পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t్ఫూo RESPIG ఎన98ు পূর্ণ ঠাকুরকে তাহার নিজের চাইতে বড় বেশী কিছু তফাৎ বলিয়া মনে হইল না। কিন্তু পূর্ণ ঠাকুর যাহাই হউক না কেন, সত্যনারায়ণদেবকে সে অশ্রদ্ধা করে না ; পাচালী-পাঠ সমাপ্ত হইয়া গেলে দিৰাকর মাটিতে মাথা রাখিয়া দেবতার কাছে অন্তরের একান্ত প্রার্থন জানাইল— আমায় হস্থ ক’রে দাও ঠাকুর! কিন্তু দেবতার কানে সে-প্রার্থন পৌছাইল না । দিবাকরের স্বাস্থ্য ক্রমেই আরও বেশী ভাঙিয়া পডিতে লাগিল । ইতিমধ্যে নরেশ আর একটি খবর পুনরায় স্বর্ণময়ীর নিকটে লইয়া আসিলেন । খবরটি আর কিছু নয়, কোন একখানি পুস্তকে নাকি এই কাল ধ্যাধির সন্ন্যাসী-উক্ত একটি ঔষধের বিবরণ হঠাৎ তাহার চোথে পড়িয়া গিয়াছে। সমস্ত শুনিয়া স্বর্ণময়ী দিবাকরকে আসিয়া বলিলেন । দিবাকর মনোযোগ দিয়া শুনিল । স্বর্ণময়ী মন্তব্য করিলেন, যশোরের এই ওষুধে কিছুই হ’ল না যখন, তখন নিশ্চিন্তি হরে ত আর বসে থাকা যার না, যা হোক আর কিছু দেখতেই হবে। আর এ-ওষুধট ভ খালি বাসকের পাতার রসেরই ব্যাপার, উপগার না হোক, অপকার কিছুতেই হবে না। দিবাকরও স্কুড়িয়া দিল—সব রকম কাশির পক্ষেই ত বাসকের রস ভাল ব’লে শুনেছি। কিন্তু বড় নটখট— —ত ব'লে এখন আর কি করা যাবে ? প্রাণের চাইতে আর কছুই বড় নয়! বিনোদটাকেই লাগিয়ে দেব ভাবছি। বিনোদ বাড়ির কাজকৰ্ম্ম কিছু করুক-না-করুক, অপরের বাড়ির এই সব হুজুগে কাজে বড় পটু ৷ - নরেশ যেরূপ বলিয়া দিয়াছিলেন, স্বর্ণময়ী বিনোদকে সেইভাবে বুঝাইয় দেন। বাসকের পাতা লাগিবে এক মণ । সেই পাতা একট ব্যটির ইtfড়তে বোঝাই করিয়া মাটির ভিতরে গৰ্ত্ত ক রয়া রাখিতে হইবে । ছাড়ির তলায় থাকিবে একটা ছ্যাদা, তার লীচে বসানো থাকিবে একটা পাথুরে বাট । শেষে ছাড়ির মুখ বন্ধ করির গর্তের ভিতরেই ছাড়ির চারি পাশে করিতে হইবে আগুন। আগুনের তাপে পাতা হইতে রস বাহির হইয়া বেটুকু ళీ: - বাটিতে পড়িবে, ভtহাই হইবে ঔষধ। আগুনও যার তা নয় ; করিতে হইবে গোবরের ঘুটের । স্বর্ণময়ী জিজ্ঞাসা করিলেন-পারবি ভ বিনোদ ? এক কষ্ট ক’রেও তোকে বাবা ক’রতেই হবে, তা না হ’লে আf যে আর কাউকে ব’লব এমন মানুষও তো দেখছি নে— বিনোদ উৎসাহের সহিত বলিল—আরে সে-সব কি ভেব না মাসি, দ্যাথ না সবই জোগাড় ক’রে নিচ্ছি এ বাবা বিনোদ হালদার । একটু পরে মাথা চুলকাইয়া বলিল—কিন্তু— —কিন্তু কি, ব’লে ফ্যাল বাপু । —কিন্তু কথা হচ্ছে, এক মণ বাসকের পাতা জোগা করাই ষে অসম্ভব ব’লে মনে হচ্ছে। কোথায় পাব অ বাসকের পাতা ? আর অতবড় হাড়িই বা মিল। কোথেকে ? - ভাবিবার বিষয় বটে। এ গ্রামে ত বাসকের গাছ নাই-ই এক পাশের গ্রামে দু-এক বাড়িতে আছে ; কিন্তু সম গাছ মুড়া করিয়া আনিলেও এক মণ হইবে না। অ! যাহাদের বাগানে গাছগুলি আছে, তাহারাই বা তা করিে দিবে কেন ? কত সময়ে কত দরকার হইয়া পড়ে ! অগত্য স্বর্ণময়ী পুনরায় বিনোদকে সঙ্গে করিয়াই নরেশে নিকট উপদেশ লইতে গেলেন । তিন জনে পরামর্শ করি অবশেষে স্থির হয়, এক মণ-টন দিয়া আর কাজ নাই, ে পরিমাণ পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়, তাহা দিয়াই ঔ! বানাইতে হইযে । সমস্তই হইল । কিন্তু আসল জিনিয লইয়াই শেষ-পর্য্যস্ত গোলমা বাধিল । পাথুরে বাটিটায় বাসকের রসের মত কিছু পড়ে নাই, একটু সাদা জলের মত জমা হইয়াছে। মরেশ বলিলেন—সাবধান, ওর ভেতর মাটি না পড়ে শিশিতে পুরে রেখে দাও । কিন্তু বিনোদ বলিল—এই নাকি তোমার বাসকের রস আমার বিশ্বাস গরমে পাথর ঘেমে, যা দেখছে—জ হয়েছে । সন্দেহেরক্ট ব্যাপার । * খানিকটা কথা-কটিাকাটি চলিল বিনোদ আর নরে•ে