পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র खंोचन्पोङ्गम tسوBS —চল চলু, কি পাগলামি কfরস । জয়ন্ত গান ধরিল,— ৰাণেশ্বর সত্যই শিক-কাবাব থাইতে চায় না, কিন্তু জারে মন-মাঝি, তোর বৈঠা নে য়ে-- পিতার অর্থহীন নিৰ্ম্মম শাসনের বিরুদ্ধে তাহার অস্তরে যে আমি আর বাইতে পার্লাম মা ! বিদ্রোহের কালে মেঘ ঘনাইয়া ওঠে, এ তাঁহারই বজ্রগর্জন । পরে মমতাহীন শাসন-বিদ্রুপ, অপমানিত আত্মা মুক থাকে ; বাহিরে সে সারাক্ষণ বঙ্গোক্তি কথা-কাটাকাটি করে। শিশু গাছ যেমন সোজা চলিয়া আলোক না-পাইলে আঁকিয়াবঁকিয়া চলে, শিশুমনও তেমনই স্নেহ আনন্দের অভাবে অস্বাভাবিক বক্র হইয়া যায়। বিশ্বস্বষ্টির মধ্যে কোন গৃঢ় শক্তি এক আনন্দময় সামঞ্জস্যের সন্ধানে একবার কেন্দ্রাতিগ, একবার কেন্দ্রাভিগ । নটরাঙ্গের মৃত্যছন্দে নদীর এক পাড় ভাঙে, নূতন তীর জাগে ; প্রাচীন বংশ বিরাট সাম্রাজ্য ধ্বংস হইয়া যায়, নব বংশ নব সভ্যতার জন্ম হয় । নটরাজের এক চরণে প্রলয়ের অগ্নি, অপর চরণে নবহুষ্টির শতদল ৷ যুদ্ধ-জাহাজ দূর হইতে দেখিতে হইল । পুলিস ঘাটের নিকট পাহারা দিতেছে। বৃন্দাবন কাহাকেও নিকটে যাইতে দিল না । চাদপালঘাটে আলিয়া জানা গেল, পরবর্তী ষ্টীমার আসিতে আধ ঘণ্টা দেরি । এক নৌকার মাঝি আসিয়া বলিল— আধ ঘণ্টার মধ্যে সে বোটানিক্যাল গার্ডেন পোছাইয়া দিবে, ভাড়াও খুব সস্তা । জয়স্ত উল্লসিত হইয়া উঠিল । বৃন্দাবন ভয় পাইল, কিন্তু আপত্তি করিতে সাহস করিল না । অক্ষণ ভাবিল, সকলেই সাতার জানে, ভয়ের কিছুই নাই। অরুণদের বাড়ির পুষ্করিণীতে ছুটির সকালে প্রায়ই সস্তরণ গীলা হয়। অজন্তুই এ-সম্বন্ধে বিশেব উৎসাহী । বৃন্দাবনকেও ধরিয়া নাকে মুখে জল খাওয়াইয়া সাতার শিখাইয়াছে। হল্লা করিয়া সকলে নৌকায় উঠিল। মাঝি পাল তুলিয়া নৌকা ছাড়িয়া দিল । সমুদ্রগামী জাহাজগুলির পাশ দিয়া নৌকা তরক্তয় করিয়া চলিল। সকলের বড় মূৰ্ত্তি । শুধু বৃন্দাবনের বড়ু অস্যেরাখি, মাঝি তাঁহাকে বীর-বার সাবধান করিতেছে, সে ধেন ধারে হেলিয়াম খসে, তাহ হইলে নেীক উলটাইম ধাইতে পারে। , , কলের fচমূনী, ষ্টীমারের ধোয়া, ক্রেনে গাটতোলা,মালভরা গাধাবোট, বণিক-সভ্যতা-কলুষিত কলিকাতার গঙ্গার ওপর অপরfতুর আলোকে কিশোরকণ্ঠে ভাটিয়ালী সুর যেমন বিসদৃশ তেমনই করুণ মনে হইল । বোটানিক্যাল বাগানে সকলে খু্য হল্লা করিয়া ঘুরিল ; ডাব থাইল ; ছুটোছুটি করিল ; বড় বটগাছের উচ্চতা কত, তর্ক বাধিল । সকলে চপ-কাটুলেটের অভাব অনুভব করিল। ফিরিবার সময় ষ্টীমারে আসা ঠিক হইল। ষ্টীমারঘাটে আসিয়া বৃন্দাবন কাতর স্বরে চীৎকার করিয়া উঠিল— ভাই, আমার টাকা ? —টীকা ! কি হয়েছে ? —আমার টাকা হারিয়ে গেছে, কোথায় পড়ে গেছে। সে র্কাদিয়া ফেলিল । —যেমন চাল করে হাফপ্যান্টের পকেটে রেখেছিলি । —ক্টাদিস না, তোর নিজের টাকা ত ? —ধ্য, মা দিয়েছিলেন। চল খুজি গে। —কোথায় খুজিবি এখন, এ ষ্টীমারে না যেতে পারলে রাত হয়ে যাবে ফিরতে । অরুণ বলিল— আচ্ছা, আমি তোকে একটা টাকা দেব’খন । --দেবে ভাই ? —বা, তুমি কেন দেবে? ভাবু না, চপ কিনে খেয়েছিল । —আমার এত কল্পনা নেই, আমি ত কবি নই। ষ্টীমার আসিয়া পড়াতে আর টাকার সন্ধান হইল না। চাদপাল-ঘাটে সকলে পরিশ্রাস্ত হইয়া নামিল । সঙ্গে ট্রামে ফিরিয়া যাইবারও পয়সা নাই । অরুণ বলিল-চল হেঁটেই যেতে হবে। বৃন্দাবন অতি শ্রীস্ত, তার পর টাকা হারাইয় বিমর্ষ। সে ভগ্নস্বরে বলিল-আমি অীর হাটতে পারছি না । —খুৰ যে দেওঘরে দশ মাইল বেড়িয়েছিলে । —ন ভাই, আমার নতুন জুতে, পায়ে ফোঙ্কা পড়েছে। অক্ষণের মনে পড়িল শামীম রাত্রে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন,