পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

À * Á - Z ‘..., 位8 - ఏ98S মা বলিলেন—পায়ে ধর । 7 যা হয় গুছিয়ে ফেলি, কিন্তু রাত্রেও এখানে ফিরে আসতে অপ্রতিভ ভাব কটিয়া মুখ ক্রমশ কঠিন হবে— হইয়া আসিল । গুম্ হইয়া সে দাড়ীয়া রহিল। —সে হবে, হবে । মা-সকল, তাড়াতাড়ি আয়োজন ক’রে ম! বলিলেন—ধর। দাও ত এই–সীমান্ত একটু ঘি, দু-চার খান কাঠ-ধা ধ —কেরোসিন দিইছি, বিষ ীিই নি ত ? থর থর করিয়া ওষ্ঠ কাপিয়া কু-ফোট সুকেশীর গলি বহিয়া পড়িল । বলিল—গোপাঙ্গে নাম ক’রে কেন তুমি ঠকালে ম, তিন-তিনবার আমি Wসেছি তাকে দেখতে। একবার ফিরে যাই আবার তুসি।---সাধু-সন্ন্যাসীরা কত অসাধ্য সাধন করেন, শুনতে/পাই। তোমার ঐ সিদ্ধপুরুষ একটা বার এক পলক তাকে দেখিয়ে দিলে ত পারতেন । সন্ন্যাসীর হুঙ্গস উত্তরোত্তর বাড়িয়াই চলিল । भ'द्भ কিন্তুAত রাগে একেবারে জল পড়িয়া গেল । সহসা কৰা ট%, তারপর বালনে-কিন্তু এটুকু ঐ ছোট ছেলে নো খেয়ে থাকলে তা-ও একবার ভেবে দেথলি নে, মা ; সেয়েমানুষ হয়ে এমন নিষ্ঠুর তুই কি ক’রে হলি । ও যুদি তোর ছেলে হ’ত ? সুকেশী বোমার মত ফাটিয়া পড়িল ।—আমার মরা ছেলের কথা বার-বার তুলো না বলছি, আমি এক্ষুনি একদিকে চলে যাব— মা তখন দিতে কঁদিতে সন্ন্যাসীর পায়ে আছড়াইয়া পড়িলেন—তুমি অভিশাপ দিও না ঠাকুর। মেয়ে আমার শোকে তাপে পখির হয়ে গেছে । ওর মাথার ঠিক নেই । একটি দুইটি করিয়া বারাণ্ডায় তখন ভিড় জমিয়া গিয়াছে। পাড়ায় আর একটি মেয়েলোক নাই । সন্ন্যাসী চেলার হাত ধরিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। সুকেশীর মা পথ আটকাইয়া দাড়াইলেন —সে হবে না বাবা । আমি একদণ্ডের মধ্যে সমস্ত আবার জোগাড় ক’রে আনছি। সেবা না হ’লে যেতে দেব না, খুন হয়ে সরব । —ঐ ত হ’ল রে—তার পর হাসিয়া ফেলিয়া সন্ন্যাসী বলিতে লাগিলেন–রাগ করি নি মা । , যেদিন স্বরসংসায় ছেড়েছি, ঐ অীপদগুলোও সেদিন সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে এসেছি । আচ্ছ, এক কাজ করা যাক বরং । আজকে দিনটা ভাল, যাবার সময় তাড়াতাড়ি একটু হোম ক’রে দিয়ে য়াই— হুকেশীর মা কহিলেন-বেশ, ততক্ষণে অামি ওদিকে লাগে । জামার সময় বেশী নেই। খুব তাড়াতাড়ি । মা গেলেন সেবার জোগাড় দেখিতে, এদিকে ছুটাছুটি করিয়া হেমকাঠের ব্যবস্থা হইল ; কুলা-ভৰ্ত্তি অপরাপর জিনিষ আপিল । তার এক কোণে একটা দেশলাই । সেটা হাতে তুলিয়া হাসিতে হাসিতে সন্ন্যাসী বলিলেন— বিলাতী আগুন । কি হবে এতে ? খাটি স্বদেশী আগুন আবার মিলিবে কোথায় ? সকলে মুখ চাওয়াশ্চাওরি করিতে লাগিল । দেশলাই ছুড়িয়া ফেলিয়া সন্ন্যাসী বলিলেন—এ অশুচি । এতে কাজ হবে না। আমার কাছে এ-সবের ব্যাভার নেই— যুকেশী নিস্পৃহভাবে একদিকে দাড়াইয়া ছিল, ব্যঙ্গের মুরে প্রশ্ন করিল—তবে ? সন্ন্যাসী বলিলেন-দেখতে পাবে মা-লক্ষ্মি, আগে একটু খুনে আর নারকেলের খোলা আন দিকি । মুখের কথা মুখে থাকিতে সমস্ত আসিয়া পড়িল । কৌতুহলে এতগুলি লোকের নিঃশ্বাস পড়ে কি না-পড়ে। এক জন ফিস ফিল করিয়া বলিল—মস্তোরে আগুন হবে বুঝি— তাচ্ছিল্যের ভাথে মুকেশী বলিল—ছাই— সন্ন্যাসী মুখ তুলিয়া আবার হাসিয়া উঠিয়া নিরুত্তরে ভোড়জোড় করিয়া বসিলেন । ধুন, মারিকেলের খোসা ছাড়ির খোলে রাখিয়া মন্ত্র আরম্ভ হইল ! প্রথমটা ধীরে ধীরে, ক্রমে বেগ বাড়িল, শেষে আর মন্ত্র পড়া নয়—কথাগুলি মুখের উপর যেন টগবগ করিয়া ফুটিতে লাগিল ৷ মধ্যে মধ্যে মা-চওঁীর দোহাই—সে দোহাই আকাশ ফু"ডিয়া মা-চওঁীর দেশে পৌছিবার মতই বটে ; কোলের ছেলে সব অtৎকাইয়া কাদিয়া ওঠে, মায়ের হাত চাপ দিয়া কান্না ঠেকাইবার চেষ্টা করেন—ওৰুে চুপ—চুপ । কিন্তু তা বলিয়া সাধ্য কি, কেহ এক পা লড়িয়া দাড়াইবে । চোখ দুষ্ট লাল হইয়া উঠিয়াছে, ক্ষণে ক্ষণে হুঙ্কার দিয়া সন্ন্যাসী ডাকিতেছেন-দোহাই মঞ্জী, দোহাই গাજન્મનોન-રિદ્રાક્ષા بِ بِمْ ” :