পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

し〜の3 সেবামনী ; ఏ98ు —তা চোহার দেখেই বুঝতে পারছি। তোমার এখন বাড়ি থেকে চলে আসাটা মোটেই ঠিক হয় নি । দিবাকরের শরীরের অবস্থা দেখিয়া বনমালী বাবু অত্যন্ত সঙ্কুচিত হইয়া উঠিতেছিলেন । গাল একেবারে ভাঙিয়া পড়িয়াছে, চোখ দুটি বে কোথায় গিয়া ঢুকিয়াছে তাহার ঠিক নাই । আর থাকিয়া থাকিয় ঐ কুৎসিত কাশি ! দিবাকর বলিল—লা এসেই বা কি করি । ছুটিও ফুরিয়ে গেল, কবরেজকেও আবার দেথানে দরকার— এবারে মাথা চুলকাইয়া বনমালী বাবু বলিলেন— এলে ত, বালায়ই যে কেউ নেই ! আমি একলা শুধু ঠাকুর আর ঝিটাকে নিয়ে আছি । সেদিন আমার শীলা এসেছিল, ওদের সবাইকে সে মাস-দেড়েকের জন্তে তার কাছে নিয়ে গেল । আমি আছি সে এক মহা বিভ্রাটের ভেতরে । তোমার ত অসুবিধার একেবারে চরম হব। ওরা থাকলে বরঞ্চ এক রকম হ’ত। না হে বাপু, তুমি রোগ মানুষ, sসকল সময় তোমার ঠিক-মতন তদারক হওয়া চাই, বাসায় গিয়ে আর কাজ নেই।--বনমালী বাবু পুনরায় মাথা চুলকাইলেন—তুমি বাড়িতেই ফিরে যাও আবার । কবরেজ বা বলে শোন গে, আর বনমালী বাবু পকেটে হাত দিলেন, একখানা দশ টাকার নোট বাহির করিয়া দিবাকরের সন্মুখে ধরিয়া বলিলেন— এই টাকাটা রাখ। দরকার মতন— দিবাকর একটু আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া উঠিল, বুঝিতে পারিল, তাঙ্গার বাসায় যাওয়াটাকেই বনমালী বাবু পছনা করিতেছেন না । নতুবা উহার কেহ না থাকিলেই বা কি ? বাড়ি হইতে এতদিন পরে আসিয়াছে, অস্তুতঃ বিশ্রামের জন্তেও ত তাহাকে একটি কি ছুটি দিন থাকিয়া যাইতে বঙ্গা উচিত ! মাধুরী কেন তাহার চিঠির উত্তর দেয় নাই, মামার নিকট যাওয়ার উপরে কারণটি আরোপ করিতে দিবাকর চেষ্টা করিল। কিন্তু মামার কাছে গিয়াছে ত সেদিন, এত দিন কেন মধুরী চিঠি দেয় নাই ? অার মামার কাছে গেলেই বা কি, তাহাতে চিঠি লিথিবীর বাঁধা কোথায় ? তাছার এমন অসুস্থত, একটু খোজ লইবারও কি ইচ্ছা হয় না ? বুদ্ধিমাল দিবাকর মাধুরীর মনের গতি বুঝিতে পারিল। . . 'i মুহুর্তের জন্ত মাধুরীর, মীরার, খোকনের মুখগুলি স্মরণ করিয়া তাহার অন্তর বেদনাতুর হইয়া উঠিল । বনমালী বাবু বলিলেন—এখন তাহলে কবরেজবাড়িই যাও দিবীকর— তাহ’কে এড়াইবার জন্ত শ্বশুর-মহাশয়ের এত বেশী গরজ দেখিয়া দিবাকর সত্যই দুঃখিত না-হইয় পারিল না । কিন্তু আর বেশী কোন কথা বলিতে তাহার প্রবৃত্তিও হইতেছিল না। ওই অবস্থায়ই সে র্তাহার নিকট হইতে বিদায় গ্রহণ করিল। রাস্তার মোড় ঘুরিতেই হঠাৎ বাসার বি কাছুর সঙ্গে দেখা । কাণ্ডু বাজার হইতে ফিরিতেছে, হাতে ঝুড়িতে বাজারের সওদা | —ওমা দাদাবাবু যে ! কথন এলে ? দিবাকর উত্তর দিল—এই ত একটু আগে । ভাল আছিস ত ? —এই চলে যাচ্ছে, এক রকম । আমাদের আবার ভাল থাকা আর মন্দ থাকা । তা এখনই চলেছ কোথায় ? তোমার চেহায়া ত বেজীয় খারাপ হয়ে গেছে দাদাবাবু ! কবরেজ এখন কি বলছে ? —কবরেঞ্জের কাছেই ত যাচ্ছি । হাসিয়া কাহ্নু বলিল—খোকনমণিকে কেমন দেখলে দাদাবাবু ? তোমার কোলে এল না ? উঃ, যা ফুরস্ত হয়েছে ! হামাগুড়ি দিতে শিখেছে—চার হাত পায়ে এমন ছুটবে, ওর সঙ্গে পারে কার সাধ্যি ? গায়ে আবার জোরও হয়েছে বাবুর । কালকে রাত্তিরে খাটের ওপর থেকে মীরাকে মাটিতে ফেলে দেবার জন্তে কি চেষ্টা! আমর) ত হেসে বাচি নে ! দিবাকর স্তন্ধ হইয়া কান্ধর কথা শুনিতেছিল। এক মুহূর্তের ভিতরে সে সমস্ত বুঝিল । শ্বশুর-মহাশয়ের উপরে এতটুকু অংক্রোশের ভাব তাহার মনে জাগিল মা, কিন্তু তার মাধুরী-f কাজুকে কোনো কথাই সে জিজ্ঞাসা করিল না, এমনকি তাহার মুখ-চোখের চেহারা দেখিয়া কাছু পাছে কিছু সন্দেহ করে এই ভয়ে দিবাকর নিজেকে সম্পূর্ণ সংযত করিয়া অত্যন্ত সহজ কণ্ঠে বলিল-দেখ কাছ, ভূমি একটা