পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 يتيموا sঞ্চ প্রবাসী ড° $358్స জন গায়ক, একটি মাদল, একটি চও (ঢাক ), এক জন গায়কের হাতে একটি কাসর ঘণ্টা ও আর এক জনের হাতে এক জোড়া করতাল । অভিনয়কালে এই সঙ্গীত ও বাদ্য মন্দিরের আরতির ভাব প্রকাশ করে । যাত্রার মত খোলা জায়গায় সামিয়ানার নীচে অভিনয় হয় । গায়কেরা থাকে অভিনেতাদের পেছনে ; সামনের দিকে দু-ধারে ফুট, সময়ে সময়ে একটি প্রায় চার ফুট উঁচু পিতলের প্রদীপে নারকেল-তেল ও তুলোর পলতে জলতে থাকে। এই আলোর হলদে আভা ও কম্পন গিলটি-করা গহনা ও বিচিত্র বর্ণের পোষাককে জমকালে ক’রে তুলতে ও বহুবর্ণরঞ্জিত মুখের সজ্জা-রচনাকে দীপ্তিমান করে তুলতে সহায়ক রূপে বিশেষ উপযোগী ব’লে ব্যবহার করা হয় । আলোর ঠিক পরেই দু-জন হবেশধারী ব্যক্তি একখানি বিচিত্র বর্ণের পর্দী ধরে থাকে। একে যবনিকা-রূপে ব্যবহার করা হয় । সারা রাত্রি ধ’রে অভিনয় হয়ে থাকে । আজকাল এ-প্রথা শিথিল হয়ে এসেছে। স্থানীয় জমিদার কিংবা বিশিষ্ট ব্যক্তির দ্বারা অহিত হয়ে গিয়ে এরা অভিনয় করে থাকেন, সময়ে সময়ে নিজেদের উদ্যাগেও করে থাকেন । অভিনয়ের দিন সন্ধ্যার সময়ে ঢাক পেটান হয় । এই ঢাকের শবা শুনলে লোকেরা বুঝতে পারে, যে, সেদিন রাত্রে কথাকলির অভিনয় হচ্ছে এবং লোকের মুখে মুখে বহু দূর দূর গ্রামেও খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই চাকপেটানকে “কেলীকটু” বলে। এই হ’ল এদের বিজ্ঞাপনের প্রথা । তার পর রাত্রি প্রায় নটা-সাড়ে-নটার সময় প্রকৃত অভিনয় আরম্ভ হবার পূৰ্ব্বে পর্দার পেছনে খননোর শ্লোকআবৃত্তি, ও মাদল, চণ্ডী, কঁসির ঘণ্টা ও করতালের বাদ্য সহকারে এক নৃত্য করা হয় । একে “তgেম” ৰলে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নটরাজকে বনানা করা । তার পর পার্ল সরিয়ে “পুড় পাঢ়” নামক আর একটি নৃত্য করা হয়, পুড়পাড় অর্থে সমগ্র কাজের হুচনা । এর পর করতাল ঘণ্ট। গাঙ্গল ও চও সহকারে জয়দেবের গীতগোবিনা থেকে একটা গান গাওয়া হয় । একে “মেলাপদ” বলে { জর্থাৎ ঢাকবাজান ও “পদ” অর্থাৎ গান । “মেলাপদ” জর্থে চাকের সঙ্গে গান গাওয়া । এই সময়ে গুৰু গায়ক “মেলা” r এবং বাদ্যকরদের স্বীয় কৃতিত্ব দেখাবার সুযোগ দেওয়া হয় ব’লে মনে হয়। এই “তঢ়েম” থেকে "মেলাপদ" পর্যাস্তু প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে । আজকাল সব সময়ে এ-সব মা ক’রে একেবারে অভিনয় আরম্ভ করা হয়ে থাকে । রামায়ণ ও মহাভারতের সমস্ত উপাখ্যান গীতের উপযোগী ভাষায় রূপান্তরিত করা আছে । এই কার্য্যে ত্রিবাঙ্কুড়-রাজকুমারদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্যোগী হয়ে স্বীয় রচনার দ্বার সাহায্য করেছেন দেখতে পাওয়া যায়। গায়কের অভিনয়ের আরম্ভ থেকে শেষ পর্য্যস্তু গান গেয়ে সমস্ত ঘটনা বিবৃত করেন এবং এই গানের কথা অনুসরণ ক’রে অভিনেতার হাতের মুদ্রার দ্বারা কথোপকথন করেন। সঙ্গীতের ধরণ কতকটা বাংলার কীৰ্ত্তনের মত । একই পদকে অনেক ক্ষণ ধ’রে বিভিন্ন সুরে গাইতে হয় । কারণ, মুদ্রার সাহায্যে সেটাকে বলতে যতটা সময়ের দরকার তার দিকে নজর রাখতে হয়েছে। এদের এক-একটা দৃশু প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ মিনিট ধ’রে থাকে। প্রত্যেক দৃশ্বের শেষের দিকে দশ-পনর মিনিট গান বন্ধ থাকে, শুধু বাজনা বাজতে থাকে। সেই সময়ে অভিনেতাকে স্বীয় ভূমিকা, মূল আখ্যানকে অক্ষুন্ন রেখে, স্বাধীন ভাবে অভিনয় করতে দেওয়া হয়। এই সময়ে অভিনেতার প্রায়ই কোন যুদ্ধ অথবা কোন প্রাকৃতিক দৃপ্তের বিস্তারিত বর্ণনা করে থাকেন। মুখ দুঃখ কিংবা বীরত্ব প্রভৃতি ভাব প্রকাশের সময়ে সুর যাতে অভিনেতাকে সাহায্য করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য আছে। এদের সঙ্গীতে সুরের গমক, হুঙ্কার ও স্বরবিষ্ঠাস বেশী প্রাধান্ত পেয়েছে । অভিনয় ও মৃত্য ফুটাকে আলাদা ভাবে দেখলে বুঝবার সুবিধা হবে । অভিনয়ের ভেতর প্রথমতঃ হচ্ছে, চোখ স্ত্র ও ঠোঁটের সাহাধ্যে নব রস, যথা—আদি, বীর, করুণ, অদ্ভুক্ত, হাস্য, ভয়, বীভৎস, cब्रौञ \g শাস্ত, এদের অভিনয় । শেষোক্ত রসের অভিনয় খুবই বিরল। এই রসের অভিনয়ের পেছলে গতীয় রসানুভূতি, কুষ্ম বিশ্লেষণ ও দীর্ঘ অভ্যাস বর্তমান, সে-বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এর অভিনয় মা দেখলে বোথান শক্ত । দ্বিতীয়তঃ হচ্ছে হাতের মুদ্রার স্বারা কথোপকথন্স । मृ८ष्ठाग्न लभन्न चलिरनष्ठांब्र *ाच रकशांरुण अस्य मग्न कrण**हें