পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tyళas কিন্তু এত সাবধানতা সত্ত্বেও নরেশ-কাকার সঙ্গে দেখা হইরা গেল । দিবাকর নরেশ-কাকাকে দেখিয়াই চিনিয়ছে, কিন্তু নরেশ প্রথমটা বুঝিতেই পারেন নাই। প্রণাম করিয়া দিবাকর পরিচয় দিতেই নরেশ আশ্চর্যান্বিত হইয়া বলিলেন–জারে । এত কাল পরে বাড়ি এলি দেব ? তা তোর একি ছিরি হয়েছে রে? অনুখ-টমুখ না কি ? তোকে ষে মোটে চেনারই জো নেই! নরেশ-কাকার কথার দুই-চারিট উত্তর দিয়া তাহার কৌতুহল যথাসম্ভব প্রশমিত করিয়া দিবাকর পুনরায় চলিতে থাকিল। আর বেশী দূর নয় । নিজের বাড়ির উপরে আসিয়া যখন দিবাকর দাড়াইল, তথন স্বর্ণ-ঠাকুরাণী ঘরের বারীনার উপরে বসিয়া বসিয়া একখানা কঁথা সেলাই করিতেছিলেন । সহসা দিবাকরকে দেখিয়া কঁথা, ছুচ, মাটিতে ফেলিয়া রাখিয়া ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন । -ওম, দেবী যে ! ওমা-কতকাল পরে তোকে দেখলুম ! আয় বাছ আয়, সঙ্গে আর কে ? দিবাকর বরান্দায় উঠতে উঠিতে উত্তর দিল—আর কেউ নয় সয়েদিদি, আমি একলাই । ঘরের ভিতর হইতে তাড়াতাড়ি একটা মাদুর আনিয়া বারানায় বিছাইয়া দিয়া স্বর্ণময়ী বলিলেন—বস বাছা, ব' । পাখা এনে দি••• স্বর্ণদিদি পুনরায় ঘরে ঢুকিয়! একখানা পাখা অনিয়া দিবাকরের হাতে দিলেন,—শার্টের বোতাম খুলিতে খুলিতে দিবাকর নিজেকে হাওয়া করিতে লাগিল । দিবাকরের মুখের দিকে তাকাইয়া স্বর্ণদিদি জিজ্ঞাসা করিলেন—তুই কি কোন ব্যামোতে ভুগছিল দেব ? তোর সেই অমন মোটা-সোটা নাদুস্থ মুছল শরীর তা কোথায় গেল ? দিবাকর হাসিয়া বলিল-আচ্ছ সেসব পরে হবে সরোদিদি, এখন তুমি আমায় এক গ্লাস খাবার জল এনে দাও দেখি 1--- রাত্রে দিবাকর সকল কথাই খুলিয়া বলিল । শুনিয়া স্বর্ণদিদি বলিলেন—ত বেশ করেছিল বাপু । e3, ఎ98ు তিনটে মাস খাক, কবরেজ যে ওষুধ দিয়েছে নিয়ম-মতল ঘ, মা-ভবতারিণী তোকে অবিশুিই ভাল করবেন।-- বেীমাও যদি আস্ত, তা হ’লে বেশ হত, বড় দেখতে ইচ্ছে হয় । অমুবিধে আর কিই-বা হ’ত, তোরা সবাই মিলে এই ঘরে থাকৃতিস, আমি না-হয় ওই ঘরে গিয়ে থাকৃতাম । দিবাকর নিয়ম-মত কবিরাজী ঔষধ খাওয়া সুরু করে। দুপুরের ঔষধটা কেবল মাত্র মধু দিয়া থাইতে হয়, তেমন কিছু হাঙ্গামা নাই। দিবাকর নিজেই সেটা পারে ; কিন্তু সকালে, বিকালে এবং রাত্রে স্বর্ণদিদির সাহায্য লইতে হয় । সকালবেলাকার পাচনের উপকরণগুলি সে কিনিয়াই লইয়া আসিয়াছিল। সেগুলি বাছিয়া ওজন করিয়া পৃথক পৃথক মোড়কে এক-এক দিনের মত দিবাকর বাধিয়া রাখে। স্বর্ণদিদিকে বলিল—তোমাকে কিন্তু এই ক'টা দিন একটু বিরক্ত করব সাল্লাদিদি । আমার ওষুধ-পত্তরগুলি তোমার একটু গুছিয়ে-টুছিয়ে দিতে হবে। স্বর্ণদিদি উত্তর করিলেন-ওম, বিরক্ত হব সে আবার কি কথা ? তোর যখন যা ক’রে দেবীর দরকার হবে সবই আমায় বলবি । মুড়িতে গুড় মাখিয়ে, শশা কেটে, নারকেল কুরিয়ে কত খেতে দিয়েছি, মনে নেই ? পুলীপিঠে তৈরি ক’রে দেবার জন্তে দিন-রাত আম{য় কত জ্বালাতন করতিস, সব ভুলে গেছিস্ বুঝি ? সেই দেবী আমার এখন उल्लिॉक ट्tग्नtछ्न !*** দেড় সের জল এক পোয়া থাকিতে নামাইয়া পরিষ্কার একখণ্ড দ্যাকড়া দিয়া ছাকিয়া স্বর্ণদিদি পাচনটা অনিয়া দিবাকরের হাতে দিলেন। থাইতে বিশ্ৰী তেতো এবং কটু, কিন্তু দিবাকর সযত্নে পাচনের বাটটা তুলিয়া ধরিয়া তলানিটুকু পর্যন্ত গলার ভিতরে ঢালিয়া দিল । বিকালের ঔষধটা থাইতে হয়, চালকুমড়ার রস দিয়া । দিবাকর গ্রামে ঘূরিয়া ঘুরিয়া বহু কষ্টে চালকুমড়া জোগাড় করিয়া লইয়া আসিল । স্বর্ণময়ীই ছেfচয়া রস রানাইয় দিলেন । * রাত্রের জন্ত কবিরাজ বুকে একটি মালিশেয় ঔষধ नेिब्रांtछ्म । सेमृथ भांणि* कfब्रब्रां ठांकन-°ांठ छांetनद्र উপর অল্প গরম করিয়া তার পরে বুকে সেক দিতে হইবে । ইহাতে ত স্বর্ণদিদির সাহায্য লওয়া ছাড়া উপায়ই নাই !