পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بمواضع الصرا মাইলথানেক দূরে বাজারের ওপর এসে চড়তে হয় মটোরে। মটােরে আটু মাইল এসে তবে ইস্টসান । শলার মটরই দিলাম ফেল মেরে । কিন্তু বিনোদ হালদার মোটে সেই বান্দাই নয় ধে আবার ফিরে গিয়ে ভদর লোককে উৎপাত করবে। পা তো নয় মাসি, যেন বজা নীেকে দিলাম চালিয়ে। সে ট্রেন আর ধরতে পারলাম না । মাঝ রাত্তিরের আগে আর ট্রেনও নাই । কিন্তু এ বাবা বিনোদ হালদার, ইস্টানে সিকে পড়ে থাকবার পাত্তর নয়! থানিক পরেই এল এক মাল গাড়ী। তা পরে বুঝলে মালি,— হাসিয়া বিনোদ বলিতে থাকে, দিলাম হাতে গুজে আট গও মুদ্রা। এর নাম বাবা রূপচাদ, পেছন দিক দিয়ে সুড় হুড় ক’রে নিলে গার্ড বেটা আমায় তুলে । তা পরে রাণাঘাটে এসে আর ট্রেনের অভাব কি ? যে একটা টাকা বাচ্লো, রাণাঘাটে এসে এক মেঠায়ের দোকানে ঢুকে,— হাদিয়া বিনো বলে,—বুঝলে ত মাসি ? তা যা করেছিল বাপু ক’রেছিল, এখন এই কষ্ট আর পয়সাবায় সার্থক হয় যদি দেবী আমার এই ঔষধে উপগার পায়— —কিছু ভয় নেই সরোমাসি, মুরু করে দাও ভরসা ক’রে । সেরে যাযে । –এই কথাই বল, তোরা সকলে বাছা । নরেশ পতুিক দেখিয়া একটি শুভদিন ঠিক করিয়া দিলেন, স্বর্ণ সেইদিন হইতে দিবাকরকে ঔষধ খাওয়াইতে মুকু করিলেন । স্নান করিয়া আসিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে দিবাকর পুর্বমুখী হইয়া দাড়াইল । তাহার কপালে ঔষধের বাটটা একবার ছোয়াইয়া স্বর্ণময়ী বলিলেন—ভক্তি ক’রে খেয়ে ফেলে দে বাবা । দিবাকর ঔষধটা গিলিয়া ফেলিবার সময়ে অনুভব করে যেন গল হইতে পেট পর্যন্ত একেবারে জ্বলিয়া উঠিল । करछक निन 8षश थांश्वाब्र श्रtब्रहे श?ां९ ५कमिम ५भन জোরে জর চড়িল আর সারা শরীর এমন একটা অসহ্য যন্ত্রণ হইল ম্বে দিবাকর একেবারে পাগলের মত বকিতে মুক ఏన9834 করিয়া দিল। কাট-ছাগলের মত ছটফটু করিতে থাকিল। পর-পর তিন চারি দিন কাটিয়া গেল, তবুও উপশম হইল না । স্বৰ্ণময়ী শুল্কমুখে বিনোদের কাছে গিয়া ঔষধ খাওয়ানোর পরে দিবাকরের যে অবস্থা হইয়াছে সমস্ত খুলিয়া বলিলেন। শুনিয়াই, বিনোদ তড়াক্ করিয়া লাফাইয়া উঠিল—ও, বলতে ডাহা ভুল হয়ে গিয়েছিল মাসি, এই ওষুধ খাবার সঙ্গে সঙ্গে নানারকম ঠাও জিনিষ খেতে হবে, ভদ্রলোক ত বলে দিয়েছিলেন । ঠাগু জিনিষ মানে ধর এই যেমন —ঘোল, ডাবের জল, মিছরীর পানা---এই সব । শার খালি ওষুধ-খাওয়ার সময়ে নয়, সন্ধোবেলায়ও আর একবার চান করতে হবে। ওষুধটা নিশ্চয়ই বড় বদরাগী••• তা একথা আগে বলতে হয়। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা ত নয় ! তোর খেয়ালটাই একটু কম বাপুং” বিরক্তির সঙ্গে বিনাদকে তিরস্কার করিয়া আসিয়া স্বর্ণময়ী যথোপযুক্ত উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। দিবাকরের মনের ভিতরে বার-বার জাগিয়া উঠে, একুশে মাঘ তার খোকনের অন্নপ্রাশন ! ছোট্ট ফুটফুটে সেট কচি মুখখানি দিবাকরের মনের প্রত্যেকটি অলি-গলিতে ঘুরিয়া বেড়ায়। কাছ বলিল, খোকন বড়ই দুষ্ট হইয়াছে। দিবাকরের চোখের সামনে সেন ভাসিয়া উঠে মাধুরী বসিয়া হয়ত চুল বাধিতেছে। খোকন কিছুতেই যেন মীরার কোলে থাকিষে না-মায়ের কাছে আসিবেই! মীরা ওর মতলব বুৰিয়া দুপ করিয়া মাটিতে নামাইয়া দিল । হামাগুড়ি দিয়া আগাইয়া আসিয়া পিঠ বহিয়া বাহির মায়ের কাধের উপর হাত দিয়া খোকন ধাড়াইল । তাহার পরে কতকগুলি চুল মুঠর ভিতরে লইয়া এমনভাবে টানিতেছে যে, মাধুরী চীৎকার করিয়া উঠিল—উঃ, কি দস্তি ছেলে মাগো, চুলটাও বধিতে দেবে না! তার পরে যেন মীরাকে অনুনয় করিয়া বলিল—লক্ষ্মীটি ওকে একটু নাও— * মীর বলিল—নিয়েছিলামই ত, তা বাপু কিছুতেই কোলে থাকুব সা—তার পরেই গাল ফুলাই চোখমুখ পাকাইয়া এক ধমক—ও দুষ্ট, খোকন, ফেলবো একেবারে মেয়ে, চল,শীগগীর-••••