পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

p=hరి দেবতাদের নাম শিথিয়েছে। তাই সে দিন নাই ক্ষণ নাই সকাল-সন্ধা কেবলই রাধা কৃষ্ণ রাধা কৃষ্ণ ব’লে চলেছে— যেন সে তাদের প্রেমে আত্মহারা । কিন্তু একদিন একটা ধূৰ্ত্ত বেরাল পেছন থেকে এসে তাকে ধরল ও মেরে ফেলবার চেষ্টা করল। তখন কি শুনতে পেলে ? তখন তার কণ্ঠ থেকে আর রাধাকৃষ্ণ বেরয় না ; তার জায়গায় তার যন্ত্রণার স্বাভাবিক কঁ্য র্ক্য শব্দ বেরতে থাকে । এই রকম, তোমাদের জপওয়ালা মানুষ প্রলোতন ও পরীক্ষার সময় হয়ত আওড়ান নামটি ভুলে যায় ; তোমাদের ভগবৎপ্রেমিক তাঁর ভগবানের নাম ভুলে যায় ; তার মামুলি অবিশ্বাস এসে পড়ে, ভগবানের চরণে তার যে আত্মসমপণ নাই তা ধরা পড়ে । যে তগবদবিশ্বাস জীবনের নানা পরীক্ষায় টিকে থাকতে না পারে, তা বিশ্বাসই নয়।” “একদিন তাহার নিকট বসিয়া আছি, এমন সময় কতকগুলি লোক আসিলেন । তাহীদের মধ্যে এক জন অন্তান্ত প্রশ্নের মধ্যে এই প্রশ্ন করিলেন, যে, আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্ত মানুষের গুরু অর্থাৎ অধ্যাত্মিক শিক্ষাদাতার পরিচালন ও উপদেশের আবখ্যক কিনা । রামকৃষ্ণ বলিলেন, "যদি কেউ তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনের যোগ্য পরিচালক পায়, তা হ’লে তা নিশ্চয়ই সুবিধাজনক ও মহা সৌভাগ্য ; এরূপ লোক তাকে বিশেষ সাহায্য করবেন । সে যে স্বচেষ্টায় প্রকৃত আধ্যাত্মিক উন্নতি করতে পারে না এমন নয়, কিন্তু এরূপ লোকের সংসর্গে আধ্যাত্মিক উন্নতি অধিকতর সহজে হয়।’ তাহার পর নদীবক্ষে তথন যে ষ্টীমারটি যাইতেছিল তাহ দেখাইয়া সুধাইলেন, “ঐ ষ্টীমারটা কথন চুঁচুড়া পৌছবে মনে কর ?” প্রশ্নকৰ্ত্ত বলিলেন, ‘সন্ধ্যার আগে ৫টা ৬টার সময় । রামকৃষ্ণ বলিলেন, "ষ্টীমারের পেছনে দড়ি দিয়ে বাধা একটা নৌকা দেখছ। ষ্টীমারটার সাহায্যে নৌকাটাও ঐ সময়ে চুচুড়া পৌছবে। কিন্তু ধর, নৌকাটাকে ষ্টীমার থকে খুলে নেওয়া হ’ল এবং তাকে ষ্টীমারটার সাহায্য না নিয়ে যেতে হবে ; তা হ’লে সেটা কখন্‌ চুচুড়া পৌছবে ?” লোকটি বলিলেন, সম্ভবতঃ কাল প্রাতঃকালের আগে নয়।’ তখন রামকৃষ্ণ বলিলেন, “ঠিক সেই রকম, মানুষ নিজের আধ্যাত্মিক জীবনে তার দুর্বলতা ও ভ্রাস্তির মধ্যে দিয়ে লিসাহাযে অগ্রসর হতে পারে—এতে বুেল বেশী সময় গ্রোমাণ্ড ఎం8్ప * লাগে মাত্র ; অন্ত দিকে, যদি সে কোন অগ্রসর আত্মার সঙ্গ ও সাহায্যের সুবিধা পায়, তা হ’লে সে দশ-বার ঘণ্টার পথ চার ঘণ্টায় অতিক্রম করতে পারে।” “থাক, তাহার উপদেশের কথা অনেক বলিলাম। এখন তাহার ব্যক্তিগত স্নেহ আমার প্রতি কিরূপ ছিল, তাহা কিছু বলি। এক সময় তিনি তাহার কাছে গিয়া তাহার সহিত দেখা করিবার জন্ত আমাকে বার-বার অনুরোধ পাঠাইতেছিলেন, কিন্তু আমি ব্রাহ্মসমাজের কাজে ব্যস্ত থাকায় যাইতে পারিতেছিলাম না ; তখন তিনি একদিন স্বয়ং আমার বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন—হয়ত অন্ত কোথাও কোন কাজে যাইবার পথে। তখন আমাদের মধ্যে এই কথাবাৰ্ত্ত হইল— “রামকৃষ্ণ-আমি বার-বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এবং তুমিও বার-বার আসবে বলা সত্বেও তুমি অনেক দিন আমার সঙ্গে দেখা কর নাই, এ কেমন কথা ? “আমি—ব্রাহ্মসমাজের কাজে আটক পড়ে গিয়েছিলাম। আজকাল আমি বড় ব্যস্ত । “রামকৃষ্ণ-চুলোয় যাক তোমার ব্রাহ্মসমাজ যদি তা তোমাকে তোমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে ! “তার পর আমার মুথের দিকে তাকাইয়া তিনি হাসিলেন ও বলিলেন—“আমি যখন তোমার কাছে আসছিলাম তখন লোকগুলা (অর্থাৎ তাহার নূতন শিষ্যেরা ) বললে, “আপনি একটা ব্রাহ্মের কাছে কেন যাবেন, সে আপনার দর্শন পাবার যোগ্য নয়।’ তাতে আমি তাদের কি বলেছিলাম জান ? “আমি-আপনি তাদের কি বলেছিলেন ? “রামকৃষ্ণ—আমি তাদের বললাম, দ্যাথ, আমি সববাইকার জন্তে ।” “ञांद्र ७कवांद्र उिनि ममृनमब्र {७क वांश्नांन-यांफ़िाउ একটি ব্রাহ্ম উৎসবে যোগ দিবার জন্ত নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । আমার সেখানে যাইতে একটু বিলম্ব হইয়াছিল। পৌঁছিয়া দেখি, তিনি ভিড়ের মধ্যে দাড়াইয়া গান করিতেছেন। আমাকে দেখিবামাত্র তিনি আমাকে বুকে জড়াইয়া ধরিলেন ও বলিলেন, আঃ এখন আমার বুকটা ,