কাল, তার আর কি হবে ? কুলাঙ্গার বলছ —ও আঙ্গারে আগুন ঠেকালেই আঙ্গার আগুন, বুঝলে । ঘরসংসার হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।—বলিয়া নিজের রসিকতায় নিজেই তিনি হা-হা করিয়া হাসিয়া সারা হইলেন । কৃষ্ণবাবু নীরব হইয়াই রছিলেন । 奪影 警 釁 তরুর জীবন-ভূমিকার একটি পট পরিবর্তিত হইল । অদৃষ্ট নাট্যকারকে মানিতে গেলে বলিতে হয় তাহারই নির্দেশ-অনুযায়ী তরু একদিন রাঙা চেলী পরিল, চোখে কঞ্জিল পরিল, আভরণ পরিল, বসনে ভূষণে রাজকন্ত। সাজিয়া রাঙা টুকটুকে বরের প্রত্যাশা করিয়া বসিয়া রহিল। তার পর শুভক্ষণে বিপদতারণের জীবনের সহিত নিজের জীবনের গ্রন্থি বাধিয়া ফাইল । ধনদাবাবু কস্তার বিবাহে খরচের ক্রটি করেন নাই। বরাভরণে, দানে তিনি ভার বোঝাই করিয়া দিয়া কস্তাকে জামাতার সহিত পাঠাইয় দিলেন । ফুলশয্যার রাত্রে তঙ্ক বিছানায় গুইরা ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। তারণের খোজ ছিল মা—সে কোথায় গিয়াছে। অস্বাভাবিক হইলেও বরের বাড়িতে এ লইয়া:কোন ব্যস্ততা বা আন্দোলন ছিল না। অকস্মাৎ কাহার আস্ফালন-মাহানে বহিষ্কারে উচ্চ আঘাত-শৰে ভক্ষর ঘুম ভাঙিয়া গেল । রাত্রি বোধ হয় গভীর, বাহিরে কোথাও আর কোন শব্দ নাই। সদ্য ঘুম ভাঙিয়া অপরিচিত আবেষ্টনীর মধ্যে আপনাকে দেখিয়া তঙ্ক ভয় পাৰয় গেল-তার পর তাঁহার মনে পড়িল এ प्रागैौद्र प्रब ।। श्वक्रूिं बबल-cथीनांद्र भक श्ण, नप्त्र কুলীনের মেয়ে @lു് সঙ্গে কাহার কণ্ঠস্বরও সে শুনিতে পাইল—আজকের দিনেও কি এই কাও করে—? জড়িত উচ্চ স্বরে কে বলিয়া উঠিল —কেয়া হ্যায়—কোন শালার পরোয়া করি আমি ! কে বলিল—ওরে শেলে—শোন— সেই মুহূর্তেই তরুর শয়নঘরের দরজা প্রচণ্ড আঘাতে আছাড় খাইরা খুলিয় গেল—টলিতে টলিতে প্রবেশ করিল। তারণ, তাহার এক হাতে একতাল কি রহিয়াছে । তারণ আসিয়াই বলিল-ইধীর আও—এই—ইধার: আীও । সে মুপ্তি ও আস্ফালন দেখিয়া তরু ভয়ে থর থর করিয়া · কঁপিয়া উঠিল । তারণ বলিল—তোর মুখের ছাঁচ ভুলব আমি—এই কাদা দিয়ে, এই কাদা দিয়ে— । হাতটা নাড়িয়া কাদার তালটা দেখাইতে গিয়া হাত হইতে কাদার তালট থপ করিয়া পড়িয়া গেল। তরুসভয়ে ফোপাইয়া কঁাদিয়া উঠিল । তারণ কাদার তালটা মাটি হইতে চাচিয়া তুলিতে তুলিতে বলিল-পত্নী দেখতে চেয়েছে তোর মুখের ছাচ— তোর মুখের ছ"চ তুলব আমি। পরী একটা নীচজাতীয়া স্ত্রীলোক—পরীর কথা তরী জানে, বিবাহের পূৰ্ব্বেই শুনিয়াছে। তরুর চেতনা যেন লুপ্ত হইয়া আসিতেছিল—গলা দিয়া স্বর তাহার বাহির হুইল না । তারণ বলিল—পরীকে বালা দিতে হবে-খুলে দে তোর বালা । তরু বালা দুইগাছ খুলিয়া ফেলিয়া দিল। তাঁরণ খুশী হইয়া বলিল—আবু ইধার অাঁও, মুখের ছাচ লেঙ্গে—আও, द्धि७ि--। কয়েক মুহূৰ্ত্ত অপেক্ষা করিয়া তারণ অগ্রসর হইল । তরু এবার প্রাণপণে সাহস সঞ্চর করিয়া উঠিয়া দরজার দিকে ছুটিল । তারণও ছুটিল, দরজার মুথেই সবলে তরুকে ধরিয়া মাটিতে ফেলিয় তাহার মুখের উপর কাদার তালটা চাপাইয় দিল। কাদার তালট ভুলিয়া লইয়া দেখিয়। বলিল-ওঠে নাই ভাল।-বলিয়া জীবীর সেটা তক্ষর মুখের উপর চাপাই দিল। তরুর শ্বাসরুদ্ধ হইয়া অসিতেছিল। সে সমস্ত শক্তি সঞ্চয় করিয়া মত্ত তাঁরণকে