পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tూఖt* উন্নয়ন না করিলে স্বরাজলাভ অসম্ভব ও অলীক । নিম্ন ও পতিত জাতিরও একটি কথা স্মরণ রাথিতে হইবে ; কেবল পরমুখাপেক্ষী হইলে চলিবে না, অনেক স্থলে তাহদের আত্মনির্ভরশীল হইতে চেষ্টা করিতে হইবে । সৰ্ব্বপ্রথমে তাহাদিগের মধ্যে যে কতকগুলি কুপ্রথা ও কু-অভ্যাস আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে, উহাদের প্রভাব হইতে তাহাদিগকে মুক্ত হইতে হইবে, তাহাদের মনে রাখিতে হইবে যে যাস্তবিক যোগ্য ন হইলে কেহ কোনও বিষয়ের অধিকারী হয় না। হিংসা বা দ্বেষে কোনও উচ্চ কাৰ্য্য সাধিত হয় না, প্রেম ও ষোগ্যতায় মাছুষ উন্নতির পথে অগ্রসর হয় । এখনও ভারতের স্থানে স্থানে সমাজের সেই প্রাচীন সজীবতা বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, এখনও প্রেম ও সহানুভূতির ধারা অস্তঃসলিলা ফন্ত্ৰনদীর মত প্রবাহিত হইতেছে । উৎকট ভেদনীতির প্রভাব সত্ত্বেও এখনও মাস্ত্রাজের অনেক গ্রামে গ্রাম্য পঞ্চায়েতে নিম্নশ্রেণীর লোকেরও বিচার করিবার অধিকার আছে,গ্ৰাম্য উন্নতির জন্ত যে-সকল কার্য্যের অনুষ্ঠান হয় তাহাতে শিক্ষঙ্গই লোকেরাও চাঁদা দিয়া থাকে, নিম্নশ্রেণীর ভগবতী-পূজায় মহিষের মূল্যের জন্ত ব্রাহ্মণগণও অর্থ দিয়া থাকে। জাতিপঞ্চায়েৎ যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উচ্চ-নীচ জাতির আত্মরক্ষার সহায়ক, তেমনই গ্রাম-পঞ্চায়েতে বিভিন্ন জাতির ক্রিয়া ও স্বার্থের সমবায় সাধিত হয় । বদিও আধুনিক কুপ্রথা ও কুরীতি এই সমবায়কে যথেষ্ট লাঞ্ছিত করিয়াছে, তথাপি এই সমবায়ই ভারতের সনাতন প্রথা, নিত্যসিদ্ধ রীতি। নিম্ন ও উচ্চ জাতির মিলন ঘটাইতে হইলে এই সমবায়কে পুনরায় জাগাইয়া তুলিতে হুইবে । জেলায় জেলায়, মহকুমার মহকুমার, গ্রামে গ্রামে এই সমবায় যাঁহাতে শুধু বারোয়ারী পূজায় মহে, নিয়শ্রেণীর শিক্ষোপযোগী নৈশবিদ্যালয়, বিজ্ঞানাগার, কৃষি ও শিল্প সমবায়ের অনুষ্ঠানে নূতন মুক্তি লাভ করে, তাহার জন্ত নুতন করিয়া সেবা ও সম্যের বার্তা প্রচার করিতে হইবে । এই ভারতেই কবে কোন অতীত যুগে প্রথম রবির কিরণ-সম্পাতের সঙ্গে সঙ্গে তপোবনে ব্রহ্মজিজ্ঞাসার প্রসঙ্গে সাম্যমন্ত্র ধ্বনিত হইয়াছিল, তাহার জদুরগন এখনও খামিয়া যায় নাই। সেই সাম্যমন্ত্রের দ্বারাই বৈষম্যের মধো 8ार्क४: अगांवक्षय्छद्र भटश गमवत्र शिबिर्श थगिर ।। सूत्र په م٠

  • প্রবাসী;

S98S যুগে ইতিহাস দে মন্ত্রকে হীনবীৰ্য্য করিয়া দিয়াছে ; বিদেশীর সংস্পর্শে হৃতগৌরব তারতবর্ষে আত্মরক্ষাকল্পে কঠোর বিধানে বিধিনিষেধের লৌহখৃস্থলের প্রয়োজন হইয়াছিল, তখন জাতীয় বিশুদ্ধিরক্ষা-নিবন্ধন ক্রিয়া ও কৰ্ম্ম পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক জন্মবিচার জাতি-বিভাগের ভিত্তিরূপে কল্পিত হইয়াছিল, তখন বীরাচারের বস্তায় প্লাবিত ও নানা বিদেশীর আচার-ব্যবহার ও মহাযান বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের দুর্নীতির প্রকোপে জর্জরিত দেশকে বাচাইবার জন্ত বিবাহ-বিচারের দ্বারা সমাজস্থিতি রক্ষীর আবশ্যকতা হইয়াছিল, তখন স্লেচ্ছসংস্পর্শ হইতে রক্ষণকল্পে ধৰ্ম্মমন্দিরে কঠোর রক্ষী ও পৰ্য্যবেক্ষকের কার্য্য প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছিল । তাহার পর কত যুগ অতীত হইয়াছে, কখনও কৃষ্ণ, কখনও বুদ্ধ, কখনও রামানুজ, কখনও কবীর, কখনও চৈতন্ত ভারতে অবতীর্ণ হইয়া প্রেমের দ্বীরা এই অধিকার-ভেদকে খৰ্ব্ব করিরছেন, জাতি-বৈষমোর মূলে কুঠারাঘাত করিয়াছেন, প্রীতির দ্বারা সামাজিক শৃঙ্খল তাড়িতে চাহিয়াছেন এবং সমবেদন ও সহানুভূতির দ্বারা উচ্চ ও নীচের প্রভেদ ঘুচাইতে অগ্রসর হইয়াছিলেন। আবার এখন নুতন শিক্ষার আলোকে বৈষম্যের অন্ধকার দূর করিয়া সাম্যের আসন প্রতিষ্ঠিত করিবার সমর আসিয়াছে, পাঞ্চজন্ত-নির্ঘোষে ভারতবাসীকে কৰ্ত্তব্যের পথে অগ্রসর হইবার আহবান আসিয়াছে । সেআহবান প্রত্যাখ্যান করিলে হিন্দুর বঁচিবার আর উপায় থাকিবে না, তাহার শক্তি পঙ্গু হইবে, তাহার মুথ-সৌভাগ্য চিরতরে অন্তৰ্হিত হইবে । বহু বর্ষ পূৰ্ব্বে কবির সাবধান বাণী বজ্রনির্ঘোষে বাজিয়া উঠিয়াছিল – শতেক শতাব্দ ধরে’ নামে শিয়ে অসম্মানভায় মামুদ্ধের নারায়ণে তবুও কৰু ন সমস্কার । ठवू मठ कहि योदि লেখিবারে পীও নাকি নেমেছে ধূলার তলে হীন পতিতের ভগবান, অপমানে হতে হবে সেখী তোয়ে সত্ত্বীয় সমান । দেখিতে পাণ্ড লা তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে, अलिणाश्र ऊँकि लिइन् cज्रामाग्न छाडिङ्ग छइकाप्न ! नवांtद्ध मां यनेि छांक, খেমেী अद्विग्न *ोंक, আপমায়ে বেঁধে রাখ চোঁদিকে জড়ায়ে অভিযান— মৃত্যুখাবে হবে তুষ চিতাভষ্মে সরার সমান ॥

  • .
  • এই প্রবন্ধের ঐতিহাসিক উপকরণ অধ্যাপক ডক্টর রাধাকান মুখোপধ্যায় প্লীত “ৰিভাষ্ঠ" এ বইতে সংগ্ৰহ কৰিয়ছি। :