পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و سر ۹ { গ্রীধামা ; }SS)8SA একটা ধাক দিল। নেশার উত্তেজনায় দুৰ্ব্বল তাঁরণ পড়ির গেল—সেই অবসরে দরজা খুলিয় ছুটির সে বাহির হইয়া পড়িল । কিন্তু বাহিরেও নিস্কৃতি ছিল না—সেখানে শাশুড়ী প্রহর দিতেছিল বাঘিনীর মত। তারণের ঘরের দরজায় অতি ক্ষিপ্রভাবে শিকল দিয়া বন্ধ করিয়া দিয়া বধূকে আটক করিয়া কছিল-পালাবি কোথায় শুনি ? হারামজাদী, স্বামীকে ফেলে দিয়ে তুমি পালাবে ? কেলেঙ্কারী করবে আমার ? তর সভরে স্থির হইয়া দঁাড়াইল । শাশুড়ী তাহাকে সেই অবস্থাতেই আপনার ঘরে বন্ধ করিলেন । তরুর কঁদিবার সাহস ছিল না, কিন্তু কান্নার আবেগে বুক যেন তাহার ফাটিয়া যাইতেছিল। সে নিদ্রাহীন চক্ষে আবেগের সহিত যুদ্ধ করিয়া বিস্ফারিত চক্ষে ঘরভরা অন্ধকারের দিকে চাহিয়া পড়ির রহিল । ভোরের দিকে শাশুড়ী ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল—ও ঘরে তারণের নাসিকা-গর্জনের ধ্বনি শোনা যাইতেছিল। তরু উঠিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু ভয়ে যেন সে পঙ্গু হইয়া গেছে। কিছুক্ষণ পর আবার সে উঠিল । দরজার কাছে আসিয়া অর্গলে হাত দিল । ধনদাবাবু গ্রামের মধ্যে প্রত্যুষে উঠিয়া থাকেন—অন্ধকার -খাঁকিতে থাকিতেই তিনি বাহিরে আসেন। সেদিন প্রত্যুষে বহিদ্বার মুক্ত করিব মাত্র প্রথম দৰ্শন করিলেন নববিবাহিত কস্তার কর্দমলিপ্ত মুখ । তিনি শিহরিয়া প্রশ্ন করিলেন—তরু—ম | তরু উত্তর দিতে গেল, কিন্তু পারিল না—সে এতক্ষণে মুচ্ছিত হইয়া পিতার কোলে ঢলিয়া পড়িল । , তরুর জীবনের এইখানেই বোধ হয় প্রথম অঙ্ক শেষ श्हेंब ।। 奪影 鬱 釁 পরদিন প্রভাতেই তরুর শাশুড়ী বউ লইতে আসিয়া শ্বলিল-আরও পঞ্চাশ টাকা তোমাকে লাগৰে বেয়াই । ভারণ ত আমার রেগে খুন—বলে ও পরিবার আমি লোৰ না । আমি অনেক বুঝিয়ে-মুদ্ধির— o অসহিষ্ণু তাৰে ধনদাবীবু বলিলেন—ল। , , o ." সবিস্ময়ে চমকিয়া উঠিয়া তরুর শীগুড়ী বলিল-ন! কি ? এক কথার ধনধাৰাবু বলিয়া দিলেন-মেয়ে আমি পাঠাব মা । তরুর শাগুড়ী বলিল—অ—তা বেশ । কিন্তু গয়নাগুলি আমার দাও । গয়না ত আমার তীরণের । ধনদাবীবু বলিলেন—গয়না আমার মেয়ের । ইহার উত্তরে তরুর শাশুড়ী চীংকার করিয়া পথে পথে তরুর গতরাত্রির নৈশ অভিসারের একটা রচিত কাহিনী রচনা করিয়া বাড়ি ফিরিল। ধনদাবীবু প্রতিজ্ঞা করিলেন—ও জামায়ের আমি মুখ দেখব না। আমার মেয়ের ভাবনা ! এক লাখ টাকা দেব আমি তত্ত্বকে—বেটা নিজে এসে গড়িয়ে পড়বে— তবে আমার নাম ! কিন্তু এ প্রতিজ্ঞ তাহার থাকিল না । চার বৎসর পরের কথা ! তক্রর বয়স তখন সতের বৎসর । তরুর মা সেদিন ধনদাবাবুকে বলিলেন-ই গো— মেয়েটার একটা ব্যবস্থা কর । ধনদাবাবু বলিলেন-পাচ হাজার টাকা দেব আমি তরুকে-ভাবনা কি ? গৃহিণী বলিলেন—টীকা নিয়ে কি করবে তরু ? কে ভোগ করবে ? ধনদাবাবু সচকিত হইয়া উঠিলেন, বলিলেন-হু" । গৃহিণী বলিলেন–জামায়ের সঙ্গে কি মাথা তুলে চলা চলে, যার পায়ে ধরে মেয়ে দিয়েছ ; তরুর দিকে চেয়ে দেখ দেথি । ধনদাবাবু কোন কথা বলিলেন না । কিন্তু সন্ধ্যার সময় নিজেই গৃহিণীকে ডাকিয়া বলিলেন—ত্তর ত বেশ রয়েছে—কেবল দেখলাম আজকাল বেীদের সঙ্গে ঝগড়া করে বেশী । গৃহিণী বুলিলেন- ঝগড়া করাটা বুঝি ভাল মনের লক্ষণ ? * ধনদাবাবু ডাকিলেন—তরূ-ত্তক । তঙ্ক তখন নীচে ঝগড়াই ফুরিতেছিল—সে তীক্ষকণ্ঠে অন্ধকার বাড়িটার এাৰণে এক ধাড়াই বলিতেছিল