পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جو جسرt বড় একলা-একলা ঠেকে । মিশিবার মত বীণার এখানে অীর কেহ নাই।••• ---শাশুড়ী ডাকিতেছিলেন—বউমা ! ওমা এ কি মেয়ে তুমি । এই অবেলায় ভুয়ে শুয়ে থাকে বাছা ? উঠে পড়, উঠে পড় ! খড়মড় করিয়া বীণা উঠিয়া বসিল । কিন্তু কোথায় বিমল, কোথায় কে 1 বীণা আলমারীযুদ্ধ কাপড় বিছাইয়া মেঝেয় আঁচল বিছাইয়া কথন শুইয়া পড়িয়াছিল । তাহার অলক্ষ্যে কথন বেলা বহিয়া গিয়াছে। দূরে নারিকেল-বনের মাথার উপর বেলাশেষের রৌদ্র কঁাপিতেছে । বীণা লজ্জায় পড়িল । তাড়াতাড়ি উঠিয়৷ পড়িয়া সে কাপড় গুছাইতে লাগিল। শাশুড়ী বলিয়া গেলেন-দেথ মা, অমন অবেলায় আর ঘুমিও নি। অবেলায় ঘুমুলে গা ভারী করে ! 용 옷 옷 হৰুি সে দিন আসিয়াছিল। উঠানে ইড়াই সে বলিতেছিল—আমি আবার তেমনি সেঙ্গনা ছেলে খুড়ী ! আমি আর সেদিন সারারাত ঘুমুলুম না । জেগে বসে রইলুম। তোমার বউমা আমাকে শোনালে । জানলার কাছকে এসে তিনবার ফুক্কুলে ‘হারু ! হারু। হয় ? আমি কোন জবাব দিয়ে না । তার পর আর এক পোয়র বাদে একবার, তার পর আবার, এটা কি ভাল কাজ হচ্ছে খুড়ী। দয়ালদার এটা করা সমূচীন হল ? তুমি বল খুড়ী। মোক্ষদা বলিলেন—সত্যি হারু, দয়ালের এ কাজ ভাল হচ্ছে না। মেয়ের অসুখ, ডাক্তার বদ্যি দেখাও। তা নয় এ সব আবার কি ! তুকফুক আমি দেখতে পারি নে বাপু । হারু আবার দ্বিগুণ উৎসাহের সহিত বলিতে আরম্ভ করিল—তা জান না বুঝি খুড়ী, হারান কবরেজ যে এলে দিয়েছে ? বলছে বাচবে না। তাই কোথা থেকে এক সাধু বাবাকে এনেছে। খুব তুকফুক হচ্ছে । হুম যাগ হচ্ছে। তাহার পর কানের কাছে মুখ আনিয়া ফিস-ফিল করিয়া যাহা বলিল তাহার মৰ্ম্মার্থ এই – রাত্রি দশটার পর সাধুবাব হোমে বসেন। হোম শেষ कब्रिह डिम ejश्tब्रद्र नमग्न ७क छgवग्न भूष कांछैिप्लां छल ১ঞ্জ প্রবামী ১৫ ఏన98ఎ’ বাহির করিয়া শুকুন। ডাবটি হাতে করিয়া বাহির হইয়া যান। তাহার পর নিজের সুবিধামাফিক কাহারও বাড়ির সম্মুখে গিয়া তাহার নাম ধরিয়া ডাকেন। যদি সে সাড়া দিয়া ফেলে ভ তখনই শুকনে ডাবের ভিতর জলের তরঙ্গ ফুটয় উঠবে। সেই জল রোগীকে খাওয়াইবে । কিন্তু যাহার নাম ডাকা হইল সে সেই রোগে আক্রাস্ত হইয়া ভুগিয়া মরিবে । কথাটা শুনিয়া মোক্ষদা দেবী অবাক হইয়া গেলেন । তাহারই বাড়ির পাশে আত্মীয়ম্বক্ষনের মধ্যে এক জন হইয়া দয়াল এ কি আতঙ্কের স্বাক্ট করিল। ঘরে বসিয়া সুস্থ শরীরে সবাইকে প্রাণের ভয়ে কঁাপিতে হহযে, এ কি অষ্ঠায় কথা । কথাটা ক্রমশ: অনেকের নিকট রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । মোক্ষদা সেদিন বীণাকে ডাকিয়া বলি.লন—বেীমা, আজ থেকে আর তোমার ঘাটে গিয়ে কাজ নেই ; নবৃনে বাল্‌তি ক’রে জল তুলে এনে দেবে, তাতেই চান ক’রো— বীণা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল—কেন মা, কি হয়েছে ? ভিনি বলিলেন—না মা দিন-কাল ভাল নম্ব । ডামাডোলের দিন বাতাস থারপি । হারুর বউকে বাতাস লেগেছে, আজ ছু-দিন সে হাত-পা থি’চে পড়ে আছে । মুখে জল দিচ্ছে না—দীতে কুটাে কাটছে না, সে এক কাও ! বীণা অবাক হইয়া গেল । 'বাতাস লেগেছে । যে বাতাস পাতায় পাতায় করুণ মৰ্ম্মর তোলে, হেনার শাথে দোলন দেয়, যে বাতাস ভুবন ভরিয়া ছড়াইয়া আছে, সেই বাতাস মানুষের মনের ভিতর অলক্ষ্যে আবার কি প্রভাব বিস্তার করিতে পারে ! বীণার উপর মোক্ষদা দেবীর নম্বর আছে । তিনি বধুর সম্বন্ধে বিশেষ কারণে উদ্বিগ্ন ছিলেন। বীণার ছেলেবেলা হইতে কি এক বঙ্গ স্বভাব সে ঘুমাইত ঘুমাইতে অনেক সময় চলিয়া বেড়ায়। কখন কথন আবার ঘুমাইতে ঘুমাইতে ‘উ: করিয়া সাড়া দিয়া উঠিী বলে। যেন কে তাছাকে ডাকিয়ছে। বিনয় তাহাকে দু-একবার ধরিয়া ফেলিক্সাছিল । একদিন বেশ মনে পড়ে রাত্রিবেলা কে যেন ধড়াল করিয়া দরজা খুলিয়া বাহির হইয়া গেল ।